সিলেটের এমসি কলেজ ছাত্রাবাসে তরুণীকে দলবেঁধে ধর্ষণের ঘটনায় করা মামলার শুনানি হয়নি। মামলার বিচারকাজ নিয়ে হাইকোর্টের দেওয়া নির্দেশ স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে প্রক্রিয়াধীন থাকায় রোববার (৭ মার্চ) আলোচিত এ মামলার শুনানি হয়নি। সিলেট নারী ও শিশু নির্যাতন ট্রাইব্যুনালের বিচারক মোহিতুল হক ইনাম চৌধুরী জানিয়েছেন, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে আদেশ আশার পরপরই বিচারপ্রক্রিয়া শুরু হবে।
বিষয়টি নিশ্চিত করে বাদীপক্ষের আইনজীবী শহীদুজ্জামান চৌধুরী বলেন, সিলেট নারী ও শিশু নির্যাতন ট্রাইব্যুনালে একই সঙ্গে দুই মামলা চলার বিষয়ে অবগত করলে আদালত আমাদের জানিয়েছেন, একই সঙ্গে একই ট্রাইব্যুনালে দুই মামলার বিচার কার্যক্রম চলার জন্য একটি রিকুইজিশন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে গেছে। সেখান থেকে আদেশ আসার পরপরই মামলার কার্যক্রম শুরু হবে।
তিনি আরও বলেন, ছাত্রাবাসে তরুণীকে তুলে নিয়ে ধর্ষণের আগে তার স্বামীকে (মামলার বাদী) মারধর ও টাকা ছিনিয়ে নেওয়ার ঘটনা ঘটেছিল। এ ঘটনায় ছিনতাইয়ের অভিযোগে আরও একটি মামলা হয়। ধর্ষণ মামলার আট আসামিই এই মামলার আসামি। এতে ধর্ষণ মামলার ৫১ জন সাক্ষীকেও সাক্ষী হিসেবে রাখা হয়েছে। একই ঘটনার পৃথক দুটি মামলা একই ট্রাইব্যুনালে চললে বাদীপক্ষ ন্যায় বিচার পাবেন। সেই সঙ্গে বিচারকাজ বিলম্বিত হবে না বলে মন্তব্য করেন তিনি।
এদিকে রোববার সকালে কঠোর নিরাপত্তায় গণধর্ষণ মামলার আট আসামিকে আদালতে হাজির করে পুলিশ। পরে শুনানি না হওয়ায় তাদের কারাগারে পাঠানো হয়েছে। এর আগে গত ৭ ফেব্রæয়ারি সিলেট এমসি কলেজ ছাত্রাবাসে গণধর্ষণের ঘটনায় করা মামলায় ধর্ষণ ও চাঁদাবাজির বিচার একসঙ্গে একই আদালতে করার নির্দেশ দিয়েছিলেন আদালত।
উল্লেখ্য, গেল বছরের ২৫ সেপ্টেম্বর রাতে সিলেটের এমসি কলেজ ছাত্রাবাসে স্বামীকে বেঁধে তরুণীকে গণধর্ষণ করেন ছাত্রলীগের কয়েকজন কর্মী। এ ঘটনায় তরুণীর স্বামী বাদী হয়ে শাহপরান থানায় মামলা করেন। মামলায় আটজনকে অভিযুক্ত করে গত ৩ ডিসেম্বর আদালতে অভিযোগপত্র দেয় পুলিশ।
তারা হলেন সাইফুর রহমান, শাহ মাহবুবুর রহমান ওরফে রনি, তারেকুল ইসলাম ওরফে তারেক, অর্জুন লস্কর, আইনুদ্দিন ওরফে আইনুল ও মিসবাউল ইসলাম ওরফে রাজন, রবিউল ইসলাম ও মাহফুজুর রহমান ওরফে মাসুম। আট আসামিই বর্তমানে কারাগারে রয়েছেন।