অনলাইন ডেস্ক : খাগড়াছড়ির মাটিরাঙ্গা উপজেলার সাপমারা এলাকায় পর্যটক বহনকারী বাস উল্টে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) ও জাহাঙ্গীর নগর বিশ্ববিদ্যালয়সহ (জাবি) বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের অন্তত ৩০ জন শিক্ষার্থী আহত হয়েছেন। আহতদের মধ্যে গুরুতর অবস্থায় ২৮ জনকে খাগড়াছড়ি জেলা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। দুজনকে ভর্তি করা হয় মাটিরাঙ্গা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে। পরে দুই হাসপাতাল থেকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় তিনজনকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে পাঠানো হয়। গতকাল মঙ্গলবার রাত ৮টার দিকে খাগড়াছড়ি-ঢাকা আঞ্চলিক মহাসড়কে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
আহতদের হাসপাতালে ভর্তি করা হলেও তাৎক্ষণিকভাবে তাদের নাম জানা যায়নি। খাগড়াছড়ি জেলা সদর হাসপাতালের চিকিৎসক ডা. শিমুল কর তাদের হাসপাতাল থেকে একজনকে চমেকে পাঠানোর কথা নিশ্চিত করেন। মাটিরাঙ্গা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসক ফরহাদ হোসেন সেখানে ভর্তি দুজনকে চমেকে পাঠানোর তথ্য নিশ্চিত করেন। তবে দুই চিকিৎসকের কেউই আহতদের পরিচয় দিতে পারেননি।
জানা গেছে, মঙ্গলবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে ৫৪ জন পর্যটক নিয়ে খাগড়াছড়ি থেকে ঢাকার উদ্দেশে রওনা করে নজরুল ট্রাভেলসের (গাড়ি নং-ঢাকা মেট্রো-ব-১১-১৪৫৯) একটি বাস। বাসটি মাটিরাঙ্গার সাপমারা পুলিশ চেকপোস্ট অতিক্রম করে পাহাড়ে নামার সময় নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলে। এ সময় বাসটি উল্টে একটি বৈদ্যুতিক পিলার ও পাহাড়ের সঙ্গে আটকে বড় ধরনের দুর্ঘটনা থেকে রক্ষা পেলেও বাসে থাকা পর্যটকরা অধিকাংশই মারাত্মকভাবে আহত হয়। খবর পেয়ে স্থানীয়দের সহায়তায় পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিস কর্মীরা আহতদের উদ্ধার করে।
বাসে থাকা এক শিক্ষার্থী জানান, তারা ৫৪ জন সাজেক ভ্রমণে যাচ্ছিলেন। গত সোমবার সাজেকে রাতে অবস্থানের পর খাগড়াছড়ির বিভিন্ন পর্যটন কেন্দ্র ভ্রমণ করে গতকাল তারা ঢাকা ফিরছিলেন। আহতদের সকলেই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ও জাহাঙ্গীর নগর বিশ্ববিদ্যালয়সহ বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থী।
খাগড়াছড়ির মাটিরাঙ্গা থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আলী দুর্ঘটনার খবর পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করা হয়েছে। পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিস কর্মীরা স্থানীয়দের সহায়তায় আহত ৩০ জনকে উদ্ধার করে খাগড়াছড়ি ও মাটিরাঙ্গা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পাঠিয়েছে। এ ঘটনায় প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।