অতিথি প্রতিবেদক : সিলেটের দক্ষিণ সুরমা উপজেলার ১নং মোল্লারগাঁও ইউনিয়ন পরিষদের ৯নং ওয়ার্ডের মেম্বার মইন উদ্দিন’র ভাই মোঃ সাহাব উদ্দিন ও পুত্র আরিফ হাসান উরফে সাদ্দাম মিয়া মৃত্যুসনদ জাল জালিয়াতি করার কারণে কারাগারে। গত ১৩ জানুয়ারী বুধবার সিলেট মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট ৩য় আদালতে আসামীগণ জামিন চাইতে গেলে আদালতের বিচারক শারমিন শিলা খানম জামিন নামঞ্জুর করে তাদেরকে কারাগারে পাঠানোর নিদের্শ দেন।
মামলাসূত্রে জানা যায়, প্রতিপক্ষকে ফাসাতে গিয়ে বেটুয়ারমুখ গ্রামের মৃত আকবর আলী মুন্সীর ছেলে মোঃ সাহাব উদ্দিন ও তার ভাই মঈনুদ্দিন মিলে তাদের মায়ের মৃত্যু ২০১৬ সালে হয় বলে একটি ভুয়া মৃত্যুসনদ তৈরী করেন। কিন্তু মৃত্যুসনদের সিরিয়াল অনুসারে জানা যায় তা ২০২০ সালে তৈরী করা হয়েছে। পরবর্তীতে মৃত্যু সনদ নিয়ে আসামীপক্ষের প্রতারণা ধরা পড়ে যায়। তাদের মা মূলত ২০১৯ সালে মারা যান। মসজিদের ভুমি দখল করতেই আসামী পক্ষ এই প্রতারণার আশ্রয় নিয়েছেন উল্লেখ করে ৭জনকে আসামী করে আদালতে একটি অভিযোগ দায়ের করেন হযরত শাহ জালাল (রঃ) লতিফিয়া পাঞ্জেগানা মসজিদ কমিটির সহ সভাপতি বেটুয়ারমুখ গ্রামের মৃত ধন মিয়া পুত্র কামাল আহমদ (৩২)। দক্ষিণ সুরমা সিআর মামলা নং-১২৪/২০২০। মামলার আসামীগণ হলেন, বেটুয়ারমুখ গ্রামের মৃত আকবর আলী মুন্সীর ছেলে ১। মোঃ মঈন উদ্দিন (৫০), ২। মোঃ সাহাব উদ্দিন(৪৫), ৩। মো: আনা মিয়া(৫৩) ও ৪। মো: মানিক মিয়া(৪০), মঈন উদ্দিনের ছেলে ৫। আরিফ হাসান(৩০), কুড়িগ্রামের মৃত তরমুজ আলীর ছেলে মোল্লারগাও ইউপির সাবেক সচিব ৬। মো: আব্দুল করিম (৫৮) ও মোল্লারগাও ইউপির কম্পিউটার অপারেটর ৭। মো: মতিউর রহমান(৪২)। পরবর্তী পিপিআই তদন্তকারী কর্তকর্তা তদন্তপূর্বক ৫জনকে আসামী করে ৩ ও ৪নং আসামীকে বাদ দিয়ে গত বছর ১৭ ডিসেম্বর আদালতে প্রতিবেদন দাখিল করেন।
এব্যাপারে হযরত শাহ জালাল (রঃ) লতিফিয়া পাঞ্জেগানা মসজিদ কমিটির সহ সভাপতি কামাল আহমদ জানান, মেম্বার মঈনুদ্দিন আহমদ নিজের প্রভাবখাটিয়ে ইউনিয়ন পরিষদ থেকে ভুয়া মৃত্যুসনদ তোলেন। এসব করার কারণ হলো মঈনুদ্দিনকে আসামীকে আমি বিগত ২০১৯সালের ১৮ ডিসেম্বর দক্ষিণ সুরমা থানায় একটি বিশ্বাসভঙ্গের মামলা করি। উক্ত মামলাতে আমি মঈনুদ্দিনের মা ২০১৯সালে মৃত্যুবরণ করিয়াছেন উল্লেখ্য করি। সেই মামলা মিথ্যা প্রমাণিত করার জন্য মঈনুদ্দিন মেম্বার ২০১৬সালে তার মা মৃত্যুবরণ করিয়াছেন বলিয়া ভূয়া মৃত্যুসনদ তৈরী করেছেন।
কামাল আহমদ বলেন, স্থানীয় চেয়ারম্যান ও ইউ/পি মেম্বারগণের জানাস্বর্তেও কিভাবে এই মৃত্যুসনদ তৈরী হলো, তার প্রকৃত ঘটনা উম্মেচন করতে সংশ্লিষ্টদের প্রতি অনুরোধ করছি। মামলার সকল আসামীকে আইনের আওতায় আনতে প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।