শীত দরজায় কড়া নাড়ছে। বাঙ্গালির ভুড়ি ভোজের অন্যতম সময় শীতকাল । তবে খাওয়া দাওয়ার পাশাপাশি শীতের এই সময়টাতে স্বাস্থ্যের বিষয়েও সচেতন থাকা জরুরি। সেই হিসেবে শীতকালের ফলগুলোর মধ্যে আপনি বেছে নিতে পারেন খেজুর। শীত খেজুরের প্রধান মৌসুম হলেও বছরের অন্যান্য সময়ও খেজুর পাওয়া যায়।
খেজুরের উপকারের কথা এক কথায় বলে শেষ করা যায় না। খেজুর একদিকে যেমন ত্বক ও চুলের জন্য উপকারী তেমন স্বাস্থ্যের জন্যও খেজুর অনেক ভালো। খেজুরের মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ছাড়াও রয়েছে ভিটামিন এ, বি, পটাশিয়াম, ম্যাঙ্গানিজ, সালফার, প্রোটিন, ফাইবার এবং আয়রন।
ওজন কমাতে সাহায্য করে খেজুর:
অবাক করার মত হলেও সত্য যে খেজুর ওজন কমাতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। সকালে এক কাপ ব্ল্যাক কফির সাথে আপনি খেজুর খেতে পারেন বা সন্ধ্যায় দুধ চা বা গ্রিন টির সাথে। খেজুর অকেক্ষণ পেট ভরা রাখতে সাহায্য করে। এর ফলে ফাস্ট ফুডের প্রতি আগ্রহ কমে অনেকাংশে।
হাড় শক্তিশালী করে:
খেজুর শীতল আবহাওয়া থেকে আমাদের সুরক্ষিত রাখে, কারণ খেজুরে রয়েছে ভরপুর পুষ্টি ও প্রোটিন। খেজুর আমাদের দূর্বল হাড়কে সুস্থ রাখতে সহায়তা করে। এছাড়া খেজুরে যে ম্যাগনেসিয়াম রয়েছে তা হাড় সুস্থ রাখতে সাহায্য করে।
চিনির প্রতি ক্রেভিং কমায়:
খেজুরে যে চিনি রয়েছে সেটা প্রাকৃতিক। শীতকালেই এমনিতে চিনি খাওয়ার প্রবণতা বাড়ে। খেজুর খেলে এই প্রবণতা কমে যায় এবং এতে চিনি খাওয়ার পরিমাণ ও কমে। শরীরের ওজনও ঠিকঠাক রাখে চিনি।
স্ট্রেস কমায়:
খেজুরগুলোতে ভিটামিন বি১, বি২,বি৩ এবং বি৫ রয়েছে। এতে করে প্রতিদিন অল্প কিছু খেজুর খেলে ভিটামিনের চাহিদা পূরণ হবে। আর এর ফলে শরীর থাকবে সক্রিয় ও চিন্তামুক্ত।
হজম উন্নত করে:
কিছুসময় খেজুর পানিতে ভিজিয়ে রেখে খাওয়া হলে হজমের উন্নতি হবে। এতে উচ্চ ফাইবার রয়েছে যা আপনার কোষ্ঠ্যকাঠিন্যতা কমাবে।
ত্বক ভালো রাখে:
খেজুরে যে ভিটামিন সি ও ডি রয়েছে তা ত্বককে মসৃণ রাখতে সহায়তা করে। এন্টি এজিং এর ক্ষেত্রেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে খেজুর।
কোলেস্টরেল লেভেল ঠিক রাখে:
আপনার প্রতিদিনের ডায়েটে অল্প পরিমাণে খেজুর রাখলে তা কোলেস্টরলের মাত্রা ঠিক রাখে। এতে করে ওজন কমাতেও সাহায্য করে।
ডায়বেটিস নিয়ন্ত্রণে রাখে:
খেজুরে যে ফাইবার রয়েছে তা ব্লাড সুগার নিয়ন্ত্রণের পাশাপাশি ডায়বেটিস নিয়ন্ত্রণে রাখে। এক্ষেত্রে খেজুরের সাথে টক দই মিশিয়ে খেলে অনেক বেশি উপকার পাওয়া যায়।