সিলেট৭১নিউজ ডেস্ক::বেশ কিছুদিন ধরে ভারতী ও পাকিস্তানের মধ্যে কাশ্মির সীমান্তে সংঘর্ষের মাত্রা বৃদ্ধি পেয়েছে। এদিকে শনিবার জম্মু-কাশ্মির সীমান্তে পাকিস্তানি বাহিনীর গুলিবর্ষণের ফলে পাতিল সংগ্রাম শিবাজী নামে সেনাবাহিনীর এক হাবিলদার নিহত ও অন্য এক জওয়ান আহত হয়েছেন। রাজৌরি জেলার নৌসেরা সেক্টরে ওই হতাহতের ঘটনা ঘটেছে।
শনিবার পাকিস্তানি বাহিনী যুদ্ধবিরতি চুক্তি লঙ্ঘন করে নিয়ন্ত্রণরেখা বরাবর সেনাবাহিনীর অগ্রবর্তী চৌকিকে টার্গেট করে গুলিবর্ষণ করে। ভারতীয় সেনা জওয়ানরা পাল্টা গুলিবর্ষণের মধ্যদিয়ে ওই ঘটনার কঠোর ও কার্যকরভাবে জবাব দিয়েছে।
সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, হাবিলদার পাতিল সংগ্রাম শিবাজী ছিলেন একজন সাহসী, অত্যন্ত নিবেদিত ও কর্তব্যনিষ্ঠ সৈনিক। তার সর্বোচ্চ ত্যাগ ও কর্তব্য নিবেদনের জন্য জাতি সর্বদা তার প্রতি ঋণী থাকবে। নিহত ওই সেনা সদস্য মহারাষ্ট্রের বাসিন্দা ছিলেন।
গত ১৩ নভেম্বর জম্মু-কাশ্মির সীমান্তের গুরেজ ও উরি সেক্টরে পাকিস্তানি বাহিনীর গুলিবর্ষণে সেনাবাহিনীর ৪ জওয়ান ও বারামুল্লায় বিএসএফের এক কর্মকর্তা নিহত হয়েছিলেন। ওই ঘটনায় বেশ কয়েকজন বেসামরিক ব্যক্তিও হতাহত হন। সেই ঘটনার জের না মিটতেই এবার ফের পাকিস্তানি বাহিনীর গুলিবর্ষণে এক ভারতীয় সেনা সদস্য নিহত হলেন। এ নিয়ে মাত্র ৮ দিনের মধ্যে সামরিক বাহিনীর ৬ সেনা নিহত হয়েছেন।
সেনা সূত্রের খবর, গত ১৩ নভেম্বরের পাল্টা জবাবে ভারতীয় সেনাদের হামলায় কমপক্ষে জনা দশেক পাকিস্তানি সেনা ও সন্ত্রাসী নিহত হয়েছে। ভারতীয় বাহিনীর গোলায় পাকিস্তানি বাঙ্কার এবং জ্বালানি ট্যাঙ্ক ধ্বংস-সহ প্রচুর ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলেও জানা গেছে।
এদিকে, গত বৃহস্পতিবার জম্মু-কাশ্মিরের নাগরোটায় নিরাপত্তা বাহিনীর সঙ্গে সংঘর্ষে চার পাকিস্তানি সন্ত্রাসী নিহত হয়েছে বলে গোয়েন্দা সূত্রে জানানো হয়েছে। নিহতদের কাছ থেকে প্রচুর অস্ত্রশস্ত্র উদ্ধার হয়েছে। তারা বড়সড় কোনো হামলার পরিকল্পনা করেছিল বলেও জানানো হয়েছে। যদিও নিহতদের সঙ্গে তাদের কোনো যোগ নেই বলে দাবি করেছে পাকিস্তান।
ওই ঘটনাকে কেন্দ্র করে গতকাল শুক্রবার জরুরি ভিত্তিতে নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত ডোভাল এবং স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের সঙ্গে বৈঠকে বসেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।
এরপরেই আজ শনিবার নয়াদিল্লীস্থ পাক হাই কমিশন কর্মকর্তাকে ভারতীয় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে তলব করে প্রতিবাদ জানানো হয়েছে। ভারতীয় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জোরালোভাবে পাকিস্তানকে সন্ত্রাসী ও সন্ত্রাসী সংগঠনগুলোর তহবিল বন্ধ করতে বলেছে। একই সাথে সন্ত্রাসবাদের অবকাঠামোও ধ্বংস করতে বলেছে।