সিলেট বন্দরবাজার পুলিশ ফাঁড়িতে যুবক রায়হানের মৃত্যুর ঘটনায় সাক্ষ্য হিসেবে ফৌজদারি কার্যবিধির ১৬৪ ধারায় সাক্ষ্য জবানবন্দি দিয়েছেন তিন কনস্টেবল। গতকাল সোমবার দুপুরে সিলেট অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো: জিয়াদুর রহমানের আদালতে কনস্টেবল শামীম, সাইদুর ও দেলোয়ারকে হাজির করা হয়। সেখানে সাক্ষী হিসেবে তাদের জবানবন্দি রেকর্ড করা হয় বলে জানিয়েছেন সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশ(এসএমপি) সহকারী কমিশনার (প্রসিকিউশন) অমূল্য কুমার চৌধুরী।
আদালতের একটি সূত্র জানায়, তিন কনস্টেবলকে বেলা ২টার দিকে আদালতে হাজির করা হয়। বেলা সাড়ে ৪টা পর্যন্ত তাদের জবানবন্দি রেকর্ড করা হয়।
রায়হানের মৃত্যুর ঘটনায় ফাঁড়ির ইনচার্জ এস আই আকবরসহ বন্দরবাজার ফাঁড়ির সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) তৌহিদ মিয়া, কনস্টেবল টিটু চন্দ্র দাশ ও হারুনুর রশীদকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। আর প্রত্যাহার করা হয়েছে এএসআই আশীক এলাহী, এএসআই কুতুব আলী ও কনস্টেবল সজীব হোসেনকে। মূল অভিযুক্ত ফাঁড়ির ইনচার্জ এসআই আকবর পলাতক। সাক্ষ্য দেয়া বন্দরবাজার পুলিশ ফাঁড়ির তিন কনস্টেবল বরখাস্ত ও প্রত্যাহার হওয়া ৭ সদস্যের বাইরে।
প্রসঙ্গত, রায়হান আহমদ (৩৩) নামে সিলেট
নগরীর আখালিয়ার এক যুবক নিহত হন। পুলিশের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়, ছিনতাইয়ের দায়ে নগরীর কাষ্টঘর এলাকায় গণপিটুনিতে নিহত হন রায়হান। তবে কাষ্টঘর এলাকার সিসিটিভি ফুটেজে গণপিটুনির কোনো প্রমাণ পাওয়া যায়নি। সেখান থেকে পুলিশ কাউকে ধরে নিয়ে আসারও প্রমাণ নেই সিসিটিভি ফুটেজে। রায়হান নগরীর আখালিয়ার নেহারিপাড়া এলাকার মৃত রফিকুল ইসলামের ছেলে। তিনি স্টেডিয়াম মার্কেট এলাকায় এক চিকিৎসকের চেম্বারে সহকারি হিসেবে কাজ করতেন। এঘটনায় নিহতের স্ত্রী তামান্না আক্তার তান্নি বাদী হয়ে কতোয়ালী থানায় মামলা দায়ের করেছেন। এঘটনায় বরখাস্ত করা হয় এসআই আকবরসহ ৪ পুলিশ সদস্যকে। এছাড়া অন্য তিন পুলিশ সদস্যকে প্রত্যাহার করে পুলিশ লাইন্সে যুক্ত করা হয়।