সিলেট৭১নিউজ ডেস্ক:চট্টগ্রাম সমুদ্র বন্দর ব্যবহারে মিজোরাম আগ্রহ দেখাচ্ছে- এমন মন্তব্য করে বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি বলেছেন, ভারত বাংলাদেশের বন্ধু রাষ্ট্র এবং মিজোরাম আমাদের নিকটতম প্রতিবেশী। মিজোরামে বাংলাদেশি পণ্যের প্রচুর চাহিদা রয়েছে, তবে যোগাযোগের সুযোগ কম থাকায় বাণিজ্য বৃদ্ধি করা যাচ্ছে না। মন্ত্রী বলেন, সড়ক ও নৌপথে এ ব্যবসা-বাণিজ্যের সুযোগ সৃষ্টি করা যেতে পারে।
গতকাল সচিবালয়ে বাংলাদেশে সফররত ভারতের মিজোরাম রাজ্যের স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ, উচ্চ এবং কারিগরি শিক্ষা, বাণিজ্য এবং শিল্প মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী ড. আর লালথাংলিয়ানার সঙ্গে বৈঠক শেষে বাণিজ্যমন্ত্রী এসব কথা বলেন। বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ ও মিজোরাম সীমান্তে বর্ডারহাট স্থাপন এবং স্থলবন্দর চালুর মাধ্যমে ব্যবসা-বাণিজ্য ও যোগাযোগ ব্যবস্থা উন্নত করতে মিজোরাম সরকার চাচ্ছে। সীমান্ত এলাকা পরিদর্শন করে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া হবে। ভারতের সেভেন সিস্টারে ব্যবসা-বাণিজ্য বাড়াতে চায় বাংলাদেশ।
মিজোরামের মন্ত্রী ড. আর লালথাংলিয়ানা বলেন, মিজোরাম ভারতের মধ্যে সবচেয়ে শান্তিপূর্ণ রাজ্য। বাংলাদেশের খুবই নিকটতম রাজ্য। আমাদের বাণিজ্য বৃদ্ধির প্রচুর সুযোগ রয়েছে। আমরা এ সুযোগ কাজে লাগাতে চাই। এ জন্য বাংলাদেশ মিজোরাম সীমান্তে বর্ডারহাট স্থাপন ও সড়ক সেতু নির্মাণের মাধ্যমে যোগাযোগ স্থাপন করা যেতে পারে। এতে করে উভয় দেশের মানুষের যাতায়াত সহজ হবে। মিজোরামের মন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশের তৈরি পোশাকসহ বিভিন্ন পণ্যের প্রচুর চাহিদা রয়েছে মিজোরামে। বাঁশ, পাথও সেগুনকাঠসহ বিভিন্ন পণ্য বাংলাদেশে রপ্তানি হতে পারে। আমরা চেষ্টা করছি উভয় দেশের বাণিজ্য ও যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নতি ঘটাতে।
বৈঠকে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (এফটিএ) মো. শহিদুল ইসলাম, অতিরিক্ত সচিব (আমদানি) এ এইচ এম শফিকুজ্জামান এবং যুগ্মসচিব (এফটিএ) নুর মো. মাহবুবুল হক উপস্থিত ছিলেন।
সিলেট৭১নিউজ/টিজা