বিনোদন ডেস্ক::কিছু দিন আগে সিপিএমের একটি ফ্রি কোচিং ক্লাসের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধনে উপস্থিত ছিলেন অভিনেত্রী। তার পরেই ছড়িয়েছে গুঞ্জন। তারই জোরদার বহিঃপ্রকাশ বৃহস্পতিবার সন্ধেবেলা। প্রশ্ন করতেই শ্রীলেখা অকপট, ‘‘রাজনীতির খবর পুরোটাই গুজব। এ রকম কিছুই করছি না। ভবিষ্যতে যদি আসি জানতে পারবে সবাই।’ বাকিটা নিছকই দুঃস্বপ্ন।
একই সঙ্গে তার যুক্তি, বাম দল প্রার্থী মনোনয়নের খবর কখনও হাওয়ায় ভাসিয়ে দেয় না। আলিমু্দ্দিন স্ট্রিট মান্যতা দিলে তবে নেতারা ঘোষণা করেন। তিনি বরাবরই লাল পতাকার সমর্থক। সে কথা প্রথম প্রকাশ্যে আসে সৌরভ পালধির একটি ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মের অনুষ্ঠানে যোগ দেওয়ার পর। বাম নেতারাও জানেন এ কথা। সম্প্রতি তৃণমূল এবং বিজেপিও জেনেছে অভিনেত্রীকে ডাক পাঠানোর পরে।
কট্টর সমর্থনের পরেও রাজনীতিতে ‘না’ কেন? অভিনেত্রীর ঝুলিতে একাধিক কারণ। যেমন, রাজনীতিমনস্ক হলেও আদতে তিনি শিল্পী। তাই মনপ্রাণ ঢেলে অভিনয়টাই করতে চান। দ্বিতীয়ত, তিনি বাম দলের সমর্থনে মিটিং, মিছিল, রক্তদান শিবির, শ্রমজীবী ক্যান্টিনে যোগ দিলেও এখনও সিপিএম সম্পর্কে অনেক কিছু শেখার বাকি, জানার বাকি। তাই অর্ধেক জেনেবুঝে কোনও কাজে তিনি নামতে রাজি নন। অভিনেত্রীর মতে, ‘‘আমি কখনওই স্বপ্ন দেখি না এমএলএ বা এমপি হব। রাজনীতিমনস্ক আর সরাসরি রাজনীতিতে যোগদান কিন্তু এক নয়। আমি প্রথম শ্রেণিতে।’’
বদলে তিনি মানুষের পাশে থাকবেন। তার চারপেয়ে সন্তানদের সেবা যত্ন করবেন। কিন্তু প্রত্যক্ষ রাজনীতি করবেন না। এমন জোরালো ‘না’-এর তৃতীয় কারণে এসে শ্রীলেখা যথারীতি বিঁধলেন কিছু অতি পরিচিত তারকা-রাজনীতিবিদকে। নাম না করেই সরাসরি বললেন, ‘‘কিছু মানুষ রাজনীতিও করেন আবার টিকটক ভিডিয়োও করেন। ওটা আমি পারব না। কারণ, এক সঙ্গে দুটো কাজ আমার দ্বারা হয় না। এখনও অভিনয়ে ডুবে আছি। তাই এর পাশাপাশি আর কোনও কিছুতে মন দিতে রাজি নই। কোনও দিন দুটোকে সমান্তরালে রেখে চলতে পারব না।