অগ্রহায়ণের শুরু থেকে সিলেটে শীতের প্রকোপ বাড়তে শুরু করেছে। গত কয়েকদিন ধরে তাপমাত্রার পরিমাণও কমছে। শুধু রাতে নয়, সকালেও শহরে কুয়াশার উপস্থিতি লক্ষ্য করা যাচ্ছে। ফলে অনেককে বিকেল থেকেই গরম কাপড় মুড়িয়ে চলাফেরা করতে দেখা যাচ্ছে। তবে সেই শীত ভুগান্তির পর্যায়ে এখনো যায়নি। আবহাওয়া অধিদপ্তর বলছে, এবার আগ থেকেই শীত পড়তে শুরু করলেও ডিসেম্বরের শুরু থেকে পুরোদমে শীত পড়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
আজ ৮ অগ্রহায়ণ। তবে এ মাসের শুরু থেকেই একটু বেশী শীতের আমেজ অনুভূত হচ্ছে। সন্ধ্যার পর পরই হিমেল হাওয়া বইতে শুরু করে। রাতে বাড়তে থাকে শীতের পরিমাণ। সকালেও দির্ঘ সময় শীতের সাথে প্রবাহিত হয় তীব্র বাতাস।
প্রাকৃতিক কারণে এবার আগেভাগেই শীত এসে গেছে। বিশেষ করে গত কয়েকদিন ধরে শীতের মাত্রা বেশী অনুভূত হচ্ছে। শহরের অধিকাংশ পাড়া মহল্লায় বিকেলের পর থেকেই কুয়াশার আবেশ ছড়িয়ে পড়তে দেখা যায়। নগরীর ফুটপাতগুলোতেও ধূম পড়েছে শীতের কাপড় বেচাকেনার।
জিন্দাবাজার ফুটপাতের বেশ কয়েকজন ব্যবসায়ী জানান, ‘এখন সব ক্রেতাই শীতের কাপড় কিনতে আসেন। আমরা নভেম্বরের শুরু থেকে শীতের কাপড় বেচাকেনা করছি।’ শীত বেশী পড়ায় লেপ-তোষকের দোকানগুলোতে ভিড় দেখা যায় সবখানে। ইতোমধ্যে অনেকে লেপের অর্ডারও দিচ্ছেন। অনেকেই আলমারি থেকে শীতবস্ত্র বের করে পড়তে শুরু করেছেন। সকালে বাসা থেকে বের হবার সময় অধিকাংশ মানুষকে শীতের পোশাক নিয়ে বেরুতে লক্ষ্য করা যায়। বন্দরবাজার, লামাবাজার, আম্বরখানা, ওসমানী হাসপাতাল সড়কে অস্থায়ী দোকানীদের শীতের বিভিন্ন প্রকার পিঠা বিক্রি করতে দেখা গেছে। সিলেট আবহাওয়া অফিসের সিনিয়র আবহাওয়াবিদ সাঈদ আহমদ চৌধুরী জানান, কয়েকদিন তাপমাত্রার পরিমাণও কমছে। ফলে শীত বেশী অনুভূত হচ্ছে। এবার অনেক আগেভাগেই শীত পড়তে শুরু করেছে। তবে ডিসেম্বরের শুরু থেকে পুরোপুরিভাবে শীত পড়ার সম্ভাবনা রয়েছে। গতকাল রোববার সিলেটে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিলো ২৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস ও সর্বনিম্ন ছিলো ২০ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
এদিকে, দেশের উত্তরাঞ্চলের তেঁতুলিয়ায় সর্বনিম্ন ১১ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে। সর্বোচ্চ ৩১ দশমিক ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে চট্টগ্রামে।
গতকাল সকাল ৯ টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘন্টার আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, সারাদেশে রাতের তাপমাত্রা সামান্য কমতে পারে এবং দিনের তাপমাত্রা ১ থেকে ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস বাড়তে পারে।
এছাড়া, মধ্যরাত থেকে সকাল পর্যন্ত দেশের কোথাও কোথাও মাঝারী ধরনের কুয়াশা পড়তে পারে।
পূর্বাভাসে বলা হয়,অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ সারাদেশের আবহাওয়া শুষ্ক থাকতে পারে। এদিকে,আগামী তিনদিনে আবহাওয়ার সামান্য পরিবর্তন হতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদফতর।
আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে,দক্ষিণ বঙ্গোপসাগর ও এর কাছাকাছি এলাকায় একটি লঘুচাপ সৃষ্টি হয়েছে। লঘুচাপটি উপমহাদেশীয় বলয়ের বর্ধিতাংশ বিহার ও এর কাছাকাছি এলাকায় বিস্তৃত রয়েছে।