আন্তর্জাতিক ডেস্ক:: এবার চীনে স্কুলগামী ছেলেদের একটি বড় অংশ ‘মেয়েলি’ স্বভাবের হয়ে উঠেছে। তাই তাদের ‘পুরুষত্ব’ ফেরাতে উদ্যোগ গ্রহণ করছে কর্তৃপক্ষ। এ জন্য ছেলে শিশুদের জন্য শরীরচর্চা ক্লাসের সংখ্যা বাড়ানোর পরিকল্পনা করছে দেশটির শিক্ষা মন্ত্রণালয়। স্কুলগুলোতে আরো ক্রীড়া প্রশিক্ষক নিয়োগের প্রস্তাব দেওয়ার পাশাপাশি প্রাথমিক ও মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে শরীরচর্চা ক্লাসগুলোকে নতুন করে ঢেলে সাজানোর সুপারিশও করা হয়েছে। সূত্র: দ্য নিউইয়র্ক টাইমস
গত সপ্তাহে এমন একটি পরিকল্পনা প্রকাশিত হলে এর পক্ষে-বিপক্ষে ঝড় ওঠেছে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে। চীনের টুইটার খ্যাত মাইক্রোব্লগিং সাইট ওয়েইবোতে এ নিয়ে একটি হ্যাশট্যাগ ১৫০ কোটিবার দেখেছেন ব্যবহারকারীরা। এদিকে চীনা শিক্ষাবিদরা একে ‘পুরুষত্বের সংকট’ বলে অবহিত করেছে।
গত বছরের মে মাসে চীনের পিপলস কনসালটেটিভ কনফারেন্সের স্ট্যান্ডিং কমিটির শীর্ষ প্রতিনিধি শি জেফু ‘পুরুষ সন্তানদের মেয়েলিভাব মোকাবিলা’ শীর্ষক প্রস্তাবনা দেন। তার ওপর ভিত্তি করেই সাম্প্রতিক সময়ে পরিকল্পনা প্রকাশ করেছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়।
সাম্প্রতিক সময়ে সশস্ত্র বাহিনীকে শক্তিশালী করার উদ্যোগ নিয়েছে চীন। তবে এ জন্য এক সন্তাননীতির আওতায় জন্ম নেওয়া ছেলে শিশুদের দুর্বল মনোভাব এবং মেয়েলি স্বভাবের বলে মনে করছে দেশটির কর্তৃপক্ষ। এর ফলে টেলিভিশন সম্প্রচারে পুরুষ পপতারকাদের কান ফোঁড়ানোও ঝাপসা করে দেখানো হয়। রূপচর্চা সচেতন অনেক অভিনেতাকে ‘লিটল ফ্রেশ মিট’ মতো অপমানজনক সম্বোধন করা হয় জনসাধারণের আলোচনায়।
অনেক অভিভাবক এই ধারণার বশবর্তী হয়ে সামরিক প্রশিক্ষণের আদলে গড়ে ওঠা শরীরচর্চা কেন্দ্রে ছেলে শিশুদের পাঠাচ্ছেন। এতে সন্তানেরা ‘প্রকৃত পুরুষ’ হতে পারবে বলেই বিশ্বাস তাদের।
শি জেফু এক বিবৃতিতে বলেন, ‘স্কুলে নারী শিক্ষকদের প্রাধান্য এবং পপ কালচারের ‘সুন্দর বালক’ হয়ে ওঠার জনপ্রিয়তা থেকে পুরুষ শিশুরা ‘দুর্বল আর নম্র’ স্বভাবের হয়ে ওঠছে। ছেলে শিশুরা আর যুদ্ধক্ষেত্রের নায়ক হতে চায় না। এ প্রবণতা অব্যাহত থাকলে আগামী দিনে চীনের জাতীয় নিরাপত্তা হুমকির মুখে পড়বে বলেও মনে করেন তিনি।