সিলেট৭১নিউজ ডেস্ক:: এক পাকিস্তানকে সামলাতে গিয়েই হিমশিম খেতে হয় ভারতকে। সেই জ্বালার ওপর বিষফোঁড়া হয়ে দেখা দিয়েছে চীন। এবার চীন ভারতের একেবারে সীমান্ত ঘেষে ছোটাবে বুলেট ট্রেন। যার পরোক্ষ উদ্দেশ্যই হলো ভবিষ্যতের প্রয়োজনে দ্রুতগতিতে ভারত সীমান্তে নিজেদের সেনা-গোলাবরুদসহ যুদ্ধ সরঞ্জাম পাঠানো!
জানা গেছে, আগামী জুলাইয়ের মধ্যেই তিব্বতে উচ্চগতির বুলেট ট্রেন চালু করবে চীন। ৪৩৫ কিলোমিটার লম্বা এই রুটটিতে তিব্বতের প্রথম ইলেকট্রিক ট্রেন সেবা শুরু হতে চলেছে। এটি তিব্বতের লাসা থেকে ভারতের অরুণাচল সীমান্ত ঘেঁষে কাছে চীনের নিংচি পর্যন্ত চলবে।
চিন রেল সংস্থার প্রধান লু ডংফু জানিয়েছেন, ২০১৪ সাল থেকে বুলেট ট্রেন প্রকল্পের কাজ শুরু হয়েছিল। তিব্বতের লাসা থেকে অরুণাচল সীমান্তের কাছে চিনের নিংচি পর্যন্ত মিলবে এই পরিষেবা।
অরুণাচল সীমান্ত থেকে নিংচির দূরত্ব খুব বেশি হলে ৫০ কিলোমিটার। অর্থাৎ ভারতের ঘাড়ের উপরই তৈরি হয়েছে এই রুটটি। যদিও যাত্রীবাহী পরিষেবার জন্যই এই পরিকাঠামো তৈরি বলে দাবি চিনের। তবুও ভারতের প্রতিরক্ষা বিশ্লেষকরা বিষয়টি নিয়ে উদ্বিগ্ন।
তাদের দাবি, লাসা-নিংচি বুলেট ট্রেন চললে মুহূর্তের নির্দেশে অরুণাচল সীমান্তে সেনাদল পাঠাতে সক্ষম হবে চীন। ফলে যুদ্ধের পরিস্থিতিতে ভারতীয় সেনার প্রতিরক্ষা সমীকরণ পাল্টে দিয়ে যাত্রীবাহী ট্রেনে তিব্বত থেকে বিশাল সেনাদল বুলেট ট্রেনে পাঠিয়ে দিতে পারে চিনা ফৌজ।
প্রসঙ্গত, গালওয়ান উপত্যকায় চীনের সঙ্গে ভারতীয় সেনার সংঘর্ষের পর থেকেই রণনীতি পাল্টেছে ভারত। পাকিস্তান ভিত্তিক ‘ইনফ্যান্টরি ফর্মেশন’ ছেড়ে ড্রোন ও উন্নতমানের মিসাইল প্রযুক্তি তথা পাহাড়ে যুদ্ধের কৌশল ঝালিয়ে নিচ্ছে দেশটি।
ভারতীয় সমর বিশেষজ্ঞদের মতে, এতদিন ভারতীয় সেনার রণনীতি ছিল পাকিস্তান কেন্দ্রিক। যা ‘কোল্ড স্টার্ট ডক্ট্রিন’ নামে পরিচিত। সোজা কথায়, বিশাল ট্যাংক বাহিনীর সঙ্গে হাজার হাজার সৈনিক নিয়ে রাজস্থানের মরু অঞ্চল বা পাঞ্জাবের সমতল থেকে হামলা চালিয়ে পাকিস্তানকে দু’ভাগে ভাগ করে ফেলা। কিন্তু লাদাখ বা অরুণাচলের পাহাড়ি অঞ্চলে তা কাজ করবে না। ফলে সময় ও পরিস্থিতির দাবি মেনে চিন কেন্দ্রিক সমরকৌশল তৈরি করা উচিত বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা।
সূত্র : ইন্ডিয়াটাইমস
সিলেট৭১নিউজ/আবিদ