সিলেট:হবিগঞ্জের বাহুবল উপজেলার ৬ নং মিরপুরই উনিয়নের দাস পড়া গ্রামে সত্তরর্ধ্ব এক বৃদ্ধা মাকে তার নিজের সন্তানের বিরুদ্ধে নির্যাতনের অভিযোগ উঠেছে ।
এ নির্যাতনের প্রতিকার চেয়ে হবিগঞ্জ সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিসট্রেট আদালতে নিজের ছেলে বিলাল মিয়ার(৪০) বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছেন ভুক্তভোগী মা রিজিয়া বেগম (৭২) মামলা নং(সি আর ৯৭/২০) লিখিত অভিযোগে উল্লেখ করেন ব্যক্তি জীবন তিনি দৃষ্টি প্রতিবন্ধী এ কারণে তার পিতা ঘর জামাই হিসাবে জমিজমা সহ মো: নাঈম উল্লাহর সাথে বিবাহ দেন।তিনি বলেন আমান গর্ভে চার সন্তানের জন্ম হয় সেই সুবাদে বিবাদী আমার গর্ভের সন্তান।
আমার অন্য সন্তানরা দেশের বিভিন্ন জায়গায় ব্যবসা বানিজ্যের জন্য তাদের পরিবার নিয়া বসবাস করছে।
মামলার বিবাদী বিলাল আহমদ ও আমি এক বাড়িতে বসবাস করি।
বিলাল আহমদকে আমার জায়গা জমি বিক্রি করে বহুবার ব্যবসার জন্য টাকা দেই সে ব্যবসার টাকা মাদক ও জোয়ায় নষ্ট করে ফেলে।
ব্যক্তি জীবনে ব্যবসা বানিজ্য না করিয়া ইউনিয়ন ভূমি অফিসে দালালী ও সাধারণ মানুষের সাথে ঠকবাজি ধান্ধাবাজি করে টাকা পয়সা আত্মসাৎ শুরু করে।
তার এই অপকর্মে প্রতিনিয়ত মানুষ সালিশ নিয়ে বাড়িতে আসেন অনেকের টাকা আমি ফিরিয়ে দিয়েছি।
বহুবার তার বড় ভাই ফারুক মিয়া সহ পরিবারের অন্য সদস্যরা বোঝানোর চেষ্টা করে ব্যর্থ হয়েছেন।
এমতাবস্থায় সে টাকার জন্য আমার ব্যবসায়ী তিন সন্তান ও আমাকে চাপ প্রয়োগ করে।
টাকা না দেওয়াতে সে আমার ঘরের আলমারির তালা ভেঙে চিকিৎসার জন্য জমানো ৮০ হাজার টাকা জোরপূর্বক নিয়ে যায়।তার কাছে টাকা ফেরত চাইলে সে আমাকে মেরে ফেলার হুমকি দে এক পর্যায়ে ধাক্কা দিয়ে মাটিতে ফেলে দিয়ে বুকে পিঠে ঘুষি ও লাতি মারে যার ফলে আমি অজ্ঞান হয়ে পড়ি সে আমাকে মৃত মনে করে ফেলে চলে যায়।
আশপাশের প্রতিবেশিরা আমাকে উদ্ধার করে হবিগঞ্জ আধুনিক সদর হাসপাতালে নিয়ে যায়।
খবর পেয়ে আমার ছেলে ফারুক মিয়া এসে আমার চিকিৎসা করায়।
আমার ছেলেরা তার প্রতিবাদ করলে তাদেরও হত্যার হুমকি দে।বাড়িতে ধারালো অস্ত্র নিয়ে বসে থাকে যাথে আমি ও আমার সন্তানেরা বাড়িতে প্রবেশ না করতে পারি।
বাড়ির গাছ,পুকুরের মাছ একে একে সব বিক্রির জন্য আমাকে হুমকি দিচ্ছে।
এ বিষয়ে স্থানীয় ভাবে কয়েক বার বিচার সালিশ ডাকলে সে আসেনা থানায় অভিযোগ করতে গেলে অভিযোগ গ্রহণ না করায় আদালতের আশ্রয় নিতে আমি বাধ্য হয়েছি।