আন্তজার্তিক ধান গবেষণা ইন্সটিটিউট, ইরি, বাংলাদেশ এর সহযোগিতায় এবং ফ্রেন্ডস ইন ভিলেজ ডেভেলপমেন্ট বাংলাদেশ(এফআইভিডিবি) এর মাধ্যমে সুনামগঞ্জ জেলার সদর উপজেলায় কাঠইর ইউনিয়নের কাঠইর গ্র্রামে বাস্তবায়িত ইরি-এগ্রি প্রকল্পের শস্য কর্তন বোরো-২০২০-২১ অনুষ্ঠিত হয়েছে।
২০ এপ্রিল মঙ্গলবার সকালে সদর উপজেলায় কাঠইর ব্লকের কাঠইর গ্রামের কৃষক মোঃ আব্দুল মতিন ও মোঃ জুনেদ আহমদ এর জমিতে ৫ প্রকার জাতের ধান কেটে কোন ধরনের জাতটি এই এলাকার জন্য উপযোগী তা শস্য কর্তনের মাধ্যমে মূল্যায়ন করা হয়।
এ সময় উপস্থিত কৃষকের সামনে মোঃ আব্দুল মতিন ও মোঃ জুনেদ আহমদ এর জমি থেকে ব্রি ধান২৮, ব্রি ধান৬৭, ব্রি ধান৮৪, ব্রি ধান৮৮ এবং ব্রি ধান৯৬ প্রত্যেক জাতের ধান ১০ বর্গ মিটার করে কেটে মাড়াই করা হয় এবং ফসল কর্তনের মাধ্যমে এই জাতগুলোর মধ্য থেকে ব্রি ধান৯৬ হেক্টর প্রতি ফলন পাওয়া যায় ৬ টন, ব্রি ধান৮৮ হেক্টর প্রতি ফলন পাওয়া যায় ৬.২ টন, ব্রি ধান৮৪ হেক্টর প্রতি ফলন পাওয়া যায় ৬.১ টন এবং ব্রি ধান৬৭ হেক্টর প্রতি ফলন পাওয়া যায় ৫.৭ টন ।
সুনামগঞ্জ জেলার সদর উপজেলায় কাঠইর ইউনিয়ন একটি বন্যা প্রবন এলাকা এবং প্রায় প্রতি বছর বোরো মৌসুমে বন্যার কারনে কৃষক ক্ষতিগ্রস্থ হয়। আন্তজার্তিক ধান গবেষনা ইন্সটিটিউট (ইরি) এই এলাকার জন্য উপযোগী ধানের জাত কৃষকের চাহিদা অনুযায়ী নির্বাচনের জন্য উপরোক্ত পাঁচটি জাত দ্বারা কৃষকের জমিতে প্রর্দশণী স্থাপন করেন। এতে সহযোগীতা করেন ফ্রেন্ডস ইন ভিলেজ ডেভেলপমেন্ট বাংলাদেশ(এফআইভিডিবি)।
এই শস্য কর্তন অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন, বিএডিসি’র ডিলার মেমার্স এম.কে ট্রেডার্স এর প্রতিনিধি মোঃ আফাজ উদ্দিন, কৃষক মোঃ জুনেদ আহমদ, ফ্রেন্ডস ইন ভিলেজ ডেভেলপমেন্ট বাংলাদেশ(এফআইভিডিবি)’র প্রজেক্ট অফিসার মোঃ সাইফুল ইসলাম সহ অত্র এলাকার কৃষকবৃন্দ।
এদিকে, সুনামগঞ্জ জেলার বিশ^ম্ভরপুর উপজেলায় পলাশ ইউনিয়নের মুক্তিখোলা গ্র্রামে ১৩এপ্রিল মঙ্গলবার সকালে মুক্তিখোলা ব্লকের গ্র্রামের করচর হাওরে কৃষক কামরুল ইসলাম এর জমিতে ইরি-এগ্রি প্রকল্পের শস্য কর্তন বোরো-২০২০-২১ অনুষ্ঠিত হয়েছে। এতে ৫ প্রকার জাতের ধান কেটে কোন ধরনের জাতটি এই এলাকার জন্য উপযোগী তা শস্য কর্তনের মাধ্যমে মূল্যায়ন করা হয়।
এ সময় উপস্থিত কৃষকের সামনে কামরুল ইসলাম এর জমি থেকে ব্রি ধান২৮, ব্রি ধান৬৭, ব্রি ধান৮৪, ব্রি ধান৮৮ এবং ব্রি ধান৯৬ প্রত্যেক জাতের ধান ১০ বর্গ মিটার করে কেটে মাড়াই করা হয় এবং ফসল কর্তনের মাধ্যমে এই জাতগুলোর মধ্য থেকে ব্রি ধান৯৬ হেক্টর প্রতি ফলন পাওয়া যায় ৮.১ টন, ব্রি ধান৮৮ হেক্টর প্রতি ফলন পাওয়া যায় ৭.৩ টন, ব্রি ধান৮৪ হেক্টর প্রতি ফলন পাওয়া যায় ৬.৩ টন এবং ব্রি ধান৬৭ হেক্টর প্রতি ফলন পাওয়া যায় ৫.৯৯ টন । বিশ^ম্ভরপুর উপজেলায় পলাশ ইউনিয়ন একটি বন্যা প্রবন এলাকা এবং প্রায় প্রতি বছর বোরো মৌসুমে বন্যার কারনে কৃষক ক্ষতিগ্রস্থ হয়। আন্তজার্তিক ধান গবেষনা ইন্সটিটিউট (ইরি) এই এলাকার জন্য উপযোগী ধানের জাত কৃষকের চাহিদা অনুযায়ী নির্বাচনের জন্য উপরোক্ত পাঁচটি জাত দ্বারা কৃষকের জমিতে প্রর্দশণী স্থাপন করেন। এতে সহযোগীতা করেন ফ্রেন্ডস ইন ভিলেজ ডেভেলপমেন্ট বাংলাদেশ(এফআইভিডিবি)।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বিশ^ম্ভরপুর উপজেলার উপ সহকারী কৃষি কর্মকর্তা(এসএএও) মোঃ নিজাম উদ্দিন ও আল আমিন, আরও উপস্থিত ছিলেন বিশ^ম্ভরপুর উপজেলা যুব লীগের সহ সভাপতি মোঃ আনোয়ার হোসেন খোকন, বিশ^ম্ভরপুর উপজেলা সৈনিক লীগের সাধারণ সম্পাদক মোঃ এমদাদুল হক, বিশ^ম্ভরপুর উপজেলা জাতীয় পার্টির প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক হুছাইন আহমদ এবং ফ্রেন্ডস ইন ভিলেজ ডেভেলপমেন্ট বাংলাদেশ(এফআইভিডিবি)’র প্রজেক্ট অফিসার মোঃ সাইফুল ইসলাম সহ অত্র এলাকার কৃষক।