সিলেটের জকিগঞ্জ সীমান্ত এলাকা থেকে উদ্ধার হওয়া ভারতের বিভিন্ন ব্র্যান্ডের ১০ কোটি ৭৬ লাখ ৩৬ হাজার ৯২৩ টাকা টাকার মাদকদ্রব্য ধ্বংস করেছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)।
মঙ্গলবার (১৬ মার্চ) দুপুর সাড়ে ১২টায় বিজিবি ১৯ ব্যাটালিয়নের বাস্কেটবল গ্রাউন্ডে এ মাদকদ্রব্যগুলো ধ্বংস করা হয়।
বিজিবির সরাইল উত্তর পূর্ব অঞ্চলের কমান্ডার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল এ বি এম নওরোজ এহসান মাদকদ্রব্য ধ্বংসকরণ কার্যক্রম উদ্বোধন করেন। এরপর এগুলোকে রোলার দিয়ে ধ্বংস করা হয়।
বিজিবি ১৯ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মো. রফিকুল ইসলাম বলেন, ধ্বংসকৃত মাদক ২০১৯ সালের ১৭ ডিসেম্বর থেকে ২০২১ সালের ২৮ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত জকিগঞ্জ সীমান্তের বিভিন্ন এলাকা থেকে জব্দ করা হয়।
ধ্বংসকৃত মাদকের মধ্যে রয়েছে অফিসার চয়েস মদের ৩১ হাজার ৮৪৩ বোতল, ম্যাকডয়েল’স মদের তিন হাজার ৬১৯ বোতল, রয়েল হুইস্কি মদের ২৩ বোতল, ম্যাজিক মোমেন্ট ব্লু ভদকার ১২ বোতল, ফেন্সিডিলের এক হাজার ৭৯৮ বোতল ও বিভিন্ন প্রকারের বিয়ারের ৫৯ বোতল।
এছাড়া ছিল ইয়াবা ট্যাবলেট ১২ হাজার ৮৩৪ পিস, গাঁজা চার হাজার ২০ কেজি, এক কোটি ৩৩ লাখ ৫৮ হাজার পিস ভারতীয় বিভিন্ন প্রকার বিড়ি, ২৬ লাখ ১৯ হাজার ৪০০ পিস ভারতীয় বিভিন্ন ব্র্যান্ডের সিগারেট ও ৯২৩ কেজি ভারতীয় চা-পাতা।
মাদকদ্রব্য ধ্বংসকরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে বিজিবির রিজিয়ন কমাণ্ডার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল এ বি এম নওরোজ এহসান, বিএসসি, পিএসসি বলেন, যে পরিমাণ মাদক জব্দ করা হয়েছে তার চেয়ে কয়েকগুণ মাদক সমাজে ছড়িয়ে পড়েছে। মাদকদ্রব্য পাচার ও সেবনের কুফল এবং মাদক পাচার রোধে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পাশাপাশি সবার সহযোগিতা কামনা করছি।
তিনি বলেন, আমি বিজিবিকে বলেছি মাদকদ্রব্য জব্দ নয়, দেশে ঢুকা পুরোপুরি বন্ধ করতে হবে। শুধু কোনো বাহিনী দিয়ে মাদককে নির্মূল করা যাবে না। সমাজে সচেনতা সৃষ্টি করতে হবে।
মাদকদ্রব্য ধ্বংসকরণ অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন, সিলেট সেক্টর সদর দফতরের সেক্টর কমান্ডার কর্নেল মো. আমিরুল ইসলাম, বিজিবি ১৯ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মো. রফিকুল ইসলাম, বিজিবি ৪৮ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লে. কর্নেল আহমেদ ইউসুফ জামিল, জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. জাহাঙ্গীর আলম, কাস্টমস, এক্সাইজ ও ভ্যাট কমিশনারেট সিলেটের সহকারী কমিশনার প্রভাত কুমার সিংহ, মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদফতর সিলেটের প্রসিকিউটর জীবন মাহমুদ, সহকারী পুলিশ সুপার আনিসুর রহমান খান ও পরিবেশ অধিদফতরের সহকারী পরিচালক সুকুমার সাহা প্রমুখ।