ধর্ষকদের সর্বোচ্চ শাস্তির দাবিতে মৌলভীবাজারে আন্দোলনরতদের ওপর একদল দুর্বৃত্ত হামলা চালিয়েছে। এতে আন্দোলনরত পাঁচজন আহত হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার দুপুর ১২টার দিকে মৌলভীবাজার প্রেসক্লাবের সামনে প্রগতিশীল বাম ছাত্র সংগঠনের উদ্যোগে মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশ চলাকালে এই হামলার ঘটনা ঘটে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, শহরের চৌমুহনা থেকে মিছিল নিয়ে এসে আন্দোলনরতরা মৌলভীবাজার প্রেসক্লাবের সামনে মানববন্ধন ও সমাবেশ করাকালে আকস্মিক ১৫-২০ জনের একদল দুর্বৃত্ত সমাবেশকারীদের উপর হামলা চালায়।
হামলায় আহত হন ছাত্রফ্রন্টের মৌলভীবাজার জেলা সংসদের সহ-সভাপতি বিশ্বজিৎ নন্দী, দপ্তর সম্পাদক রাজীব সূত্রধর, ছাত্র ইউনিয়ন মৌলভীবাজার জেলা সংসদের শিক্ষা ও গবেষণা বিষয়ক সম্পাদক শামীম আহমেদ, সমাজ কল্যাণ বিষয়ক সম্পাদক আব্দুর রইয়ান শিপু ও মৌলভীবাজার সরকারি কলেজ ছাত্র ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক শিহাব আহমেদ। আহতরা মৌলভীবাজার ২৫০ শয্যা হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছেন।
সমাজতান্ত্রিক ছাত্রফ্রন্টের মৌলভীবাজার জেলা সভাপতি রেহনোমা রুবাইয়াৎ বলেন, ধর্ষণবিরোধী আন্দোলনে আমাদের উপর ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা আতর্কিত হামলা করে। এখানে সাধারণ শিক্ষার্থীদের নিয়ে আমরা মানববন্ধন ও সমাবেশ করছিলাম।
তিনি বলেন, ‘ধর্ষণের সাথে ছাত্রলীগ, চুরি-ডাকাতির সাথে ছাত্রলীগ, সব কিছুতেই ছাত্রলীগ। একটা ভালো প্রোগ্রাম করলেও ছাত্রলীগ এসে হামলা করে।’
এবিষয়ে মৌলভীবাজার মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইয়াসিনুল হক বলেন, ছাত্রলীগের হামলার বিষয়টি আমার জানা নেই। ঘটনাস্থলে থাকা পুলিশের ফোর্স জানিয়েছে দুইপক্ষের মধ্যে হাতাহাতির ঘটনা ঘটেছে।
মৌলভীবাজার জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি আমিরুল হোসেন চৌধুরী আমীন ও সাধারণ সম্পাদক মাহবুব আলমের সাথে মোবাইল ফোনে বার বার যোগাযোগের চেষ্টা করেও তাদের পাওয়া যায়নি। তবে জেলা ছাত্রলীগের সহসভাপতি আখতার উদ্দিন আহমদ বলেন, আন্দোলন থেকে ছাত্রলীগকে দোষারোপ করে শ্লোগান দেওয়া হচ্ছিলো। ছাত্রলীগ শিক্ষিত সংগঠন, তারা হামলা করেনি। আন্দোলনকারীরা নিজেরাই নিজেদের উপর হামলা করেছে।