বিনোদন ডেস্ক:: আসিফ ইকবাল বাংলা চলচ্চিত্রের পরিচিত মুখ। ছিলেন চিত্রনায়ক মান্নার খুব ঘনিষ্ঠ। আসিফের হাত ধরেই চলচ্চিত্র জগতে এসেছেন বর্তমানে বাংলাদেশ শিল্পী সমিতির সাধারণ সম্পাদক জায়েদ খান। চলচ্চিত্র ও বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে কথা বলেছেন এই অভিনয়শিল্পী। তিনি মনে করেনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাত ধরে দেশ যেভাবে এগিয়ে যাচ্ছে। সেভাবেই থমকে থাকা চলচ্চিত্রও প্রধানমন্ত্রীর মাধ্যমেই সামনে এগিয়ে যাবে বলে মনে করেন তিনি।
এ সময়ের ব্যস্ততা নিয়ে আসিফ ইকবাল বলেন, ‘বর্তমানে বাসাতেই আছি। আমার এক বছরের ছোট একটি বাচ্চা আছে ওর নাম আলিফ। আপাতত ওকে নিয়েই সময় পার করছি। আর করোনাকালীন পরিস্থিতি অতিক্রম করলে আর সিনেমা যদি হয় তাহলে হয়তো কাজ করবো। আল্লাহর কাছে বলছি, আল্লাহ যদি তৌফিক দেন তাহলে কাজ শুরু করবো আবার কাজ।’
করোনার সময় অসহায় শিল্পীদের পাশে ছিলেন উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘করোনার সময় দরিদ্র শিল্পীদের খোঁজ খবর নিয়ে তাদের বাসায় বাসায় খাবার পৌঁছে দিয়েছি। আমার ছোট ভাই, জায়েদ খান। তাকে নিয়ে আমি গর্ব করি। করোনার সঙ্গে ওর সঙ্গে মিলা আমরা খোঁজ খবর নিয়ে যার যা লাগে, মেডিসিন খাবার পৌঁছে দিয়েছে। যেহেতু আমার বড় ভাই মিশা ভাই বিদেশে থাকেন, সেহেতু তার পরামর্শে আমরা করোনার সময় কাজ করেছি।’
চলচ্চিত্র নিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ওপর আস্থা রেখে এই অভিনেতা বলেন, ‘আমার মা সমতূল্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, তিনি শিল্পীদের খোঁজ খবর নেন। অসহায় শিল্পীদের পাশে দাঁড়ান, তিনি যেভাবে আমাদের পাশে দাঁড়ান তাতে করে আমরা বিশ্বাস করি করোনা পরিস্থিতি পেরিয়ে গেলে নিশ্চই তিনি আমাদের চলচ্চিত্রকে আগের অবস্থায় ফিরিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য কাজ করবেন। আমি বিশ্বাস করি আমার মায়ের সমতূল্য প্রধানমন্ত্রী আমাদের চলচ্চিত্রের পাশে দাঁড়াবেন। আমি মনে করি আমাদের প্রধানমন্ত্রী ও তাঁর ক্যাবিনেট, মন্ত্রী এমপিদের নিয়ে যেভাবে এগোচ্ছেন আশা করছি সামনে আরো ভালোভাবেতিনি এগোবেন, কারণ প্রধানমন্ত্রী আমার সমতূল্য, গাছ বাঁছ বাঁচলে ফল পাবো। তিনি আমাদের গাছ।’
চলচ্চিত্রে শাকিব খানের ভূমিকা প্রসঙ্গে বলেন, ‘শাকিব খান যদি সুপারস্টার হয়ে থাকে, বিভিন্নজন বলেন, শাকিব খান একাই ইন্ডাস্ট্রি টেনে নিয়ে যাচ্ছেন। তাহলে আমি বলতে চাই এই করোনা পরিস্থিরতির কথাটুকু বাদ। আমাদের সিনেমা হল যেখানে ১৪০০ ছিল সেখানে আজ কেন ১০০ এর নিচে নেমে এসেছে? যার বলছেন আমি এই আমি সেই তাহলে করোনার আগে ২০০ হল ছিল তারপরে ১৫০, এখন ১০০ এর নিচে কেন? কাঞ্চন ভাই, আলমগীর ভাই, পারভেজ ভাই আরো যারা ছিলেন উনারা তো ১৪০০ হল রেখে গেছেন, আর উনি যদি এতোই কিছু হয়ে থাকেন তাহলে আজকে সিনেমা হল কোথায় আসছে? আপনি যদি কিছু হয়েই থাকেন, আপনি যসি বলেন আই অ্যাম দ্য কিং আই অ্যাম দ্য এই আই অ্যাম দ্য সেই তাহলে ১৪০০ এর জায়গায় সিনেমা হল ১৬০০ কেন হলো না?’
আসিফ ইকবাল বলেন, শাকিব খান একাই ইন্ডাস্ট্রি টেনে নিয়ে যাচ্ছেন এটা ভুল কথা। একটা হিরো দিয়ে কখনো সিনেমা চলে না। আপনি পাশের দেশ ভারতে যান, সাউথের কথা যদি বলি- সেখানে ২০ থেকে ২২ টা হিরো আছে। ২০ থেকে ২২ টা হিরোইন আছে, কমেডিয়ান আছে। অ্যান্টি হিরো আছে। মুম্বাইয়ের দিকে তাকালেই বুঝবেন। যারা শাকিব খানের ভক্ত তারাই এসব মনে করছেন। শাকিব খান যদি একাই এতো কিছু করছেন, ভালো ব্যবসা করে তার ছবি- তাহলে সিনেমা হল বাড়ল না কেন, এতো ধ্বস নামল কেন?
আগে আল্লাহ উনি ছাড়া কারো ক্ষমতা নাই। আগে করোনা ভাইরাস থেকে আমরা পরিত্রাণ পাই। ভ্যাকসিন আসা শুরু হয়ে গেছে। আশা করি সব ঠিক হয়ে যাবো। আমাদের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ও তার মন্ত্রীরা কাজ করছেন। আমরা যারা সিনেমাপ্রেমী রয়েছেন আমরা আবার সিনেমার জন্য লড়বো। বঙ্গবন্ধুর সৈনিক হিসেবে বলবো আমরা এই ইন্ডাস্ট্রি ধ্বংস হতে দেব না। দেশ যেভাবে সুন্দরভাবে এগিয়ে যাচ্ছে, ইনশাল্লাহ সিনেমায় এভাবেই এগিয়ে যাবে।
আসিফ ইকবাল অভিনীত উল্লেখযোগ্য ছবি হলো- পাগল মানুষ, ভালোবাসতে মন লাগে, ভালোবাসার রঙ, তোর কারণে বেঁচে আছি (২০১১) কিং খান, প্রিয়া আমার জান, একবার বলো ভালোবাসি, বন্ধু তুমি শত্রু তুমি, মনের ঘরে বসত করে, অংক, আমার স্বপ্ন আমার সংসার, এক জবান, প্রেমে পড়েছি, জনম জনমের প্রেম, ভালোবেসে মরতে পারি, টাকার চেয়ে প্রেম বড়, প্রেম কয়েদী, জন্ম তোমার জন্য, ভয়ংকর হামলা, আসলাম ভাই, যদি বউ সাজো গো, তুমি স্বপ্ন তুমি সাধনা, শান্ত কেন অশান্ত, মেশিনম্যান, জ্বলন্ত নারী, জমজ, এনকাউন্টার, নজর, অল রাউন্ডার, কঠিন প্রতিজ্ঞা, ব্যারিকেড, গাদ্দারী, জাল, ওরা কারা, সন্ত্রাসী মুন্না ও রংবাজ বাদশা।
সিলেট৭১নিউজ /কালেরকন্ঠ