সিলেট৭১নিউজ ডেস্ক:: করোনা প্রতিরোধে সরকার ঘোষিত কঠোর লকডাউনের চতুর্থ দিন প্রধান সড়কে রিকশা ও ব্যক্তিগত গাড়ির সংখ্যা বেড়েছে। দু- এক জায়গায় পুলিশের চেকপোস্ট থাকলেও সেগুলো পাশ কাটিয়ে পথচারী ও যাত্রীদের চলাচল করতে দেখা গেছে।
শনিবার (১৭ এপ্রিল) মিরপুর ১২, ২, ১০, ১৩ ও ১৪ নম্বর সড়ক ঘুরে দেখা গেছে, মাত্র দুই জায়গায় পুলিশি জিজ্ঞাসাবাদের সম্মুখীন হতে হচ্ছে যাত্রীদের। ১০ নম্বর শাহআলী মার্কেটের সামনে পুলিশ সদস্যদের দেখা যায়। রিকশা, ব্যক্তিগত গাড়ি ও মোটরসাইকেল থামিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করছেন পুলিশ সদস্যরা। উপযুক্ত কারণ কিংবা যথাযথ প্রমাণ না থাকলে তাদের ফিরিয়ে দেয়া হচ্ছে বলে জানিয়েছেন ট্রাফিক পুলিশ সদস্য বিকাসুজ্জামান।
মিরপুর-১৩ নম্বর সড়কে পুলিশ স্টাফ কলেজের সামনে বসানো চেকপোস্টে পুলিশ সদস্যদের বসে থাকতে দেখা যায়।
মিরপুর-২ নম্বর সড়কে রিকশাচালক মোহাম্মদ হাদি জানান, সকালে মিরপুর সুইমিং কমপ্লেক্সের সামনে ১০-১২টি রিকশা আটকে রাখা হয়। তবে দুপুর ১২টার পর থেকে ঝামেলা ছাড়া রিকশা চালাতে পারছেন।
তিনি জানান, সকাল ১০টায় বের হয়েছেন। কোথাও পুলিশ ধরেনি। এ পর্যন্ত ৪০০ টাকা ভাড়া পেয়েছেন।মিরপুর-১০ নম্বরে দাঁড়ালে দুজন মোটরসাইকেলচালক কোথায় যাবেন, জিজ্ঞেস করেন এ প্রতিবেদককে।
কীভাবে যাবেন জিজ্ঞেস করলে তারা বলেন, চেকপোস্ট পাশ কাটিয়ে যাওয়া সম্ভব। আর সবখানে চেকপোস্টও নেই।
এদিকে প্রধান সড়কে মানুষ কম থাকলেও অলিগলিতে মানুষের উপস্থিতি ছিল বেশি। মোড়ে মোড়ে বসেছে কাঁচাবাজারসহ নিত্যপণ্যের অস্থায়ী দোকান। অস্থায়ী বাজারগুলোতে স্বাস্থ্যবিধি ছিল অনুপস্থিত।
সিলেট৭১নিউজ/জাগোনিউজ/টিআর