সিলেট৭১নিউজ ডেস্ক:: করোনাভাইরাস (কোভিড-১৯) রুখতে ইউরোপের দেশগুলো একজোটে টিকাদান কর্মসূচি চালু করেছে৷ কয়েকটি দেশ গত শনিবার শুরু করলেও রোববার থেকে সবাই এই কার্যক্রমের আওতায় এসেছে৷
গত সপ্তাহেই বায়োনটেক-ফাইজারের করোনা টিকার অনুমোদন দিয়েছিল ইউরোপীয় ইউনিয়ন৷ শুক্রবার দিনের শেষে এবং শনিবার প্রথম ভাগেই সদস্য দেশগুলোর কাছে ভ্যাকসিনের প্রথম চালান পৌঁছে দিয়েছে ইইউ৷
টিকা পাওয়ার পরপরই কর্মসূচি চালু করে দিয়েছে জার্মানি, হাঙ্গেরি, স্লোভাকিয়া৷ রোববার থেকে শুরু হয়েছে বাকি দেশগুলোতেও৷ খবর ডয়চে ভেলের
ইউরোপের ২৭ দেশের মধ্যে সবচেয়ে দ্রুত কার্যক্রম শুরু করতে পেরেছে হাঙ্গেরি৷ শনিবার হাতে পাওয়ার কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই টিকাদান শুরু করে তারা৷ এর কিছুক্ষণ পরই শুরু করে হাঙ্গেরির প্রতিবেশী দেশ স্লোভাকিয়া৷ সেখানে কোভিড-১৯ চিকিৎসায় নিয়োজিত প্রথম সারির স্বাস্থ্যকর্মীরা শুরুতে টিকা নিয়েছেন৷
একইভাবে শনিবার সন্ধ্যায় কার্যক্রম চালু করে দিয়েছে জার্মানির স্যাক্সনি-আনহাল্ট রাজ্য৷
জার্মানিতে প্রথম টিকাপ্রাপ্তদের মধ্যে রয়েছেন হালবারস্টাডট শহরের নার্সিং হোমে বসবাসরত ১০১ বছর বয়সী একজন নারী৷ সরকারের ঘোষণা অনুযায়ী রোববার থেকে সব রাজ্যে টিকা কর্মসূচি চালুর কথা থাকলেও ততক্ষণ অপেক্ষা করেনি স্যাক্সনি-আনহাল্ট৷
‘আমাদের জন্য প্রতিটি দিনই গুরুত্বপূর্ণ’, জার্মান সম্প্রচারমাধ্যম এমডেআর এর কাছে এমন মন্তব্য করেছেন অঞ্চলটির একটি টিকা কেন্দ্রের ব্যবস্থাপক ইমো ক্রেমার৷
শনিবার দেশটির ১৬টি রাজ্যের প্রতিটিতে প্রাথমিকভাবে ১০ হাজার ডোজ করে টিকা পাঠানো হয়েছে৷ পরিকল্পনা অনুযায়ী শুরুতে নার্সিং হোমের বাসিন্দা, আশি বছরের উপরের বয়স্ক নাগরিক এবং স্বাস্থ্যকর্মীরা টিকার আওতায় আসবেন৷
জার্মানির স্বাস্থ্যমন্ত্রী ইয়েন্স স্পান বলেছেন, ‘আমরা এত মানুষকে টিকার আওতায় আনতে চাই যাতে জার্মানি ও ইউরোপে এই ভাইরাসের কোন অস্তিত্ব না থাকে৷’
টিকার মাধ্যমেই মহামারিটি থেকে রক্ষা পাওয়া সম্ভব হবে বলে আত্মবিশ্বাসী তিনি৷ এই বছরের বাকি সময়ের ভিতরেই জার্মানি ১৩ লাখ টিকা হাতে পাবে৷ জানুয়ারি নাগাদ প্রতি সপ্তাহে সাত লাখ ডোজ টিকা পাওয়া যাবে৷ আর মার্চের মধ্যে বায়োনটেক-ফাইজারের কাছ থেকে মোট এক কোটি ভ্যাকসিনের আশা করছেন স্পান৷
দেশটির পাঁচ কোটি জনগোষ্ঠীকে যার মাধ্যমে টিকাদানের আওতায় আনা সম্ভব হবে৷ তবে এক্ষেত্রে একা হাঁটা নয় বরং জার্মানি ইউরোপের সবাইকে সাথে নিয়ে এগুবে বলে জানান তিনি৷
আট কোটি ৩০ লাখ জনগোষ্ঠীর জার্মানিতে মোট ৪০০ টি টিকা কেন্দ্র খোলা হয়েছে৷ ২০২১ সালের মাঝামাঝি নাগাদ সবাইকে টিকার আওতায় আনার পরিকল্পনা সরকারের৷