জীবন যাপন ডেস্ক:: বর্তমানে মানুষের গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা বেড়েই চলছে। খাবারে ভেজাল, অনিয়ন্ত্রিত জীবনযাপন ও ধূমপানসহ নানা কারণে গ্যাস্ট্রিক সবার রোগে পরিণত হয়েছে।
গ্যাস্ট্রিক বা অ্যাসিডিটি কি?
গ্যাস্ট্রিক বা অ্যাসিডিটি হলো পাকস্থলীতে অ্যাসিডের পরিমাণ বেড়ে যাওয়া এবং অবশেষে ক্ষতের সৃষ্টি করা। সাধারণত অতিরিক্ত ঝাল, মসলাযুক্ত খাবার, ভাজাপোড়া জাতীয় খাবারে এটি বেশি হতে পারে। কারণ এসব খাবারকে হজম করতে অতিরিক্ত অ্যাসিডের দরকার হয়; ফলে অনেক হাইড্রোজেন ক্ষরিত হয়ে ক্লোরিনের সঙ্গে মিলে হাইড্রোক্লোরিক অ্যাসিড তৈরি করে।
অতিরিক্ত অ্যাসিড থেকে পেটে গ্যাস্ট্রিকের ব্যথাও হয়। এ ছাড়া পেট ফোলাভাব বা ফাঁপা ও হজমজনিত সমস্যাও হয়ে থাকে।
কিছু খাবার রযেছে, যা গ্যাস্ট্রিকের ব্যথা কমাতে সাহায্য করে। আসুন জেনে নিই এমন কিছু খাবার সম্পর্কে-
১. গ্যাস্ট্রিকের ব্যথায় খেতে পারেন ভেষজ চা। বিভিন্ন ঔষধি গুণ সম্পন্ন গাছ পাতা দিয়ে তৈরি এই চা শক্তিশালী অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ও প্রদাহরোধী উপাদান সমৃদ্ধ। ভেষজ চা হজমে সাহায্য করে ও গ্যাস্ট্রিকের ব্যথা কমায়। ভেষজ উপাদানের মধ্য আদা, পুদিনা, ক্যামোমাইল ও লেবু।
২. পেট ফোলাভাব, গ্যাস্ট্রিকের ব্যথা, পেট ফাঁপা ও কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যায় লবঙ্গ খেতে পারেন। লবঙ্গ চিবিয়ে বা খাবারের পর এলাচের সঙ্গে লবঙ্গের গুঁড়া মিশিয়ে এক কাপ চা পানে অ্যাসিডিটি কমায় ও অতিরিক্ত গ্যাস দূর করে।
৩. আপেল সিডার ভিনেগার অন্ত্রে অ্যাসিডিক মাইক্রোন পরিবেশ তৈরি করে এবং হজমে সহায়ক। এ ছাড়া এনজাইমকেও সক্রিয় করে। এ ছাড়া ব্যথা কমায় ও গ্যাস্ট্রিকের নানান সমস্যা যেমন- পেটব্যথা ও পেট ফোলাভাব কমায়।
৪. দই উপকারী ব্যাক্টেরিয়ার ভালো উৎস এবং এটা হজমে সাহায্য করে। পানির সঙ্গে দই মিশিয়ে পানীয় তৈরি করতে পারেন। এতে ভাজা জিরা ও বিট লবণ মিশিয়ে স্বাদ বাড়াতে পারেন। চাইলে এত আপেলও যোগ করে নিতে পারেন।
৫. উচ্চ আঁশ সমৃদ্ধ খাবার যেমন- বাদাম, বীজ, সবজি, বেরি ও সবুজ শাক সবজি হজম ক্রিয়া উন্নত করে ও গ্যাসট্রিকের ব্যথা কমাতে সহায়তা করে।
বিদ্র::পোষ্টটি শেয়ার করে অন্যদের জানার সুযোগ করে দেন ।
সিলেট৭১নিউজ/আবিদ