অনলাইন ডেস্কঃনায়িকা হিসেবে আলোচিত হয়েছেন ববি। ছিলেন র্যাম্প মডেল। ২০১০ সালে চলচ্চিত্রে অভিষেক ইফতেখার চৌধুরীর ‘খোঁজ : দ্য সার্চ’ ছবির মধ্য দিয়ে। অভিষেকেই দৃষ্টি কেড়েছিলেন। পাশাপাশি তার বেশ কিছু ছবি ব্যবসা সফলতাও পেয়েছে। এসব ছবিতে তার অভিনয় ও পারফরমেন্সও প্রশংসিত হয়েছে। এদিকে নিজের প্রযোজিত ছবি ঘোষণার পর বর্তমানে ইউরোপের দেশ মালটায় দুটি ছবির কাজ নিয়ে ব্যস্ত সময় পার করছেন। ছবি দুটি পরিচালনা করছেন ইফতেখার চৌধুরী। ছবির লোকেশন, গল্প, চরিত্রসহ নানা বিষয় নিয়ে টেলিফোনের মাধ্যমে আজকের ‘আলাপন’-এ কথা বলেছেন তিনি। তার সাক্ষাৎকারটি নিয়েছেন কামরুজ্জামান মিলু
সম্প্রতি মালটায় গিয়েছেন, কেমন লাগছে দেশটা ?
বেশ ভালো লাগছে। ইউরোপের দারুণ একটা দেশ মালটা। চারপাশে যা কিছু দেখছি মন ভরে যাচ্ছে। এখানে কাজ করতে এসে মনটাই ভালো হয়ে গেছে। ছবিগুলোর দৃশ্যায়ন দেখে দর্শক সত্যিই মুগ্ধ হবেন।
কবে গিয়েছেন মালটা ? আর কাজ কেমন হচ্ছে ?
১৬ই নভেম্বর। মালটায় পৌছানোর পর থেকেই টানা কাজ করছি। কাজ ভালো হচ্ছে। প্রথমে ‘নীলিমা’ ছবির কাজ শুরু করেছি। এটা প্রায় শেষ। এ ছবিতে আমার বিপরীতে অভিনয় করছেন র্যাম্প মডেল সাঞ্জু জন। এটি তার দ্বিতীয় ছবি। এর আগে ‘স্টোরি অব সামারা’ ছবিতে অভিনয় করেছেন। আরও কিছু বিদেশি অভিনয়শিল্পী রয়েছেন ‘নীলিমা’ ছবিতে। রোমান্টিক গল্পের ছবি এটি।
আর ‘মালটা’ ছবির খবর কি ?
এ ছবিতে আমার বিপরীতে অভিনয় করবেন বলিউড অভিনেতা ভাটশাল শেঠ। থাকছেন বলিউড তারকা গুলশান গ্রোভারও। মাল্টাতে এ ছবির দ্রুত কাজ করব আমরা। ‘মালটা’ ছবিটিতে সংগীত পরিচালনা করবেন বলিউডের বিখ্যাত সংগীত পরিচালক আনু মালিকের ভাগ্নে আরমান মালিক। চিত্রগ্রহণে থাকছেন বলিউডের বিখ্যাত ছবি ‘চাক দে ইন্ডিয়া’র চিত্রগ্রাহক অনীল সিং। নৃত্য পরিচালনায় আছেন কলকাতার সফল নৃত্যপরিচালক আদিল শেখ। ছবিটিতে একসঙ্গে তিন ভাষায় সংলাপ থাকবে। ইংরেজি ভাষায় সংলাপ থাকবে ৩০ শতাংশ, বাংলায় ৬০ শতাংশ এবং বাকি সংলাপ থাকবে মালটার স্থানীয় ভাষায়। তবে ছবিটির প্রায় ৯০ শতাংশ শুটিং হবে মালটায়। আর আমার জানা মতে বাংলাদেশের কোনো ছবির শুটিং এর আগে মালটায় হয় নি।
এ ছবির প্রযোজক কারা ?
যৌথ প্রযোজনার ছবি এটি। তবে ভারতীয় প্রযোজক নয়, আমরা কাজ করছি যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্যের প্রযোজকদের সঙ্গে। ইউরোপের সমুদ্রঘেরা ছোট্ট দ্বীপরাষ্ট্র মালটায় ঘটে যাওয়া ঘটনা নিয়ে লেখা হয়েছে সিনেমাটির কাহিনি। লিখেছেন ইফতেখার চৌধুরী। সিনেমাটি প্রযোজনা করছে ইংল্যান্ড, আমেরিকার ট্রাইটন ফিল্ম প্রডাকশনস ও কেবি পিকচার্স। এটি একটা আন্তর্জাতিক প্রজেক্ট।
এ পর্যন্ত কতগুলো ছবি মুক্তি পেয়েছে আপনার ?
আমার অভিনীত এ পর্যন্ত ১৫ টি ছবি মুক্তি পেয়েছে। এরমধ্যে ‘ব্ল্যাকমেইল’, ‘হিরো দ্য সুপারস্টার’, ‘রাজাবাবু’, ‘রাজত্ব’, ‘রক্ষা’, ‘ফুল অ্যান্ড ফাইনাল’, ‘আই ডোন্ট কেয়ার’সহ বেশকিছু ছবি দর্শকরা গ্রহণ করেছে। এ ছবিগুলোর কথা এখনও বলে মানুষ, দর্শকের কাছে এটাই আমার একটা বড় পাওয়া।
‘নীলিমা’ও ‘মালটা’ ছবি দুটি নিয়ে কেমন আশাবাদী আপনি ?
আমি তো মনে করছি, এ দুটি ছবি আমার ক্যারিয়ারের জন্য প্লাস হবে। আর এ ধরনের ছবি দর্শকরা আগে কখনই দেখেননি। তাই দুটি ছবি নিয়েই বেশ আশাবাদী আমি। আমার বিশ্বাস, ছবি দুটি দেখে কোনো দর্শক হতাশ হবে না।
মালটা থেকে দেশে ফিরে নতুন পরিকল্পনা কি ?
দেশে ফিরে আরও কয়েকটি নতুন ছবির কাজ শুরু করবো। সেসবের মধ্যে একটি শামিম আহমেদ রনির পরিচালনা করার কথা রয়েছে। আর অন্য সবকিছু এখনই জানাতে চাই না। সময় হলেই জানিয়ে দিব।