বিশ্বনাথ থানার ২নং খাজাঞ্চি ইউনিয়নের বিলপার গ্রামের নিরিহ জুয়েল হত্যার প্রচেষ্টার মামলার আসামি সেবুলকে গ্রেফতার করেছে থানা পুলিশ।
সেবুল বিশ্বনাথ থানায় কয়েকটি মামলার আসামি হয়ে আসা যাওয়া করলেও তাকে গ্রেফতার করেনি পুলিশ। অবশেষে সিলেটের সুনামধন্য পুলিশ সুপার ফরিদ উদ্দিনের কঠোর নির্দেশে সেবুলকে থানায় খবর দিয়ে এনে গ্রেফতার করে জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়। সেবুল বিলপার গ্রামের মৃত আকবর আলী ছেলে। গত ২৪জুন বুধবার বিলপার পূর্ব হাটি গ্রামের নিরিহ মনোহর আলীর পুত্র জুয়েল বাড়ির পূর্বে নিজ ভুমিতে ঘাস কাটতে গেলে পূর্ব পরিকল্পিতভাবে আসামি সেবুল ও সুহেলের নেতৃত্বে জুয়েলকে খুন করার উদ্দেশ্যে এ হামলার করা হয়। বাদি পক্লে অভিযোগ জুয়েল ও সেবুল তাদের হাতে থাকা ডেগার দিয়ে জুয়েলের মাথায় দুটি ছেদ মারলে হাড় কেটে মগজ বের হয়ে যায়। মূমুর্ষ অবস্থায় জুয়েলকে সিলেট ওসমানী হাসপাতালে ভর্তি করলে তার তার মাথায় অপারেশন করা হয়। জুয়েল অল্পের জন্য প্রাণে বাচলেও সে এখন প্রতিবন্ধি ও সঙ্গাহীন অবস্থায় রয়েছে। তাকে দুই জনে ধরে হাটা চলা করে থাকেন।
এ মামলার আসামি সুহেলকে পুলিশ সাথে সাথে গ্রেফতার করলেও সেবুলকে গ্রেফতার করতে অনিহা প্রকাশ করে পুলিশ। ২৩ জুন রাতে এ মামলার আসামি সেবুলের বড় ভাই সমরু মিয়া মনোহর আলীর পরিবারকে বাড়িঘর থেকে উচ্চেদের জন্য একের পর এক হামলা করা হয়। এর আগে জুয়েলের বোন সুমিনা রুমিনাকে কুপিয়ে একইভাবে জখম করা হয়।
গত ২৮ অক্টোবর বুধবার জুয়েলের ভাই রুহেল মামলার আসামিদের অত্যাচারে অতিষ্ট হয়ে সিলেটের পুলিশ সুপার ফরিদ উদ্দিনের সাথে দেখা করে। পুলিশ সুপার জুয়েলের মাথার আঘাত দেখে আবেগ আপ্লুত হয়ে পড়েন। তিনি জুয়েলের উপর হামলাকারিদের গ্রেফতারে থানার ওসিকে নির্দেশ দিলে ঐদিন বিকাল ৩টায় পুলিশ সেবুলকে থানায় ডেকে এনে আটক করে।
জুয়েলের উপর হামলার আসামি সেবুলকে গ্রেফতার করায় বিলপার গ্রামবাসি পুলিশ সুপার ফরিদ উদ্দিনকে অভিনন্দন ও কৃতজ্ঞতা জানিয়েছেন। তারা এই মামলায় সকল আসামির বিরুদ্ধে কঠোর শাস্তি প্রদানে পুলিশ সুপারের হস্থক্ষেপ কামনা করেছেন।