সিলেট৭১নিউজ ডেস্ক: কিছুদিন আগে বাসের সুপারভাইজার হিসেবে কাজ করার সময় একটি দুর্ঘটনায় ফিরোজের একটি পা কাটা পড়ে ,রাজশাহীর পুঠিয়া উপজেলায় নেশার টাকা না পেয়ে ঘুমন্ত স্ত্রী ও কন্যাকে বালিশ চাপা দিয়ে শ্বাসরোধ করে হত্যার অভিযোগ উঠেছে স্বামী ফিরোজ হোসেনের (৩৫) বিরুদ্ধে। সোমবার রাত ১১ টার দিকে উপজেলার গোপালহাটি গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
নিহতরা হলো—ফিরোজের স্ত্রী পলি খাতুন (২৫) ও টুকটুকি নামের পাঁচ মাস বয়সী শিশু কন্যা। আটক ফিরোজ হোসেন ওই গ্রামের হাসিব আলীর ছেলে।
এ বিষয়ে প্রতিবেশী ফারুক হোসেন বলেন, কিছুদিন আগে বাসের সুপারভাইজার হিসেবে কাজ করার সময় একটি দুর্ঘটনায় ফিরোজের একটি পা কাটা পড়ে।
এরপর সে সুস্থ হয়ে চার্জার অটোভ্যান চালাতো। এক পর্যায়ে সে মাদকাসক্ত হয়ে পড়ে। এরপর থেকে সে ওই গাড়ি বিক্রি করে মাদক সেবন করে। এ ঘটনায় স্ত্রী প্রতিবাদ জানলে তাদের মধ্যে ঝগড়া-বিবাদ শুরু হয়। সে সূত্রে গতরাতে ফিরোজ তার স্ত্রী ও শিশুকন্যাকে বালিশ চাপায় হত্যা করে ঢাকায় পালিয়ে যাচ্ছিল।
খবর পেয়ে থানা পুলিশ তাকে আটক করতে সক্ষম হোন। পুঠিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রেজাউল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, রাতেই থানা পুলিশ খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়। এরপর নিহতদের লাশ উদ্ধার করে থানায় আনা হয়েছে। পাশাপাশি ঘটনায় অভিযুক্ত ফিরোজকে আটক করা হয়েছে। তবে এখনো থানায় কোনো মামলা হয়নি। ভুক্তভোগি পরিবারের লোকজন মামলা দায়েরের প্রস্তুতি নিচ্ছেন।
তিনি আরও বলেন, “প্রাথমিকভাবে আমরা ধারণা করছি নিহতদের শ্বাসরোধ করে হত্যা করা হতে পারে। তবে লাশ ময়নাতদন্তের জন্য রামেক হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। ময়নাতদন্ত প্রতিবেদন আসলে সঠিক তথ্য পাওয়া যাবে।
সিলেট ৭১নিউজ/ঢা ট্রি/আবিদ