সিলেট৭১নিউজ ডেস্ক::ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া উপজেলায় এক নববধূকে শ্বাসরোধে হত্যার অভিযোগ উঠেছে তার স্বামীর বিরুদ্ধে। নিহত নববধূর নাম সুরভী। ১১ মাস আগে তার বিয়ে হয়েছিল।
শুক্রবার রাতে উপজেলা মনিয়ন্দ ইউনিয়নের ইটনা গ্রামে স্বামীর বাড়ি থেকে তার লাশ উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনার পর থেকে তার স্বামী মো. ইউসুফ আল কাইফ (৩৫) পলাতক রয়েছেন। তিনি উপজেলার ইটনা গ্রামের আবদুল মাজেদ মিয়ার ছেলে।
জানা গেছে, দীর্ঘদিন প্রেম করার পর ১ জানুয়ারি ইউসুফ আল কাইফ সুরভীকে বিয়ে করেন। বিয়ের পর থেকে বিভিন্ন সময়ে যৌতুক দাবিতে সুরভীকে শারীরিক ও মানসিকভাবে নির্যাতন করে আসছিলেন ইউসুফ।
শুক্রবার রাতে উপজেলা মনিয়ন্দ ইউনিয়নের ইটনা গ্রামের ইউসুফের নিজ বাড়ির শয়নকক্ষ থেকে নববধূর লাশ উদ্ধার করে আখাউড়া থানা পুলিশ। এসময় ইউসুফসহ বাড়ির লোকজন পলাতক ছিলেন।
পুলিশের ধারণা, শ্বাসরোধ করে ওই গৃহবধূকে হত্যা করা হয়েছে।
নিহতের মা ফরিদা বেগমের অভিযোগ, যৌতুকের জন্য সুরভীকে তার স্বামী ইউসুফ আল কাইফ পরিকল্পিতভাবে হত্যা করেছে। বিয়ের পর থেকে একাধিকবার তার মেয়েকে বালিশচাপা দিয়ে হত্যা করতে চেয়েছিল জামাতা ইউসুফ।
এসব ঘটনা এর আগে পারিবারিকভাবে আপোষ মীমাংসা করা হলেও যৌতুকলোভী ইউসুফের হাত থেকে রেহাই পাননি সুরভী।
আখাউড়া থানার ওসি রসুল আহম্মদ নিজামী বলেন, মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর হাসপাতাল পাঠানো হয়েছে।
তবে কী কারণে এই হত্যাকাণ্ড তা তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। নিহত গৃহবধূর স্বামীকে গ্রেফতারে অভিযান চলছে।