স্টাফ রিপোর্টার:তৃণমূল থেকে তিলে তিলে গড়ে উঠা বঙ্গবন্ধুর আদর্শের কর্মীবান্ধব ছাত্র নেতা মৌলভীবাজার জেলার বড়লেখা উপজেলা শাখার সাবেক ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক ফরহাদ আহমদ।
দলের সকল কর্মসূচি এবং ভিশন বাস্তবায়নের একজন নিরলস নিভৃতচারী কর্মি হিসিবে তৃনমূলের রাজনীতিবিদ নেতাকর্মীদের কাছে রয়েছে তার ব্যাপক সুনাম ।
জনসাধারণের কাছে একজন শিক্ষিত, ভদ্র, পরিচ্ছন্ন ইমেজের ব্যাক্তি হিসেবেই উপজেলা জুড়ে তার বহুল পরিচিতি।
বাংলাদেশ আওয়ামিলীগের সভাপতি ও বর্তমান সরকারের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও মৌলভীবাজার-১ আসনের সাংসদ বন ও পরিবেশ মন্ত্রী আলহাজ্ব শাহাব উদ্দিনের হাতকে শক্তিশালী করতে দীর্ঘ দিন ধরে কাজ করে আসছেন সফল সাবেক এই ছাত্রলীগ নেতা।
স্কুল জীবন থেকে বঙ্গবন্ধুর আদর্শকে বুকে লালন করে তার পথচলা।
২০০৫ সালে বড়লেখার স্বনামধন্য পি.সি উচ্চ বিদ্যালয়ে বঙ্গবন্ধুর আর্দশের ছাত্র সংগঠন বাংলাদেশ ছাত্রলীগের প্রাথমিক সদস্য হন।
পরবর্তী উপজেলার ঐতিহ্যবাহী বিদ্যাপীঠ বড়লেখা সরকারি কলেজ >তৎকালীন( বড়লেখা ডিগ্রি কলেজ ) থেকে তার রাজনৈতিক জীবনের শুরু।
লেখা পড়ার পাশাপাশি ছাত্র নেতৃত্বে দক্ষতা ও তার সৃজনশীলতাকে কাজে লাগিয়ে বাংলাদেশ ছাত্রলীগের কলেজ শাখার সাংগঠনিক সম্পাদক পদে নির্বাচিত হন।
সময়ের সাথে সাথে ছাত্রলীগ কর্মীদের ভালবাসা তৃনমূলের কাছে বঙ্গবন্ধু প্রেমী এক আদর্শ ছাত্রনেতা হিসেবে স্থানীয় ভাবে তার বহু পরিচিতি প্রকাশ পায়।
এই পদে তার বেশিদিন থাকতে হয়নি সল্পদিনের ব্যবধানে তিনি ছাত্রলীগের কলেজ কমিটির সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হয়ে নিজের সাংগঠনিক দক্ষতাকে আরো প্রসারিত করেন।
কলেজ অঙ্গনে বহুল আলোচিত নাম হয়ে উটে ফরহাদ আহমদ,দলমত নির্বিশেষে সবার কাছে তিনি ‘ ফরহাদ ভাই নামে’ পরিচিত লাভ করেন।
রাজনীতির পাশাপাশি সামাজিক চিন্তা চেতনা থেকে কলেজে ভর্তী হওয়া অসহায় ছাত্র/ছাত্রীদের সকল প্রকার সহযোগিতা সহ তাদের বঙ্গবন্ধুর আর্দশে চলার অনুপ্রেরণা যোগাতেন।
বঙ্গবন্ধুর আদর্শ পৌঁছে দিতেন নতুন প্রজন্মের কাছে কলেজ জীবনেই তার হাতে গড়া উপজেলা জুড়ে রয়েছে অগণিত বঙ্গবন্ধুর আদর্শের ছাত্রলীগ কর্মী যারা বর্তমানে নেতৃত্ব দিচ্ছে ছাত্রলীগের বিভিন্ন ইউনিট।
সর্বশেষ ছাত্রলীগের বড়লেখা ডিগ্রি কলেজ শাখার আহবায়ক কমিটির যুগ্ম আহবায়ক পদে নির্বাচিত হয়ে কলেজ জীবনে রাজনীতির পরিসমাপ্তি ঘটে এই ছাত্রনেতার।
বাংলাদেশ সরকারের নির্বাচনী আসনের বৃহৎ ভোট ব্যাংক মৌলভীবাজার-১ আসন।
আর এই নির্বাচনী আসনটিতে বিজয়ী হতে হলে আওয়ামিলীগের পাশাপাশি ছাত্র সংগঠন ছাত্রলীগের ভুমিকাও অপরিসীম।
স্কুল -কলেজের রাজনৈতিক অভিজ্ঞতাকে কাজে লাগিয়ে বঙ্গবন্ধুর আদর্শের তৃনমূলের এই ছাত্রনেতা উপজেলা ছাত্রলীগের হয়ে মাঠ পর্যায়ে নির্বাচনী প্রচারণার ভুমিকায় ছাত্রলীগের সকল ইউনিটের নেতা কর্মীদের ঐক্যবদ্ধ করে কাজ করেন।
তার চৌকস মেধা দক্ষতা ও ক্লিন ইমেজের কারণে খুব সহজে মৌলভীবাজার জেলা ও বড়লেখা উপজেলার আওয়ামীলীগ সহ ছাত্রলীগের নেতৃবৃন্দের চুখে পড়েন।
ছাত্রলীগের উপজেলা কমিটিতে তার কর্ম দক্ষতা রাজনীতিক কৌশলে সহজেই স্থান করে নেন সাংগঠনিক পদ।
২০১৩ সালে ছাত্রলীগে বড়লেখা উপজেলা শাখা কমিটির প্রথম যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক পদে নির্বাচিত হন।
পরতবর্তী ২০১৭ সাল থেকে ২০১৯ সালের অক্টোবর মাস পর্যন্ত সফল ভাবে সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্বও পালন করেন কর্মী বান্ধব ফরহাদ ।
শত বাঁধা পেরিয়ে তার এই রাজনৈতিক সফলতা অর্জনে রাজনীতির মাঠে রক্ত দিতে হয়েছে বহুবার। রাষ্ট্রীয় নিষিদ্ধ সংগঠন জামায়াতে ইসলাম ও ছাত্র সংগঠন ছাত্র শিবির ক্যাডারদের হাতে হামলা ও ষড়যন্ত্র মূলক মামলার শিকার হয়েও মাঠ ছাড়েননি
বঙ্গবন্ধুর আদর্শের মাঠের এই ছাত্র নেতা।
জামাত বিএনপির রাষ্ট্রদ্রোহি তান্ডবের প্রতিবাদে উপজেলা শহরে ছিল তার অতুলনীয় ভুমিকা।
স্কুল জীবনে কিভাবে কর্মীবান্ধব তরুণ এই নেতা জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর আদর্শের রাজনৈতিক অনুপ্রেরণা বিশ্বাসী হলেন এমন প্রশ্ন ′′সিলেট ৭১ নিউজ′′ এর। তার উত্তরে সাবেক এই নেতা ফরহাদ আহমদ প্রতিবেদককে জানান, তার রাজনৈতিক জীবনের প্রথম পথপ্রদর্শক হলেন তার বাবা আলহাজ্ব বলু মিয়া, মূলত বঙ্গবন্ধুর আদর্শে বিশ্বাসী আমার বাবা ,ছোট ভেলা থেকে বঙ্গবন্ধুর জীবনী,তার রাজনৈতিক জীবন, বঙ্গবন্ধুর জীবনীগ্রন্থ সহ না না দিক আলোচনা করতেন।সেই জায়গা থেকে পারিবারিক ভাবে বাবার অনুপ্রেরণায় বঙ্গবন্ধুর প্রতি ভালবাসা তার আদর্শকে অনুসরণ করা।আমার বাবা এখনো আওয়ামীলীগের একজন নিষ্ঠাবান কর্মী। বড়লেখা উপজেলার সদর ইউনিয়নের ৪ নং ওয়ার্ডের সাধারণ-সম্পাদক পদে বহু বছর যাবদ রাজনীতি করে আসছেন।
বাবার আদর্শে অনুপ্রেরিত হয়ে মহান স্বাধীনতার স্থপতি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানে হাতে গড়া সংগঠন বাংলাদেশ ছাত্রলীগে একজন কর্মী হিসেবে দেশ এবং জাতির কল্যাণে কাজ করে আসছি।
ফরহাদ আরো জানান, দলের জন্য যে কোন ত্যাগ স্বীকারে সদা প্রস্তুত তিনি ।
ফরহাদের বিষয়ে বর্তমান ছাত্রলীগের এক কর্মির সাথে আলাপ হলে তিনি জানান,
বিগত ২০১৯ সালে অক্টোবর মাসে বাংলাদেশ ছাত্রলীগ বড়লেখা উপজেলা শাখার নির্বাচনে তৃণমূলের পক্ষ থেকে একমাত্র সভাপতি কেনডিটেট ছিলেন কর্মীবান্ধব ছাত্রনেতা ফরহাদ আহমদ।
কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের গঠনতন্ত্রগত একটি বিধিনিষেধ থাকার ফলে এই কমিটিতে আর স্থান করে নিতে পারেননাই তিনি।
ছাত্রলীগের গঠনতন্ত্রের প্রতি শ্রদ্ধা রেখে সভাপতির পদ ত্যাগ করে ছাত্রলীগের রাজনীতিতে আমাদের কাছে অনুকরণীয় হয়ে থাকবেন তিনি।
তরুন এই ছাত্র নেতা জামাত বিএনপির রাষ্ট্রদ্রোহি তান্ডবের প্রতিবাদের ফলে নিষিদ্ধ সংগঠন ছাত্র শিবিরের ক্যাডারদের হাতে নির্যাতন হামলা মামলারও শিকার হয়েছিলেন।
বর্তমানে বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ ও অঙ্গ-সংগঠনের ঠিকানা প্রসার থেকে প্রসারিত করতে বৃহৎ বড়লেখা উপজেলা জুড়ে রয়েছে বহু নিবেদিত কর্মী। দলের জন্য যে কোন ত্যাগ স্বীকারে সদা প্রস্তুত এই ত্যাগী নেতা।
গত ২০১৯ সালে অক্টোবর মাসে বাংলাদেশ ছাত্রলীগ বড়লেখা উপজেলা শাখার নির্বাচনে তৃণমূলের পক্ষ থেকে একমাত্র সভাপতি কেনডিটেট ছিলেন কর্মীবান্ধব ছাত্রনেতা ফরহামদ আহমদ।
কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের গঠনতন্ত্রগত একটি বিধিনিষেধ থাকার ফলে এই কমিটিতে আর স্থান করে নিতে পারেননাই তিনি।
ছাত্রলীগের গঠনতন্ত্রের প্রতি শ্রদ্ধা রেখে সভাপতির পদ ত্যাগ করে ছাত্রলীগের রাজনীতিতে অনেকের কাছেই অনুকরণীয় থাকবেন তিনি।
বর্তমানে সাবেক এই ছাত্র নেতার অনেক কর্মীর দাবী বাংলাদেশ সরকারের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা ও মাননীয় মন্ত্রী শাহাব উদ্দিনের হাতকে আরো শক্তিশালী করতে। রাজনীতির মাঠকে উজ্জীবিত করতে কর্মি বান্ধব নেতাকে আগামী ৫( মার্চ )আওয়ামিলীগের অঙ্গসংগঠন বড়লেখা উপজেলা সেচ্ছাসেবক লীগের সমাবেশে তৃনমূলের এই নেতাকে সাধারণ সম্পাদক পদে মুল্যায়ন করার দাবি জানান তারা ।