সিলেট : কোম্পানীগঞ্জে পাষন্ড স্বামী জুয়েল আহমদ (২৫) ও তার পরিবারের যৌতুকের লালসায় নিষ্ঠুর র্নিযাতনে সিলেট ওসমানী হাসপাতালে জীবন মৃত্যুর সাথে পাজ্ঞা লড়ছেন ৫ মাসের অন্তসত্ত্বা লাকি বেগম (২০) নামের এক গৃহবধু। ঘটানাটি ঘটেছে কোম্পানীগজ্ঞ উপজেলার টুকর গাও বউবাজার গ্রামে গত ২৭ নভেম্বর সোমবার রাত ৮ টায় স্বামী নিজ বাড়িতে নির্যাতনের এ ঘটনা ঘটে।
জানা যায়, এক বছর আগে একই এলাকার দিনমজুর বাবুল মিয়ার মেয়ে লাকি বেগমের পারিবারিক ভাবে বিয়ে হয় ঐ এলাকার ফুল মিয়ার ছেলে জুয়েলের সাথে। বিয়ের পর থেকে জুয়েল তার স্ত্রীকে যৌতুক বাবত এক লাখ টাকা দেয়ার জন্য ভিবিন্ন ভাবে চাপ সৃষ্টি করে। স্বামী জুয়েলের নির্যাতনে বাধ্য হয়ে লাকি বেগমের পিতা দিনমজুর বাবুল মিয়া ধার র্কজ করে ৪০০০০ হাজার টাকা দেন জুয়েলকে কিন্তু এখানেই সে কান্ত হয় নি টাকা নেয়ার দুই থেকে তিন মাস যেতে না যেতেই আবারও যৌতুকের বাকি টাকার জন্য প্রায় দিনই নির্যাতন করত সেই ধারাবাহিকতায় গত সোমবার সন্ধ্যার দিকে লাকি বেগমের স্বামী জুয়েল শাশুড়ী পদনি বেগম ও জুয়েলের বোন শাহনুর বেগম মিলে লাকিকে তাহার পিতার কাছ থেকে আরো ৬০০০০ হাজার টাকা আনার জন্য বলে স্ত্রী লাকি টাকা আনতে অস্বীকৃতি জানালে জুয়েল তার মা ও বোন মিলিত হয়ে লাকি বেগমের হাত পা বেধে মারপিঠ করে এক পর্যায়ে গলায় ওড়না দিয়ে ফাস লাগিয়ে হত্যা করার চেষ্টা করে। এ সময় তার আর্ত চিৎকারে আশপাশের লোকজন এসে তাকে উদ্ধার করে। খবর পেয়ে লাকির পিতা ও মামা ছালেক মিয়া এসে তাকে প্রথমে কোম্পানীগজ্ঞ উপজেলা হাসপাতালে নিয়ে যান কিন্তু কর্তব্যরত ডাক্তাররা তার আবস্থার অবনতি দেখে সিলেট ওসমানী হাসপাতালে পাঠিয়ে দেন।
বর্তমানে নির্যাতিতা লাকি বেগম সিলেট ওসমানী মেডিকেলের ২য় তলায় আই সি ইউ তে জীবন মৃত্যুর সাথে পাজ্ঞা লড়ছে ।তার অবস্থা খুবই সংকটাপন্ন।নির্যাতিতার পিতা বাবুল জানান মেয়েকে মেডিকেলে ভর্তি করার পরদিন কোম্পানীগজ্ঞ থানায় অভিযোগ করতে গিয়ে পুলিশের কাছেও নানা হয়রানী স্বীকার হন। তার অন্তসত্তা মেয়েকে নির্যাতন করে হত্যা করার যে পায়তারা করা হয়েছে তার সঠিক বিচার চান প্রশাসনের কাছে। মেয়ের চিকিৎসা ও সরকারী বন্ধ থাকার কারনে আদালতে মামলা করতে পারেন নি রবিবার আদলতে মামলা করবেন বলে জানান নির্যাতিতার পিতা বাবুল মিয়া।