সিলেট৭১নিউজ ডেস্ক:: প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘করোনাভাইরাস দেশে আমরা প্রায় নিয়ন্ত্রণ করে ফেলেছিলাম। কিন্তু আবার বিশ্বব্যাপী করোনার প্রাদুর্ভাব দেখা দিয়েছে’ করোনাভাইরাস সম্পর্কে দেশের মানুষকে সচেতন হওয়ার কথা বলেছন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বৃহস্পতিবার (১ এপ্রিল) সকালে একাদশ জাতীয় সংসদের দ্বাদশ অধিবেশনের উদ্বোধনীতে এ কথা বলেন তিনি।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, “যখনই কেউ বাইরে যাবেন, বেশি মানুষের সঙ্গে মিশবেন, দোকান বা অফিস-আদালতে কাজ করবেন বা মানুষের সঙ্গে কথা বলবেন তখনই নিজ ঘরে ফিরে একটু গরম পানির ভাপ নেওয়াটা জরুরি। এটা কিন্তু খুব কঠিন কোনো কাজ না। কোনো পাত্র, জগ বা ছোট বালতিতে ভাপ ওঠা গরম পানিতে নিঃশ্বাসটা নিলে পরে ওই ধোঁয়া নাকের সাইনাস পর্যন্ত পৌঁছে যায়। সাইনাসের সমস্যায় নিয়মিত ভুগতাম বলে ভাপ নেওয়াটা আমার একটা অভ্যাস ছিল। এ ভাপটা নিলে জীবানুটাকে দুর্বল করে দেবে বা শেষ করে দেবে।
শেখ হাসিনা আরও বলেন, “আরেকটি কাজ আমি করি। আপনারাও চাইলে সেটা করতে পারেন। সেটা হলো নাকে একটু সরিষার তেল দিতে পারেন। আমি জানি এটাকে খুব গ্রাম্য একটা বিষয় মনে হতে পারে! কিন্তু মনে পড়ে, ছোটবেলায় পুকুরে গোসল করার আগে দাদি নাকে-কানে আর নাভিতে সরিষার তেল দিয়ে দিতেন। যাতে কোথাও দিয়ে পানি না ঢুকে যায়। আমি করোনা ভাইরাসের পর থেকে নিয়মিত যখনই বাইরে আসি, নাকে একটু সরিষার তেল দিয়ে রাখি।
কাজেই এটাও কিন্তু সবাই দিতে পারেন।”
প্রধানমন্ত্রী বলেন, “করোনাভাইরাস দেশে আমরা প্রায় নিয়ন্ত্রণ করে ফেলেছিলাম। কিন্তু আবার বিশ্বব্যাপী করোনার প্রাদুর্ভাব দেখা দিয়েছে। এবারের করোনাভাইরাসটা হঠাৎ করে খুব দ্রুত বৃদ্ধি পাচ্ছে। আপনারা নিশ্চয়ই লক্ষ্য করেছেন যে, বাংলাদেশেও ২৯ থেকে ৩১ মার্চ এমন দ্রুত বেড়ে গেছে যেটা চিন্তাও করা যায় না।”
“ভ্যাকসিন নেওয়া শুরু হয়েছে বলে মানুষের মধ্যে একটা বিশ্বাস জেগে গেছে যে, কিছুই বোধ হয় আর হবে না। আমি কিন্তু শুরু থেকেই বলছিলাম, ভ্যাকসিন নিলেও সাবধানে থাকতে হবে, স্বাস্থ্যবিধিগুলো মেনেই চলতে হবে। এ স্বাস্থ্যবিধি মানাটা কিন্তু বন্ধ হয়েছে। একটা হিসাব করে দেখা গেছে যে, যতগুলো বড়-বড় বিয়ের অনুষ্ঠানে যারাই গিয়েছেন তারাই ফিরে এসে করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছে। যারা বিভিন্ন জায়গায় কক্সবাজারসহ বিভিন্ন স্পটে পর্যটন কেন্দ্রে বেড়াতে চলে গেছে, তারাও কিন্তু ফেরার পরে করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। দাওয়াত, দোকানপাট, হাটাবাজারে বেশি যাওয়া এসব যেন একটু বেশিই বেড়ে গিয়েছিল।”
প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমি এজন্য সবাইকে বলব, প্রথমে দেশে করোনাভাইরাস দেখা যাওয়ার পর যেভাবে আমরা সবকিছু নিয়ন্ত্রণ করেছিলাম। ঠিক সেভাবেই আবার আমাদের নিয়ন্ত্রণ করতে হবে। ইতোমধ্যে কিছু নির্দেশনা আমরা দিয়েছি পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে। সেজন্য আমাদের জনগণের সহায়তা দরকার।
সিলেট৭১নিউজ/টিআর