যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্প এবং ফার্স্টলেডি মেলানিয়া ট্রাম্পের দাম্পত্য সম্পর্ক নিয়ে ভয়াবহ পূর্বাভাস দিয়েছেন বৃটেনের ডেটিং বিষয়ক বিশেষজ্ঞ চ্যানেল ৪-এর সাবেক সেলেব্রিটি বিষয়ক ‘গো ডেটিং কোচ’ লেডি নাদিয়া এসেক্স। তিনি বলেছেন, ট্রাম্পের সঙ্গে মেলানিয়ার দাম্পত্য রসায়ন শুন্য। মেলানিয়াকে তিনি ‘বিয়ে করেছেন নামমাত্র’। লেডি নাদিয়া এসেক্স বলেছেন, আগামী প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের আগে যদি মেলানিয়া বিচ্ছেদের আবেদন করেন তাহলে তিনি বিস্মিত হবেন না। তবে এ বিষয়ে সাবেক এই ফার্স্ট দম্পতির কোনো মন্তব্য পাওয়া যায়নি। এ খবর দিয়েছে লন্ডনের অনলাইন এক্সপ্রেস। উল্লেখ্য, গত মাসে হোয়াইট হাউজ ত্যাগ করার পর থেকে তারা বসবাস করছেন ফ্লোরিডায়। কিন্তু তাদের বিচ্ছেদ নিয়ে অব্যাহতভাবে গুঞ্জন ছড়িয়ে পড়ছে।
লন্ডনের দ্য ডেইলি স্টারের সঙ্গে এ নিয়ে কথা বলেছেন লেডি নাদিয়া এসেক্স। তিনি বলেছেন, তাদের মধ্যে রয়েছে ‘জিরো কেমিস্ট্রি’। ট্রাম্পের প্রতি মেলানিয়ার শারীরিক ভাষা বা বডি ল্যাঙ্গুয়েজ খুবই বিরোধপূর্ণ। স্পষ্টত ট্রাম্পের সঙ্গ চান না মেলানিয়া। এমনকি ট্রাম্প যখন তার হাত ধরার চেষ্টা করেন, তখন তাকে হাত সরিয়ে নিতে দেখা গেছে। দাম্পত্য সম্পর্ক বিষয়ক বিশেষজ্ঞ লেডি নাদিয়া এসেক্স বলেন, তাদের মধ্যে বিচ্ছেদ হওয়াটা এখন শুধু সময়ের ব্যাপার। ট্রাম্প প্রেসিডেন্ট থাকা অবস্থায়ই তার সঙ্গে বিচ্ছেদে যেতে পারতেন মেলানিয়া। তবে আগামী নির্বাচনের আগে যদি তিনি বিচ্ছেদের জন্য আবেদন করেন, তাহলে আমি বিস্মিত হবো না।
লেডি নাদিয়া এসেক্স আরো বলেন, তিনি মনে করেন দাম্পত্য সম্পর্ক নিয়ে মেলানিয়া বা ট্রাম্প কেউই সুখী নন। তার ভাষায় ‘আমার বিশ্বাস তারা এরই মধ্যে আলাদা থাকেন। তাদের মধ্যে বিয়ে হয়েছে নামমাত্র। আমার মনে হয় জীবন খুব ছোট। এর মধ্যে অসুখী হওয়ার মতো সময় নেই। বিশেষ করে এমন সম্পর্কের ক্ষেত্রে। আমি জানি মেলানিয়াকে নিয়ে অনেক সমালোচনা আছে। কিন্তু ট্রাম্পের মতো ব্যক্তির সঙ্গে এক দশক ধরে কেউ বিবাহবন্ধনে জড়িত আছেন, এমন কারো প্রতি আমার সহানুভূতি আছে।
ওদিকে এক্সপ্রেস লিখেছে, এর আগে মেলানিয়া ট্রাম্প বলেছিলেন- ট্রাম্পের সঙ্গে তার সম্পর্ক চমৎকার। তাদের মধ্যে কখনো ঝগড়া হয় না। গত বছর নভেম্বরে মেলানিয়া ট্রাম্পের সাবেক চিফ অব স্টাফ স্টেফানি গ্রিশাম এই দম্পতির মধ্যে বিচ্ছেদের গুঞ্জনকে ‘মর্মান্তিক’ বলে অভিহিত করেন। এ কারণে মানুষ মূলধারার মিডিয়ার ওপর আস্থা রাখে না বলে মন্তব্য করেন তিনি। বৈধ কোনো সাংবাদিক এ নিয়ে প্রশ্ন করতে পারেন না। সম্প্রতি আরো গুঞ্জন ছড়িয়ে পড়ে যে, ওয়াশিংটন ত্যাগ করার পর এই দম্পতির বিচ্ছেদ হয়ে যেতে পারে। তবে নিশ্চিত কোনো মাধ্যম থেকে এ বিষয়ে কোনো সুস্পষ্ট উত্তর মেলেনি। ওদিকে গত বছর ট্রাম্পের সাবেক সহযোগী ওমারোসা মানিগাল্ট নিউম্যান দ্য ডেইলি মেইলকে বলেছিলেন, প্রতিটি মিনিট গণনা করছেন মেলানিয়া। ট্রাম্প দায়িত্ব ছাড়লেই তার সঙ্গে সম্পন্ন ছিন্ন করতে পারেন মেলানিয়া। তবে সব গুজবকে উড়িয়ে দিয়ে এখনও পর্যন্ত তারা একসঙ্গে রয়েছেন। সম্প্রতি সিএনএন রিপোর্ট করে যে, সাবেক ফার্স্টলেডি মেলানিয়া হোয়াইট হাউজ ছাড়ার পর দিনের বেশির ভাগ সময় ব্যয় করেন স্পা’তে। এর জবাবে মিডিয়ার অসুস্থ নেশার সমালোচনা করেন মেলানিয়া। এমন রিপোর্টের জবাবে মেলানিয়া ট্রাম্পের অফিস থেকে টুইটে বলা হয়, মিসেস ট্রাম্প এখন আর ফার্স্ট লেডি নন। তিনি একজন সাধারণ নাগরিক। একজন মা। একজন স্ত্রী।