নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জে ধর্ষণ মামলায় এক পুলিশ সদস্যকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। অভিযুক্ত পুলিশ কনস্টেবলের নাম আবদুল কুদ্দুস নয়ন। ২৫ বছর বয়সী এক নারী বুধবার রাতে তার বিরুদ্ধে মামলাটি দায়ের করেন। এরপর রাতেই তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। আজ বৃহস্পতিবার সকালে গ্রেপ্তারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সিদ্ধিরগঞ্জ থানার ইন্সপেক্টর (তদন্ত) ইশতিয়াক রাসেল।
ওই নারীর অভিযোগ, হুজুর ডেকে তাকে বিয়ে করলেও কাবিননামা ও রেজিস্ট্রি করেনি। এভাবে দীর্ঘদিন তারা স্বামী-স্ত্রী পরিচয়ে বসবাস করেছেন। এখন এ বিয়ে অস্বীকার করছেন আবদুল কুদ্দুস নয়ন। অভিযুক্ত পুলিশের কনস্টেবল রাজারবাগ পুলিশ লাইনসে কর্মরত ছিলেন।
সিদ্ধিরগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) কামরুল ফারুক রাতে বলেন, মামলার বাদি ওই নারী সিদ্ধিরগঞ্জে একটি ‘সেবামূলক’ প্রতিষ্ঠানে কাজ করেন। দুই বছর আগে ফেসবুকে পুলিশ সদস্য আবদুল কুদ্দুস নয়নের সঙ্গে তার পরিচয় হয়। পরে তাদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। প্রেমের সূত্র ধরেই তাদের বিয়ে হয়। তবে তাদের কোন কাবিননামা ও বিয়ের রেজিস্ট্রির নথি নেই। মসজিদের হুজুর ডেকে বিয়ে পড়ানো হয় বলে ওই নারী পুলিশকে জানায়।
ওসি আরো বলেন, ওই নারীর আগের স্বামীর সঙ্গে ছাড়াছাড়ি হয়েছে। আগের ঘরের দু’টি সন্তানও রয়েছে। বুধবার রাতে ওই নারী থানায় এসে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা দায়ের করেছেন। ঘটনাটি তদন্ত চলছে। তদন্তের পরে বিষয়টি পুরোপুরিভাবে স্পষ্ট হবে।