সৌন্দর্য সচেতন আর অধিক সাজগোজ দুটো ভিন্ন জিনিস। গর্ভাবস্থায় বেশি সাজগোজে অভ্যস্ত থাকলে সন্তানদের বুদ্ধি লোপের ঝুঁকি থাকে অনেকটাই। কারণ গর্ভাবস্থায় মায়ের অধিক সাজগোজ প্রভাব ফেলে গর্ভস্থ সন্তানের মস্তিষ্কে। এমনই এক তথ্য মিলেছে যুক্তরাষ্ট্র ভিত্তিক পাবলিক লাইব্রেরি অব সায়েন্স ওয়ান নামক এক জার্নালের গবেষণা পত্রে। গবেষণায় বলা হয়েছে, গর্ভের সন্তান যেমন মায়ের শরীরের খাবার গ্রহণ করে, তেমনই মায়ের ব্যবহৃত প্রসাধনীর রাসায়নিক প্রভাবও পড়ে তার ওপর। আর তাতেই গর্ভজাত শিশুর বুদ্ধি কমে যায়।
পাবলিক লাইব্রেরি অব সায়েন্স ওয়ান জার্নালে আরও বলা হয়েছে, চুল শুকোনোর যন্ত্র, নেইল পলিশ, লিপস্টিক, হেয়ার স্প্রে এবং বিভিন্ন সাবানে ব্যবহৃত রাসায়নিক পদার্থগুলো গর্ভের শিশুর জন্য ক্ষতিকর। এমনকি জন্মের পর শিশুর বুদ্ধিমত্তা স্বাভাবিকের চেয়ে ছয় ধাপ পর্যন্ত কমিয়ে দিতে পারে।
এই গবেষণায় নিউইয়র্কের ৩২৮ জন প্রসূতিকে বেছে নেওয়া হয়। গবেষণায় দেখা যায়, প্রসাধন ব্যবহারকারী মায়েদের জন্ম দেওয়া শতকরা ২৫ ভাগ সন্তানের আইকিউ স্বাভাবিকের চেয়ে কম। তবে শিশুর বুদ্ধির বিকাশে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে মায়ের বুদ্ধিমত্তা এবং পারিবারিক পরিবেশ। সব কিছুর পরেও মেকআপের রাসায়নিক প্রভাবকে দায়ি করেছেন গবেষকরা।
প্রসাধন সামগ্রী ছাড়াও প্লাস্টিকের ব্যবহার্য পণ্য, পর্দা, এমনকি গাড়ির ড্যাশবোর্ডে ব্যবহৃত রাসায়নিক পদার্থ শিশুর পাশাপাশি হবু মায়ের শরীরের জন্য ক্ষতিকর। তাই প্রসাধনী ব্যবহারের আগে তার মান যাচাই করে নেয়া উচিৎ।