সিলেট৭১নিউজ ডেস্ক:শরীয়তপুরে আওয়ামী লীগ নেতা হাবীবুর রহমান ও তার ভাই মনির হোসেনকে হত্যার দায়ে ছয়জনকে মৃত্যুদণ্ড এবং চারজনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মো. শফিক হোসাইন রোববার আলোচিত এই হত্যা মামলার রায় ঘোষণা করেন। দুদশক আগে ওই হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। এই মামলার ৫৩ আসামির মধ্যে তিনজনকে দুবছর করে কারাদণ্ড দিয়েছেন বিচারক। অপরাধে সংশ্লিষ্টতা প্রমাণিত না হওয়ায় রায়ে ৩৭ জনকে খালাস দেওয়া হয়েছে। শরীয়তপুরের সাবেক সংসদ সদস্য বিএনপি নেতা কেএম হেমায়েত উল্লাহ আওরঙ্গসহ তিন আসামি বিচার চলাকালেই মারা যায়।
মৃত্যুদণ্ড পাওয়া ছয় আসামি হলোÑ শহীদ কোতোয়াল, শহীদ তালুকদার, শাহীন কোতোয়াল, শফিক কোতোয়াল, মজিবুর রহমান ও সোলেমান সর্দার। আর বাবুল তালুকদার, ডাবলু তালুকদার, বাবুল খান ও টোকাই রশিদকে যাজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। পাশাপাশি তাদের ১০ হাজার টাকা করে জরিমানা করা হয়েছে, অনাদায়ে আরও ৬ মাস করে তাদের জেল খাটতে হবে। আসামিদের মধ্যে দুবছর করে কারাদণ্ড হয়েছে মন্টু তালুকদার, আসলাম সর্দার ও জাকির হোসেন মঞ্জুর। জীবিত আসামিদের বাকি সবাই খালাস পেয়েছে।
সংসদ নির্বাচনের উত্তেজনার মধ্যে ২০০১ সালের ৫ অক্টোবর শরীয়তপুরের জেলা জজ আদালতের সাবেক পিপি হাবীবুর রহমান এবং তার ভাই মনির হোসেনকে গুলি করে হত্যা করা হয়। হাবীবুর রহমান ছিলেন জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি এবং জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক। তার ভাই মনির হোসেন ছিলেন পৌরসভা যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক। ওই হত্যাকাণ্ডের পর হাবীবুর রহমানের স্ত্রী জিন্নাত রহমান বাদী হয়ে সাবেক সংসদ সদস্য আওরঙ্গসহ ৫৫ জনকে আসামি করে এই হত্যা মামলা করেন।
রায়ের বিষয়ে বাদীপক্ষের আইনজীবী পিপি অ্যাডভোকেট মো. মির্জা হযরত আলী জানান, আমরা ন্যায়বিচার পেয়েছি। আসামিপক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট মো. মাসুদুর রহমান জানান, আমরা ন্যায়বিচার পাইনি। উচ্চ আদালতে যাব। এই রায়ে শরীয়তপুরবাসীর মধ্যে মিশ্র প্রতিক্রিয়া লক্ষ করা গেছে।
সিলেট৭১নিউজ/টিজা