কুষ্টিয়া প্রতিনিধি:: কুষ্টিয়া শহরের এক প্রবাসীর স্ত্রীকে ধর্ষণের পর মুঠোফোনে ভিডিও ধারন করা মামলার আসামী রবিউল ইসলাম সোহাগ (২০) ও শাকিল আহমেদ (২২) কে তিনদিন করে রিমান্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত। আজ সোমবার দুপুরে কুষ্টিয়ার অতিরিক্ত চিপ জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতের বিজ্ঞ বিচারক রেজাউল করিম এই আদেশ দেন।
কুষ্টিয়া মডেল থানার ওসি ও মামলার তদন্ত কর্মকর্তা মোঃ শওকত কবির জানান, গত ১২ ফেব্রæয়ারী এই গণধর্ষণ মামলার তিন আসামীকে গ্রেফতার করে আদালতে সোপর্দ করে রবিউল ইসলাম সোহাগ ও শাকিল আহমেদের ৫দিন করে রিমান্ডের আবদেন করা হয়। আজ দুপুরে বিজ্ঞ আদালত এই দুই আসামীর প্রত্যেককে ৩দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেন। মামলার আরেক আসামী বাড়ির মালিক মাছুম আলি (৩৫) ১৬৪ ধারায় আদালতে স্কাকারোক্তীমূলক জবানবন্দী দিয়েছে। উল্লেখ্য, ধর্ষিতা প্রবাসীর স্ত্রী গত ১০ ফেব্রæয়ারী বুধবার বিকেলে সন্তানকে কোচিংয়ে দিয়ে বাইরে অপে¶া করছিলেন ্ ।
এ সময় আগে থেকে পরিচিত এক নারী তাঁকে গল্প করার কথা বলে শহরের একটি বাসায় নিয়ে যান। সেখানে যাওয়ার পর ওই নারীর মুঠোফোনে ফোন এলে তিনি বাইরে থেকে দরজা আটকে চলে যান। এ সময় পাশের ক¶ে অবস্থান করা দুই যুবক ওই গৃহবধূ ও তার চার বছরের শিশুপুত্রকে মারধর করেন এবং ওই গৃহবধূকে ধর্ষণ করেন।
পরে ধর্ষণের ভিডিও ধারণ করে দেড় লাখ টাকাও দাবি করেন। এই ভিডিও ওই গৃহবধূর আত্মীয়¯^জনের মুঠোফোনে মেসেজের মাধ্যমে পাঠিয়ে দেওয়ার কথা বলে হুমকি দিতে থাকেন যুবকেরা। গৃহবধূ তাঁদের হাত-পা ধরে বারবার মাফ চান। টাকা দেওয়ার শর্তে তাঁকে ছেড়ে দেওয়া হয়। বাড়িতে ফিরে ওই গৃহবধূ বিষয়টি তাঁর ¯^জনদের জানান। এ সময় ওই গৃহবধূর মুঠোফোনে কল করে ওই যুবকেরা ৫০ হাজার টাকা পাঠাতে বলেন। গৃহবধূর এ কথোপকথন নিজের মুঠোফোনে রেকর্ড করে রাখেন। পরে কুষ্টিয়া মডেল থানা-পুলিশ ও র্যাবকে বিষয়টি অবহিত করেন তিনি। পুলিশ প্রযুক্তি ব্যবহার করে ওই যুবকদের অবস্থান নিশ্চিত করে বৃহস্পতিবার রাতে ঈদগাহ পাড়ার একটি বাড়িতে অভিযান চালিয়ে অভিযুক্ত দুজনকে আটক করেন এবং শুক্রবার দুপুরে একই অভিযোগে ্ওই বাড়ির মালিক মাছুম আলি (৩৫)কে আটক করা হয়। এই ধর্ষনের ঘটনায় ্ওই গৃহবধু কুষ্টিয়া মডেল থানায় মামলা দায়ের করেন।