বড়লেখা:মৌলভীবাজারের বড়লেখায় পৌরসভা নির্বাচনের প্রচারণা শেষে নৌকার মিছিল করানোয় উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি ইমরান হোসেনের ওপর হামলা করে ছুরিকাঘাত করা হয়েছে। বড়লেখা উপজেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক রফিকুল ইসলাম সুন্দরের ভাতিজা ছাত্রলীগ নেতা শিমুল আহমদের নেতৃত্বে এই হামলা হয় বলে অভিযোগ ওঠেছে।মঙ্গলবার (১৫ ডিসেম্বর) রাত ৮টার দিকে বড়লেখা পৌর শহরের পাখিয়ালা চৌমুহনীতে এই হামলার ঘটনা ঘটে।ছাত্রলীগের সভাপতির ওপর হামলার খবরে রাত সাড়ে ৮টার দিকে বিভিন্ন এলাকা থেকে পাখিয়ালা এলাকায় ছাত্রলীগের কর্মীরা জড়ো হন। এরপর উভয় পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ বাধে। দফায় দফায় রাত সাড়ে ১০টা পর্যন্ত সংঘর্ষ হয়। এসময় বড়লেখা উপজেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক কামাল হোসেন ও বড়লেখা উপজেলা ছাত্রলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সামাদ আহমদসহ উভয় পক্ষের প্রায় ১০জন গুরুতর আহত হয়েছেন। তাৎক্ষণিক সবার নাম জানা যায়নি।আহতরা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও স্থানীয়ভাবে চিকিৎসা নিয়েছেন। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়।এদিকে সংঘর্ষের ঘটনায় বড়লেখা উপজেলা পরিষদ কমপ্লেক্স হতে বড়লেখা সরকারি কলেজ পর্যন্ত এলাকায় শান্তি-শৃংখলা রক্ষায় ১৬ ডিসেম্বর রাত সাড়ে ১২টায় ফৌজদারি কার্যবিধির ১৪৪ ধারার আদেশ জারি করেছে স্থানীয় প্রশাসন। রাত দেড়টায় এই সংবাদ লেখা পর্যন্ত বড়লেখা পৌর শহরে ১৪৪ ধারা জারির বিষয়ে মাইকিং করানো হয়েছে। ১৬ ডিসেম্বর দুপুর ২টা পর্যন্ত এ নিষেধাজ্ঞা বলবৎ থাকবে বলে জানিয়েছেন ইউএনও মো. শামীম আল ইমরান।স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, পৌরসভা নির্বাচনের প্রচারণা শেষে নৌকার মিছিল করানোয় উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি ইমরান হোসেনের ওপর হামলা হয়। এ ঘটনার জেরে সংঘর্ষের পর পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে প্রশাসন এই ব্যবস্থা নেয়।বড়লেখা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. শামীম আল ইমরান রাত দেড়টায় বলেন, ‘সংঘর্ষের ঘটনায় শান্তি-শৃঙ্খলা ভঙ্গ হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। তাই ১৬ ডিসেম্বর মহান বিজয় দিবস সুষ্ঠুভাবে উদযাপনের লক্ষ্যে উদ্ভুত পরিস্থিতি শান্তিপূর্ণ ও সহায়ক পরিবেশ নিশ্চিতে উপজেলা পরিষদ কমপ্লেক্স হতে বড়লেখা সরকারি কলেজ পর্যন্ত স্থানজুড়ে ১৪৪ ধারা জারি করা হয়েছে। দুপুর ২টা পর্যন্ত নিষেধাজ্ঞা বলবৎ থাকবে। তবে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।