কেউ কেউ মনে করছেন এভাবে একটি হত্যাকান্ডের পরও অভিযুক্তকে গ্রেফতার করতে না পারা সিলেটের মানুষের জন্য একটি অশনি সংকেত। এটি কোন ভাবেই মেনে নেয়া যায় না ।
সিলেট নগরীতে বসবাসকারী নাগরিকরা জানান, এই নগরীতে আমরা সন্তান সন্ততি নিয়ে বসবাস করি। আমাদের ছেলে মেয়েরা চলাফেরা করে। এখন এভাবে চলতে থাকলে আমাদের নিরাপত্তা কোথায়? তারা বলেন, রায়হানকে হত্যা করা হয়েছে কাল অন্য কাউকে হত্যা করা হবে না এর নিশ্চয়তা কে দিবে। এমন প্রশ্ন সচেতন নগরবাসীর।
জানা যায়, বিক্ষোভ থামছেনা সিলেটে। প্রতিদিনই পাড়া, মহল্লা, বিভিন্ন সংগঠনের টানা বিক্ষোভ চলছে। কিন্তু আলোচিত রায়হান হত্যাকান্ডের কয়েক দিন পেরিয়ে গেলেও এখনো পুলিশের ভূমিকা নিয়ে ক্ষোভ বাড়ছে সিলেটের সাধারণ মানুষের মনে। দলমত নির্বিশেষে এই নির্মম হত্যাকান্ডের প্রতিবাদে সিলেটের মানুষ নেমে এসেছেন রাজপথে।
প্রতিদিন সভা সমাবেশ মানববন্ধন হচ্ছে। এসব সভা সমাবশে দাবি জানিয়ে তারা বলেন, ‘হত্যার সুনির্দিষ্ট অভিযোগ সত্ত্বেও কেনো অভিযুক্ত আকবরকে গ্রেপ্তার করা হচ্ছে না। এতে তদন্ত ব্যাহত হতে পারে।’ তাই অভিযুক্তদের গ্রেপ্তার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান তারা।
এদিকে নগরীতে সন্তানদের রাত দশটার আগেই বাসায় ফেরার নির্দেশ দিয়ে রেখেছেন অনেক বাবা মা। এমনটিই জানিয়েছেন অনেকেই। অভিভাবকরা জানান, এখন নিরাপত্তার অভাব অনুভব করছি। কোন ঘটনা ঘার পর মানুষের সমবেদনার প্রয়োজন নেই। প্রয়োজন নিরাপত্তা। নগরীতে আরও সিসি ক্যমেরার সংখ্যা বৃদ্ধির দাবি জানান তারা।
শিক্ষক আবুল ফজল বলেন, মানুষের শেষ আশ্রয়স্থল পুলিশ এবং বিচারাঙ্গন। সেই পুলিশ ফাড়িতে ধরে নিয়ে গিয়ে যদি হত্যা করা হয় তাহলে মানুষ আর যাবে কোথায়?
ব্যবসায়ী আব্দুল কাইউম বলেন, এই ঘটনার বিচার হতেই হে। না হয় কিছু দিন পর এর চেয়ে ও বড় ঘটনা ঘটবে। এভাবে একদিন সবাইকে কাদতে হবে। পুলিশকে আরও জনবান্ধব ও মানবিক হওয়ার আহান জানান তিনি।
প্রসঙ্গত গত রোববার ভোরে রায়হান আহমদ (৩৩) নামে সিলেট নগরের আখালিয়ার এক যুবক নিহত হন। পুলিশের নির্যাতনে বন্দর বাজার পুলিশ ফাড়িতে রায়হান নিহত হন । তিনি নগরের আখালিয়ার নেহারিপাড়া এলাকার মৃত রফিকুল ইসলামের ছেলে। ঘটনার পর রায়হানের স্ত্রী বাদী হয়ে একটি হত্য মামলা দায়ের করেন । নিহত রায়হানের লাশ ময়নাতদন্তের জন্য পূন: কবর থেকে উত্তোলন করা হয় । এই হত্যা মামলাটি বর্তমানে তদন্ত করছে পিবিআই ।