সিলেট৭১নিউজ ডেস্ক:কক্সবাজারের টেকনাফ উপজেলার ৫টি ইউনিয়ন পরিষদে নির্বাচনের যাচাই-বাছাইয়ে ৫ জন চেয়ারম্যান প্রার্থীর মনোনয়ন ফরমে বিভিন্ন অসঙ্গতি থাকায় বাতিল ঘোষণা করেছেন সংশ্লিষ্ট রিটার্নিং অফিসার।
তবে আগামী রবিবার (২১ মার্চ) পর্যন্ত আপিলের সুযোগ রয়েছে। এর মধ্যে ৩ জন সাধারণ সদস্য পদে মনোনয়ন ফরম জমা দিয়েছিলেন। তাদেরকেও বাতিল ঘোষনা করেছেন।
তারা হলেন, টেকনাফ সদর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান প্রার্থী জিয়াউর রহমান জিহাদ, আবদুর রহমান, আব্দুল ওয়াজেদ, হোয়াইক্ষ্যং ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান প্রার্থী ফরিদুল আলম জুয়েল ও নুরুল হোছাইন সিদ্দিকী।
ইউপি সদস্য প্রার্থী হ্নীলা ৫নং ওয়ার্ডের মো. ইলিয়াস, হোয়াইক্ষ্যং ৭নং ওয়ার্ডের জাহেদ হোসেন ও সাবরাং ৬নং ওয়ার্ডের মো. হাসেম।
বৃহস্পতিবার (১৮ মার্চ) ইউপি নির্বাচনের প্রথম ধাপে উৎসবমুখর পরিবেশে টেকনাফ উপজেলার অন্তর্গত ৫ ইউনিয়নে ৫০১ জন প্রার্থী মনোনয়ন ফরম জমা দেন।
এতে চেয়ারম্যান পদে মনোনয়ন ফরম জমা দেন ৩৫ জন, সংরক্ষিত নারী পদে ৮০ জন ও সাধারণ সদস্য পদে ৩৮৬ জন। নিয়ম অনুযায়ী, প্রতিটি ইউনিয়নে ১ জন চেয়ারম্যান, ৩ জন সংরক্ষিত নারী ও ৯ জন সাধারণ সদস্য নির্বাচিত হবেন।
ইউপি নির্বাচনের মনোনয়ন ফরম যাচাই-বাছাই শেষে শুক্রবার (১৯ মার্চ) বিকালে উপজেলা পরিষদে টেকনাফ নির্বাচন অফিসার ও টেকনাফ সদর, হোয়াইক্যং ও হ্নীলা ইউনিয়নে রিটার্নিং কর্মকর্তা মো. বেদারুল ইসলাম উপস্থিত গণমাধ্যমকর্মীদের কাছে এই সব তথ্য নিশ্চিত করেন।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন সাবরাং ও সেন্টমার্টিন ইউনিয়নের রিটার্নিং কর্মকর্তা ও রামু নির্বাচন অফিসার মাহফুজুল ইসলাম।
উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা আরো বলেন, “২১ মার্চ বাতিল হওয়া প্রার্থীদের আবেদন শুনানি শেষে আগামী ২৪ মার্চ প্রত্যাহার, ২৫ মার্চ প্রতীক বরাদ্দ, ১১ এপ্রিল নিবার্চন অনুষ্ঠিত হবে।
টেকনাফের এই ৫ ইউনিয়নে সর্বমোট ভোটার সংখ্যা ১ লাখ ২০ হাজার ৯৫৯ জন। তার মধ্যে পুরুষ ভোটার ৬০ হাজার ৯৩ জন ও মহিলা ভোটার ৬০ হাজার ৮৬৬ জন।
টেকনাফ উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা বেদারুল ইসলাম বলেন, আসন্ন ইউপি নিবার্চন সুষ্ঠু-শান্তিপূর্ণ ও নিরপেক্ষভাবে সম্পন্ন করতে কাজ চলছে। কেউ নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘন করলে ছাড় দেয়া হবেনা। যাদের মনোনয়ন ফরম বাতিল হয়েছে তারা জেলা নির্বাচন কর্মকর্তার কাছে আপিল করতে পারবে। প্রার্থীতা প্রত্যাহারের শেষ দিন ২৪ মার্চ ও প্রতীক বরাদ্দ ২৫ মার্চ।
সিলেট৭১নিউজ/টিজা