বিশ্বনাথ প্রতিনিধি (সিলেট):: সিলেটের বিশ্বনাথ উপজেলা দৌলতপুর ইউনিয়নের চৈতননগর গ্রামের কৃষক ছরকুম আলী দয়াল হত্যাকান্ডের ঘটনায় ৫দিন পর মঙ্গলবার রাতে মামলাটি রেকর্ড করেছে বিশ্বনাথ থানা পুলিশ। দন্ডবিধি আইনের ৩০২/৩০৭/ ৩২৬/ ৩২৪/ ৩২৩/ ১৪৯/ ১৪৮/ ১৪৭/ ১০৯ ধারায় এই মামলাটি রেকর্ড করা হয়। মামলা নং ০৩, তারিখ ঃ ০২/০২/২০২১ইং। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন মামলার বাদী দয়ালের ভাতিজা আহমদ আলী। গত শুক্রবার থানায় এজাহারটি দাখিল করা হয়েছিল।
জানা যায়, গত ২৮ জানুয়ারী দশঘর মৎস্যজীবি সমবায় সমিতি ও সাবলীজ গ্রহীতার একটি বাহিনী কৃষক ছরকুম আলী দয়ালের খাল থেকে জমানো পানি প্রত্যাহার করা হচ্ছিল। এই সংবাদ পেয়ে বৃদ্ধ দয়াল জমিতে গিয়ে পানি প্রত্যাহার না করতে আপত্তি করলে তাকে মারপিট করা হয় এবং ঘটনাস্থলে তার মৃত্যু হয়। আত্মীয় স্বজনরা খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গেলে তাদের উপরও হামলা করা হয়।
গত ২৯ জানুয়ারী শুক্রবার দয়াল হত্যাকান্ডের প্রতিবাদে চৈতননগর এলাকায় এক প্রতিবাদ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। সমাবেশে চাউলধনী হাওর পারের ২৫টি গ্রামের কয়েক হাজার কৃষক অংশ গ্রহণ করে চাউলধনী হাওরে লীজ বাতিল, মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার এবং দয়াল হত্যাকান্ডের আসামীদের গ্রেফতার করে ফাঁসি দাবী করেন।
এব্যাপারে গত শনিবার চাউলধনী হাওরপারের বাসিন্দা বিশ্বনাথ উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান মুহিবুর রহমানের নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধি দল সুনামগঞ্জে পরিকল্পনামন্ত্রী এমএ মান্নানের সাথে সাক্ষাৎ করেন। মন্ত্রী এ বিষয়টি জানার পর তিনি কৃষক হত্যাকান্ডে সিলেটের জেলা প্রশাসক ও ডিজাইজির সাথে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দেন। তিনি চাউলধনী হাওরের সরকারী ভূমির সাথে ব্যক্তি মালিকানাধীন জমির সীমানা, পিলার স্থাপনে গুরুত্বারুপ করেন।
ইতিপূর্বে থানা পুলিশ আসাম উদ্দিন আশরাফ, শাহেদ আহমদ, জামাল উদ্দিন নামের তিনজনকে সন্দেহভাজন আসামী হিসেবে আদালতে প্রেরণ করে।
বিশ্বনাথ থানার ওসি শামীম মূসা জানান, কৃষক দয়াল হত্যাকান্ডে ৩০জনকে আসামী করে বিশ্বনাথ থানায় একটি মামলা রেকর্ড করা হয়েছে এবং বুধবার এই তিনজনকে আদালতে শোন এরেস্ট দেখানো হয়েছে।