সংবাদ সম্মেলন ডেকেছেন বিএনপির জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস। রোববার বেলা ৩ টায় নিজ বাসভবন দক্ষিণ শাহজাহানপুরে সংবাদ সম্মেলন করবেন তিনি।মির্জা আব্বাসের ঘনিষ্ঠ বিএনপির এক কেন্দ্রীয় নেতা গণমাধ্যমকে জানান, দলের সাংগঠনিক সম্পাদক ইলিয়াস আলী ‘ গুম’ হওয়ার বিষয়ে শনিবার এক ভার্চুয়াল সভায় মির্জা আব্বাসের বক্তব্য নিয়ে বিভ্রান্তির সৃষ্টি হয়েছে। এ নিয়ে মির্জা আব্বাস যে বক্তব্য দিয়েছেন তার কিছু অংশ গনমাধ্যমে ভিন্নভাবে উপস্থাপিত হয়েছে। তিনি কি বলতে চেয়েছেন বা কি বুঝাতে চেয়েছেন তা আজকের সংবাদ সম্মেলনে ব্যাখ্যা করবেন।
ইলিয়াস গুম হওয়ার ইস্যুতে বিস্ফোরক তথ্য দিয়ে শনিবারের আলোচনা সভায় মির্জা আব্বাস বলেন, ইলিয়াস গুম হওয়ার আগের রাতে দলীয় অফিসে কোনো এক ব্যক্তির সঙ্গে তার বাকবিতন্ডা হয় মারাত্মক রকমের। ইলিয়াস তাদের খুব গালিগালাজ করেছিল। সেই যে পেছন থেকে দংশন করা সাপগুলো আমাদের দলে এখনও রয়ে গেছে।
ভার্চুয়াল সভায় উপস্থিত দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুলকে উদ্দেশ্যে করে তিনি আরও বলেন, যদি এদেরকে দল থেকে বিতাড়িত না করেন, তাহলে কোনো পরিস্থিতিতেই দল সামনে এগুতে পারবেন না।
মির্জা আব্বাস বলেন, বাংলাদেশের স্বাধীন-সার্বভৌমত্ব যে ভুলন্ঠিত হতে যাচ্ছে এটার জ্বলন্ত প্রমাণ হলো ইলিয়াস আলীর গুম। আমি জানি, বাংলাদেশ সরকার বা আওয়ামী লীগ সরকার ইলিয়াসকে গুম করে নাই। কিন্তু গুমটা করলো কে? এই সরকারের কাছে আমি এটা জানতে চাই।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির এই সদস্য আরও বলেন, একজন জলজ্যান্ত তরতাজা রাজনৈতিক নেতা গুম হয়ে গেলেন দেশের অভ্যন্তর থেকে, আমাদের একজন নেতা সালাহউদ্দিন আহমেদকে দেশ থেকে পাচার করে নিয়ে গেল, আমাদের চৌধুরী আলমকে গুম করে দেওয়া হলো, আমাদের কত ছেলেকে গুম করে দেয়া হলো-আমি বুঝলাম এই সরকার করে না। করলো কারা? আমি বলতে চাই, যারা করেছে তারা এদেশের স্বাধীনতা চায় না, তারা এদেশটাকে স্বাধীনতা সার্বভৌমত্ব থাকতে দেবে না।“
প্রসঙ্গত, ২০১২ সালের ১৭ এপ্রিল রাজধানীর বনানী থেকে গাড়িচালক আনসার আলীসহ নিখোঁজ হন ইলিয়াস আলী। বিএনপির অভিযোগ তাকে সরকারই ‘গুম’করেছে। তবে সরকার বরাবরই এই অভিযোগ অস্বীকার করে আসছে।