সিলেট৭১নিউজ ডেস্ক:সিনেমা হল খুলে দেয়ার এক মাস পার হলেও নতুন সিনেমা মুক্তিতে অনীহা প্রকাশ করছেন নির্মাতারা। নতুন সিনেমা না থাকায় হলগুলোতেও দর্শকের উপস্থিতি অত্যন্ত কম।সিনেমা হলগুলো পুরনো সিনেমা চালিয়ে খোলা রেখেছেন। অনেক হল বন্ধ অবস্থায় রয়েছে। অন্যদিকে স্টার সিনেপ্লেক্সও যমুনা ফিউচার পার্কে চলছে হলিউডের সিনেমা। বেশকিছু বড় বাজেটের সিনেমা প্রস্তুত থাকলেও কোনো প্রযোজক-পরিচালকই এই সময়ে মুক্তি দিতে রাজি নয়। প্রযোজক, পরিচালক ও হল মালিকদের তথ্যমতে ২০টির বেশি চলচ্চিত্র এখন মুক্তির অপেক্ষায় রয়েছে। এগুলোর মধ্যে রয়েছে বিদ্রোহী, মিশন এক্সট্রিম, বিশ্ব সুন্দরী, অ্যাডভেঞ্চার অব সুন্দরবন, শ্বশুরবাড়ি জিন্দাবাদ টু, শান, পরান, বিক্ষোভ, মেকআপ, জ্বিন, ওস্তাদ,ক্যাসিনো, আনন্দ অশ্রু ইত্যাদি।
এসব সিনেমার নির্মাতারা করোনার এই সময়ে দর্শক সংকটের কারণে লোকসানে পড়ার আশঙ্কায় সিনেমা মুক্তি দিতে আগ্রহী নন। তাদের অনেকেই বলেছেন,করোনার এই কঠিন পরিস্থিতিতে কোনো সিনেমা মুক্তি দিলে লগ্নিকৃত পুরো অর্থই পানিতে যাবে। মিশন এক্সট্রিম সিনেমার পরিচালক সানি সানোয়ার বলেন, সিনেমা তৈরিই হয় দর্শকের জন্য। প্রত্যেক পরিচালক-প্রযোজকদের স্বপ্ন থাকে তার সিনেমা লাখ লাখ দর্শক দেখুক। এ পরিস্থিতি এখন নেই।সিনেমা হল খুলে দিলেও দর্শক আসছে না। এ অবস্থায় সিনেমা মুক্তি দিলেও খুব বেশি দর্শক আসবে না।সিনেমা হল আসার মতো পরিস্থিতি এখনো হয়নি। ফলে নিশ্চিত লোকসান গুনতে হবে। মিশন এক্সট্রিম বড় বাজেটের সিনেমা। এ মুহূর্তে সিনেমাটি মুক্তি দেয়া সম্ভব না। তাই আপাতত মুক্তি দেয়ার চিন্তা করছি না। শান সিনেমার পরিচালক এম এ রহিম বলেন, আমাদের সিনেমাটা ঈদে মুক্তি দেয়ার কথা ছিল। পরে মুক্তির তারিখ বাতিল করতে হয়। এখন যে পরিস্থিতি তাতে মুক্তি দেয়ার চিন্তা করতে পারি না।
এখন সিনেমা মুক্তি দিলে দর্শক আসবে কিনা তা নিয়ে আমরা দ্বিধায় আছি। বিশ্বসুন্দরী সিনেমার পরিচালক চয়নিকা চৌধুরী ভিন্নমত পোষণ করে বলেন, দুই-এক বছরে শেষ হবে বলে মনে হচ্ছে না। এভাবে বসে থাকলেও হবে না। সরকারি প্রতিষ্ঠান, মার্কেট, বিনোদন কেন্দ্রসহ সবকিছুই চলছে সিনেমা হলেও নতুন সিনেমা মুক্তি দেয়া উচিত বলে মনে করি। কাউকে না কাউকে এগিয়ে আসতে হবে। তবে প্রযোজকরা চিন্তায় আছেন সিনেমা মুক্তি দিলে চলবে কি না। তাদের এ চিন্তা অমূলক নয়। তারা টাকা লগ্নি করেছেন। তারপরও বলব, প্রযোজকদের ঝুঁকি নিতে হবে। ভালো ভালো সিনেমা মুক্তি দিয়ে হলগুলো চাঙ্গা করতে হবে। তাহলেই সিনেমা সচল হবে।