এসবিএন ষ্টাফ রিপোর্টার
সিলেটের সীমান্ত এলাকা জকিগঞ্জ উপজেলার থানা বাজার এল এফ মাদ্রাসায় সার্টিফিকেট জালিয়াতি করে অনেক দিন ধরে শিক্ষকতা করে আসছেন, জকিগঞ্জ উপজেলার লালোগ্রাম গ্রামের মৃত তবারক আলীর পুত্র আব্দুল মালিক। গোপন সু্ত্রে জানা যায়, আব্দুল মালিক নামের ঐ ব্যাক্তির শিক্ষাগত যোগ্যতা অষ্টম শ্রেণী পর্যন্ত। সে মাদ্রাসার তৎকালীন সুপারেনডেন্ট মোঃ শরিফুর রহমান কে ছলে-বলে কৌশলে বুঝিয়ে চাকরি নিয়ে নেয়। শিক্ষক হিসেবে তাহার ইনডেস্ক নং ৩১৩১২৬। অনুসন্ধানে ভোটার তালিকায় দেখা যায়, প্রতারক আব্দুল মালিকের জন্ম তারিখ ১৬ই ডিসেম্বর ১৯৭১ইং এই হিসাবে তাহার বয়স ৪১ বছর ৯ মাস ৪ দিন। কিন্তু তাহার ঔরসজাত প্রথম ছেলে মোঃ রায়হান উদ্দিন এর জন্ম তারিখ ১লা এপ্রিল ১৯৭৫ইং এই হিসাবে ৪০ বছর ৫ মাস ১৯ দিন। পিতার বয়স থেকে বড় ছেলের বয়েসের ব্যবধান ১ বছর ৩ মাস ১৬ দিন। এ ছাড়া ঐ জালিয়াত শিক্ষক আব্দুল মালিকের ঔরসজাত দ্বিতীয় ছেলে মোঃ ছালেহ আহমদের জন্ম ২রা অষ্টোবর ১৯৭৯ইং এই হিসাবে তার বয়স ৩৬ বছর ১৮ দিন। পিতা পুত্রের বয়সের ব্যাবধান ৫ বছর ৮ মাস ১৭ দিন। এ ছাড়া প্রতারক শিক্ষক আব্দুল মালিকের এক মাত্র স্ত্রী চাচাতো বোন মোছাঃ ফয়জুন নেছার কাবিন অনুযায়ী জন্ম ২৮শে এপ্রিল ১৯৫৮ইং এই হিসাবে তার বয়স ৫৭ বছর ১ মাস ১৮ দিন। অর্থাৎ আবদুল মালিকের জন্মের তালিকা অনুযায়ী ১ বছর ৭ মাস ১৮ দিন পূর্বে স্ত্রীর সাথে তাহার বিবাহ হয়।
এ দিকে এ বিষয়ে টেলিফোনে জানতে চাইলে থানা বাজার এল এফ দাখিল মাদ্রাসার সুপার শিহাব উদ্দিন এসবিএন কে বলেন ঐ প্রতারক শিক্ষক সম্পর্কে তিনি জ্ঞাত এবং তাহার জালিয়াতির কথা তিনি শিক্ষা অফিসার-কে বলেছেন শিঘ্রই তাহার বিরুদ্ধে ব্যাবস্থা নেওয়া হবে বলে জানান তিনি। এ ছাড়া প্রতারক আব্দুল মালিক-কে ফোন করলে সাংবাদিক পরিচয় শুনার পর তিনি লাইন কেটে দেন। এ ছাড়া মাদ্রাসার ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি তুতি মিয়া-কে টেলিফোনে পাওয়া যায় নি।