সিলেট : সিলেট নগরীর প্রাণকেন্দ্রে প্রায় ১৫ একর জায়গা নিয়ে সামাজিক-সাংস্কৃতিক-বাণিজ্যিক নাগরিক চত্বর নির্মাণ হচ্ছে। প্রকল্পের আওতায় থাকবে মুক্তিযুদ্ধ, ভাষা আন্দেলন, ৭ মার্চের ভাষণের নামে চত্বর, বিনোদন পার্ক ও মার্কেটসহ নানা সুযোগ-সুবিধা। সিলেট ও বাংলাদেশের স্বাধীনতা আন্দোলন এবং বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্মরণে এ প্রকল্পটি নিয়েছে সিটি কর্পোরেশন।
হাসান মার্কেটের ১ দশমিক ৭ একর, মিউনিসিপ্যাল দশমিক ১১ একর, বর্তমান মিউনিসিপ্যাল দশমিক ০৮ একর, হাসান মার্কেট সংশ্লিষ্ট সড়ক সহ– ২ দশমিক ৭৮ একর এবং নগরভবন বাদে লালদিঘি সিটি মার্কেট – ১৩ দশমিক ৭৭একর জায়গা নিয়ে এই প্রকল্প বাস্তবায়ন হবে।
জানা যায়, জীর্ণ ও ঝুকিপূর্ণ হাসান মার্কেট ভেঙে নির্মিত হবে হেরিটেজ মার্কেট। ১ দশমিক ৭ একর জায়গার উপর ৬ তলা বিশিষ্ট এই কমপ্লেক্স। এতে ২২৮টি নতুন দোকান থাকবে। ৮০-১০০ বর্গফুট আয়তনের এই দোকানগুলোতে ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীরা পুণর্বাসিত হবেন। মার্কেটের ল্যান্ডস্ক্যাপে থাকবে ভাষা আন্দোলন থেকে শুরু করে বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রামের প্রতিকী ভাষ্কর্যিক। এটি উন্মুক্ত চত্বরে রূপ দেয়া হবে। এই চত্বরটি শুধু ছাদ দিয়ে আটকানো ও চারপাশ খোলা থাকবে। যে কোন সময় নানা বিভিন্ন প্রদর্শণি এবং মেলার জন্য অস্থায়ী ভাবে ব্যবহার করা যাবে। চত্বরটির নাম হবে ‘বঙ্গবন্ধু চত্বর ’।
চত্বরের ৬৫% খোলা উদ্যানের পাশে থাকবে একটা দিঘি। এর চারপাশে চলাচল, বিশ্রাম, ব্যায়ামের জন্য ব্যবহার করা যাবে। দীঘির একপাশে উন্মুক্ত এমফিথিয়েটার থাকবে। শুকনো মৌসুমে এখানে উন্মুক্ত সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা যাবে। পাশে নাগরিক বিনোদনের জন্য সবুজ ঘেরা খোলা পার্ক হবে। আর এই পার্কের নাম হবে ‘শেখ রাসেল’ পার্ক।
শুক্রবার বিকেল ৪টায় নগরীর হোটেল স্টার প্যাসিফিকে সিলেটের উন্নয়ন বিষয়ক মতবিনিময় সভায় এ প্রকল্পের ওপর একটি ভিডিওচিত্র প্রদর্শন করেন স্থপতি ও চলচ্চিত্র নির্মাতা শাকুর মজিদ।
সিলেট সিটি কর্পোরেশনের মেয়র আরিফুল হক চৌধুরীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম।
বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. একে আব্দুল মোমেন এবং স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের স্থানীয় সরকার বিভাগের সিনিয়র সচিব হেলালুদ্দীন আহমদ।
প্রদর্শনী শেষে শাকুর মজিদ বলেন, প্রকল্পটি পুরো ডিজাইন করে সিটি কর্পোরেশনে জমা দেওয়া হয়েছে। প্রকল্পটি বর্তমানে অনুমোদনের অপেক্ষায় রয়েছে বলে তিনি জানান।