সিলেট৭১নিউজ ডেস্ক:: দেশের বর্তমান পরিস্থিতি থেকে মুক্তি ও সমাজ পরিবর্তনের জন্য সবাইকে রাস্তায় নামতে হবে বলে মনে করেন গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ও ট্রাস্টি ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী। তিনি বলেন, আমি একা কিছু করতে পারব না। পরিবর্তন ঘটানোর জন্য আমরা সম্মিলিতভাবে রাস্তায় নামতে পারি। আমাদের রাস্তায় নামতে হবে। নয়ত কারো জীবন সুখের হবে না। কেউ শান্তিতে থাকতে পারব না।
বুধবার (৩১ মার্চ) বিকালে ধানমন্ডি গণস্বাস্থ্য নগর হাসপাতালে এক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন। প্রখ্যাত শ্রমিক নেতা কমরেড আলাউদ্দিন আহমেদ স্মরণে এ আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।
জাফরুল্লাহ চৌধুরী বলেন, জনগণ আসতে আসতে ক্ষিপ্ত হচ্ছে। ব্রাহ্মণবাড়িয়া ঘটনায় আমার মনে বার বার প্রশ্ন এসেছে, সেখানে সরকারি অফিস কেন আক্রমণ হলো। থানায় আক্রমণের একটা কারণ দেখতে পারি, তারা লুট করে, রাহাজানি করে, অত্যাচার করে, ঘুষের মাত্র বাড়ায়। কিন্তু তফসিল অফিস, ম্যাজিস্ট্রেটের অফিসে হামলার কারণ কী? কারণটা হলো তারা সবাই ডাকাত। ২০১৮ সালে এরা ডাকাতি করেছে। ডাকাতির ফসলটা প্রধানমন্ত্রীর ঘরে তুলে দিয়েছেন। এরা ডাকাতি করেছে, আর হাসিনা ডাকাতির ফসল ঘরে তুলেছে। তাই জনগণের ক্ষোভ। যখনই সুযোগ এসেছে তখনই মাথা তুলে দাঁড়িয়েছে।
তিনি বলেন, আমি কোনোভাবেই হেফাজতের বাড়িঘর ভাঙচুর, গাড়ি ভাংচুরের সমর্থন করি না। আমি বারবার বলি সংযত হোন।
বিচারপতিদের সমালোচনা করে তিনি বলেন, মাননীয় বিচারপতিগণ আপনাদেরও বিচার হবে। আপনাদের সম্পদেরও হিসাব নেব। কী করে আপনারা জামিন দেন, সেই কাহিনী আমরা জানি, আমরা যে জানি না, তা না। সব জজ সাহেব খারাপ না। ভালো জজ সাহেবরাও আছেন। কিন্তু ওনাদের কমোরে জোর নাই। মানুষ ভালো, চুরি করে না, ঘুষ খায় না। কিন্তু এই ভালো মানুষ দিয়েই কী হবে?
ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী বলেন, আজ শ্রমিক সমাজকে শিক্ষিত করতে হবে। আমাদের একত্রে থাকতে হবে। আমরা কৃষক শ্রমিকের ন্যায্য অধিকার চাই। তারা এই শাসনের অংশীদার হতে চাই, তাদের বক্তব্য রাখতে দিতে হবে। আজ প্রতিটি ক্ষেত্রে অন্যায়-অবিচার চলছে। এভাবে একটি দেশ চলতে পারে না। স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তীতে একটা ধাপ্পাবাজকে এনে সংবর্ধনা দিলেন। আমাদেরকে মনে রাখতে হবে যে, অন্যদের দয়ার ওপর রাষ্ট্র গড়বে না। আমাদের নিজেদের ভবিষ্যৎ নিজেরা গড়বো। আমাদের সাহস নিয়ে আসতে হবে। আমাদের দুঃখের দিন শেষ করতে হবে।
তিনি বলেন, হেফাজতকে বলব ভালো হয়ে যান। আপনারা আওয়ামী লীগের ঘুষের পয়সায় চইলেন না। আওয়ামী লীগ আপনাকে মাথায় তুলেছে, যখন মাথা থেকে ফেলে দিবে তখন হেফাজত ভাইয়েরা টের পাবেন। তারা আপনাকে অন্ধকুপে রাখতে চায়। আমরা আলোকিত মাদরাসা চাই। আলোকিত মাদরাসা কী, সেখানে বিজ্ঞান পড়ানো হবে, বাংলা পড়ানো হবে, অংক পড়ানো হবে, কম্পিউটার শেখানো হবে।
ভাসানী অনুসারী পরিষদের মহাসচিব শেখ রফিকুল ইসলাম বাবলুর সভাপতিত্বে ও পরিষদের সদস্য হাবিবুর রহমান রিজুর পরিচালনায় বক্তব্য রাখেন, ভাসানী অনুসারী পরিষদের প্রেসিডিয়াম সদস্য নঈম জাহাঙ্গীর, কমরেড আলাউদ্দিন
আহমেদ বড় ছেলে কামরুল হাসান রঞ্জু, ব্যারিস্টার সাদিয়া আরমান। উপস্থিত ছিলেন, গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের গণমাধ্যম উপদেষ্টা জাহাঙ্গীর আলম মিন্টু প্রমুখ।