এসবিএন নিউজ: বিএনপির চেয়ারপারসন সিলেট আইলে তুফান হইতো’ বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামীলীগের উপদেষ্টামণ্ডলীর সদস্য ও সাবেক মন্ত্রী সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত।
বৃহস্পতিবার বিকেলে সিলেটের ঐহিতাসিক আলীয়া মাঠে স্থানীয় আওয়ামীলীগ আয়োজিত জনসভায় তিনি এ কথা বলেন।
সুরঞ্জিত বলেন, ‘গতকাল বুধবার সিলেটে আবহাওয়া অনেক খারাপ ছিল। অনেক বৃষ্টি হইছে। আজ প্রধানমন্ত্রী আসছেন রইদ উঠছে। আর বেগম খালেদা যদি আইতো, শুধু বৃষ্টি না তুফান হইতো।’
বিএনপি ও তার সহচর জামায়াত দেশ ও জাতির ক্ষতির কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে জানিয়ে সুরঞ্জিত সেন বলেন, ‘ওরা কোনো শুভ কাজ সহ্য করতে পারে না। বিএনপি যখনই ক্ষমতায় গিয়েছে দেশে লুটপাট ও সন্ত্রাসের রাজস্ব কায়েম করেছে। আর সে দলটির দোষর জামায়াত এসব কাজে প্রত্যাক্ষ ও পরোক্ষভাবে সহযোগিতা করেছে।’
তিনি বলেন, ‘ক্ষমতায় থাকাকালে বিএনপি-জামায়াত যেমন স্বৈরাচারী আচরণ করে তেমনি ক্ষমতার বাইরে এসে দেশে অরাজকতা সৃষ্টি করে। সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদকে উসকে দেয়। বোমা-গ্রেনেড হামলা চালায়। মানুষকে পুড়িয়ে মারে। জ্বালিয়ে দেয় যানবাহন।’
সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত বলেন, ‘দেশের উন্নয়ন, সমৃদ্ধি ও গণতন্ত্রের বিকাশে আওয়ামীলীগ ও বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা বদ্ধ-পরিকর। কোনো বাধাই এ লক্ষ্যের বিচ্যুতি ঘটাতে পারবে না।’
বাংলাদেশের সংবিধান নিয়ে কারো ‘পাকিস্তান খেলা’ চলবে না উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘যে সংবিধান পাস হয়েছে তা দেশ ও জাতির কল্যাণ বয়ে আনবে।’
গত পৌরসভা নির্বাচন প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘এ যাবৎকাল পর্যন্ত যেসব নির্বাচন হয়েছে তার মধ্যে অন্যতম সুন্দর ও সুষ্ঠু নির্বাচন হলো এটি। অথচ নির্বাচনের ২১ দিন পর বিএনপি এক সভা করে বলাবলি শুরু করলো নির্বাচনে অনিয়ম হয়েছে। আর বিএনপির সাথে গলা মিলিয়ে এক বিদেশি মহিলা বলতে লাগলেন- মানবাধিকারও নাকি বিঘ্নিত হয়েছে।
শপথ নেয়ার পর বিচারক যে রায় দেবেন তা পরে লিখলে সমস্যা কোথায় প্রশ্ন রেখে সুরঞ্জিত বলেন, ‘ভারত, পাকিস্তান, শ্রীলঙ্কা, ইংল্যান্ডসহ বিভিন্ন দেশে রায়ের অনেক পর তা লেখা হয়।’
সিলেট মহানগর আওয়ামীলীগের সভাপতি বদর উদ্দিন আহমদ কামরানের সভাপতিত্বে ওই জনসভায় প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এছাড়াও অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত, শিক্ষমন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ, সংসদ সদস্য আমাতুল কিবরিয়া কেয়া চৌধুরীসহ স্থানীয় আওয়ামীলীগের শীর্ষ নেতারা বক্তব্য রাখেন।