সিলেট৭১নিউজ ডেস্ক:: ফের লাগামছাড়া হয়ে উঠেছে করোনাভাইরাস। বিশ্বের দেশে দেশে প্রায় প্রতিদিনই ভাঙছে সংক্রমণের রেকর্ড। পাল্লা দিয়ে বাড়ছে প্রাণহানিও। ইতোমধ্যে বিশ্বজুড়ে করোনায় মৃতের সংখ্যা ৩০ লাখ ছাড়িয়েছে।
রয়টার্সের এক হিসাবে, বিশ্বে করোনাজনিত মৃত্যু ২০ লাখ ছাড়াতে সময় লেগেছিল এক বছরেরও বেশি। সেখানে পরের ১০ লাখ প্রাণহানি হয়েছে মাত্র তিন মাসের ব্যবধানে।
করোনা সংক্রমণ ঠেকাতে লকডাউন ও নানা বিধিনিষেধ আরোপ করছে বিভিন্ন দেশের সরকার। তবে এর বিপরীত চিত্রও চোখে পড়ছে। লকডাউন শিথিল করছে পর্তুগাল। একই পথে হাঁটার সিদ্ধান্ত নিয়েছে ব্রিটেনও।
করোনার প্রকোপ বাড়ছে গোটা বিশ্বেই। তবে ব্রাজিল ও ভারতের মতো দেশগুলোতে রীতিমতো এর বিস্ফোরণ ঘটেছে।
দৈনিক গড় মৃত্যুতে সবার ওপরে রয়েছে ব্রাজিল। প্রতিদিন বিশ্বের এক-চতুর্থাংশ করোনাজনিত মৃত্যু হচ্ছে লাতিন আমেরিকার দেশটিতে। করোনা সংক্রমণ বাড়তে থাকায় ভারতের রাজধানী নয়াদিল্লিতে কারফিউ জারি করা হয়েছে।
মঙ্গলবার থেকে আগামী ৩০ এপ্রিল পর্যন্ত রাত ১০টা থেকে ভোর ৫টা পর্যন্ত কারফিউ জারি থাকবে। গত মাস থেকেই দিল্লিতে সংক্রমণ বাড়তে শুরু করেছে। সে কারণেই কঠোর পদক্ষেপ নিতে বাধ্য হলো দিল্লি প্রশাসন।
রয়টার্সের পরিসংখ্যান বলছে, ইউরোপীয় অঞ্চলের ৫১টি দেশে বিশ্বের মধ্যে সবচেয়ে বেশি (প্রায় ১১ লাখ) করোনাজনিত প্রাণহানি হয়েছে।
এর মধ্যে যুক্তরাজ্য, রাশিয়া, ফ্রান্স, ইতালি ও জার্মানি- এই পাঁচটি দেশেই ঘটেছে ইউরোপের ৬০ শতাংশ মৃত্যুর ঘটনা। একক দেশ হিসাবে বিশ্বের মধ্যে সর্বোচ্চ প্রাণহানি হয়েছে যুক্তরাষ্ট্রে। দেশটি এ পর্যন্ত পাঁচ লাখ ৫৫ হাজারেরও বেশি মানুষ করোনায় মারা গেছেন, যা বিশ্বে মোট মৃত্যুর প্রায় ১৯ শতাংশ।
যুক্তরাষ্ট্রে গত তিন সপ্তাহ ধরে দ্রুত ছড়াচ্ছে সংক্রমণ, তবে টিকা গ্রহণের কারণে সেখানে মৃত্যুর হার কিছুটা কমে এসেছে বলে ধারণা করছেন বিশেষজ্ঞরা।
আওয়ার ওয়ার্ল্ড ইন ডেটা নামে একটি পরিসংখ্যানবিষয়ক ওয়েবসাইটের তথ্যমতে, রোববার পর্যন্ত বিশ্বে ৩৭ কোটির কিছু বেশি, অর্থাৎ মোট জনসংখ্যার মাত্র ৪ দশমিক ৭৫ শতাংশ মানুষ এক ডোজ করে করোনারোধী টিকা নিয়েছেন।
সিলেট৭১নিউজ/টিআর/যুগান্তর