সিলেট৭১নিউজ ডেস্ক:: কৃষিমন্ত্রী ড. আব্দুর রাজ্জাক এমপি বলেছেন, বর্তমানে বছরে এক কোটি টনের বেশি উন্নত জাতের আলু উৎপাদন হয়। দেশে চাহিদা রয়েছে ৬০-৭০ লাখ টনের মতো। দেশে উৎপাদিত আলুতে পানির পরিমাণ বেশি হওয়ায় বিদেশে চাহিদা কম। সেজন্য বিদেশে চাহিদার বিষয়টি বিবেচনায় নিয়ে রফতানি ও শিল্পে ব্যবহারযোগ্য আলুর আবাদ ও উৎপাদন বৃদ্ধিতে গুরুত্ব দেয়া হচ্ছে। কৃষি মন্ত্রণালয় সে লক্ষ্যে নিরলস কাজ করছে।
বুধবার (২৭ জানুয়ারি) দুপুরে নীলফামারীর ডোমারে বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন করপোরেশনের (বিএডিসি) বীজ আলু উৎপাদন খামার পরিদর্শন শেষে এ কথা বলেন তিনি।
এর আগে রফতানি ও শিল্পে ব্যবহারযোগ্য আলুর প্লট, আলু ফসলের মিউজিয়াম, ড্রাগন ও খেজুর বাগান প্রভৃতি পরিদর্শন করেন মন্ত্রী। এছাড়া পঞ্চগড়ের দেবীগঞ্জের তিস্তাপাড়ায় কাজুবাদাম, মিষ্টি আলু, কফি চাষ, প্রসেসিং ও কৃষকদের প্রশিক্ষণ কর্মশালা ও বারির বীজ বর্ধন খামার, গম ও ভুট্টা বীজ উৎপাদন খামার পরিদর্শন করেন।
কৃষিমন্ত্রী বলেন, বিএডিসি মানসম্মত আলু বীজ উৎপাদন ও সংরক্ষণ এবং কৃষক পর্যায়ে বিতরণ জোরদারকরণ প্রকল্পের আওতায় ডোমার খামারে ভিত্তি বীজ আলু উৎপাদন করা হচ্ছে। পাশাপাশি নতুন জাতের উপযোগিতা যাচাইয়ের জন্য ট্রায়াল প্লট স্থাপন ও পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে। এছাড়াও প্রকল্পের আওতায় সারাদেশে ২৮টি জোনে চুক্তিবদ্ধ চাষি’র মাধ্যমে কৃষক পর্যায়ে ব্যবহৃত বীজ আলু উৎপাদন করা হচ্ছে।
এ প্রকল্পের আওতায় উচ্চ ফলনশীল, রফতানি ও শিল্পে ব্যবহার উপযোগী আলু জাত পরিচিতি ও জনপ্রিয় করণের জন্য বিএডিসি আমদানিকৃত এবং বারি উদ্ভাবিত সম্ভাবনাময় ২০টি জাত নিয়ে এ বছর সারাদেশে ৩ শ টি প্রদর্শনী প্লট ও মাল্টিলোকেশন টেস্ট পরিচালনা করা হচ্ছে।
২০২০-২১ উৎপাদন বর্ষে বিভিন্ন মানের ৩৭ হাজার ৫ শ মেট্রিক টন বীজ আলু এবং ৫ হাজার মেট্রিক টন রফতানি উপযোগী আলুসহ মোট ৪২ হাজার ৫শ মেট্রিক টন আলু উৎপাদন কার্যক্রম চলমান রয়েছে।
তিন বলেন, বীজ আলুর বীজ মান অক্ষুণ্ণ রাখার লক্ষ্যে দ্রুততম সময়ের মধ্যে বীজ আলু উৎপাদন, সংগ্রহ ও প্রক্রিয়াজাত করণের নিমিত্ত আধুনিক কৃষি যন্ত্রপাতি যেমন বীজ আলু প্লান্টার, গ্রেডার, ড্রায়ার ইত্যাদি যন্ত্রের মাধ্যমে কার্যক্রম ও খামারে শুরু হয়েছে।
চলতি ২০২০-২১ উৎপাদন বর্ষে ২৫৬ একর জমিতে বীজ আলু উৎপাদন করা হয়েছে। এখানে দুটি টিস্যুকালচার ল্যাবরেটরি রয়েছে বলেও জানান তিনি।
সিলেট৭১নিউজ/সময়/আবিদ