সিলেটের বিশ্বনাথ উপজেলার দশঘর ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচনের দিন সরকারি কাজে বাঁধা, প্রিজাইডিং কর্মকর্তাসহ সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীকে অবরুদ্ধ করে পুলিশের উপর হামলা ও নির্বাচনী সরঞ্জাম বহনকারি গাড়ি ভাংচুর করার অভিযোগে থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে।
ওই ইউনিয়নের নব-নির্বাচিত চেয়ারম্যান এমাদ উদ্দিন খানকে প্রধান অভিযুক্ত করে গত শুক্রবার রাতে বিশ্বনাথ থানার এসআই নুর হোসেন বাদী এই মামলাটি দায়ের করেন (মামলা নং ২০)। মামলায় ৩৫ জনের নাম উল্লেখ ও আরো ১০০/১২০ জনকে অজ্ঞাতনামা অভিযুক্ত করা হয়েছে। মামলার অন্যান্য অভিযুক্তরা হলেন বিএনপি নেতা আহেমদ নুর উদ্দিন (জানাইয়া), আরব খান (নোয়াগাঁও পূর্ব পাড়া), জয়নাল আবেদীন (আনপুর), আব্দুর রহমান খালেদ (বরইগাঁও), জানু মিয়া (রামধানা), যুবদল নেতা গোবিন্দ মালাকার (বিশ্বনাথ নতুন বাজার), আব্দুল মুমিন কালু (দৌলতপুর), আব্দুর রব (বন্ধুয়া), আবেদুর রহমান আছকির (মঙ্গলগিরি), ছাত্রদল নেতা হুসাইন আহমেদ প্রবেল (ধর্মদা), নাজমুল হাসান শিমুল (শ্রীপুর), নিজাম উদ্দিন (দশঘর নোয়াগাঁও), উপজেলার বিশঘর গ্রামের তেরাব আলী, দশঘর নোয়াগাঁও গ্রামের আনোয়ার, জাকির আহমদ, জাহেদ, বিশ্বনাথ নতুন বাজার রামপাশা রোডের ফরিদ আহমদ, বাহাড়া দুবাগ গ্রামের সুলতান মিয়া, কাশিমপুর গ্রামের হিফজুর রহমান, মিজবাহ খান, নেহালের নোয়াগাঁও আতিনুর রহমান আতিকুর, ছিক্কাগাঁও গ্রামের দিলু মিয়া, বেলাল, ছত্তিশ গ্রামের মখলিছুর রহমান, আব্দুর রউফ, দশপাইকা গ্রামের সুলতান খান, চৈতন নগর গ্রামের রাশেদ মিয়া, লিফু মিয়া, দৌলতপুর গ্রামের রেজাউল করিম রাজু, মিরেরচর গ্রামের ফখরুল ইসলাম রেজা, দেওকলস গ্রামের সালমান, অলংকারী গ্রামের ছাইদুর রহমান, শেখেরগাঁও গ্রামের নজরুল ইসলাম হান্দু মিয়া ও রায়খেলী গ্রামের রুফু মিয়া।
পুলিশ জানায়, দীর্ঘ প্রায় ১৭ বছর পর গত ২৯ অক্টোবর বৃহস্পতিবার দশঘর ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। নির্বাচনে দশঘর এনইউ উচ্চ বিদ্যালয় ভোট কেন্দ্র থেকে সন্ধ্যায় ব্যালট বাক্স ও নির্বাচনী সরঞ্জাম নিয়ে উপজেলা সদরে ফেরার সময় পুলিশের উপর হামলা করে অভিযুক্তরা। তখন নির্বাচনী সরঞ্জাম বহনকারী একটি পিকআপ (মিনি ট্রাক) গাড়ির গ্লাস ভাংচুর করা হয়। এসময় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ ৫ রাউন্ড ফাঁকা গুলি ছুঁড়ে।
মামলা দায়েরের বিষয়টি নিশ্চিত করে করে বিশ্বনাথ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) শামীম মুসা বলেন, অভিযুক্তদের গ্রেফতারে পুলিশী অভিযান অব্যাহত রয়েছে।