November 16, 2024, 3:28 pm

সংবাদ শিরোনাম :
সেইলরের নতুন পূজা কালেকশন সেজে উঠুন আপনিও রুদ্র নিহতের ঘটনায় সিলেটে মামলা, আসামি ৩ শতাধিক বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদের পরিচয় আসাদুজ্জামান ও ওবায়দুল কাদেরর নিষেধাজ্ঞা দিতে আহ্বান মার্কিন কংগ্রেসের ৬ সদস্যের নোবেলজয়ী থেকে সরকার প্রধান কে এই ড. ইউনূসের বড়লেখাবাসীকে ঈদুল আজহার শুভেচ্ছা জানালেন সমাজসেবক সাইদুল ইসলাম নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে মাইক্রবাস খাঁদে”পুলিশেরে সাহসী ভূমিকায় বেঁচে গেল ১১ টি প্রান” সিলেটে কমছে বন্যার পানি, বর্ষায় বাড়ছে রোগবালাই আগামীকাল সিলেট ফিরছেন মেয়র আনোয়ারুজ্জামান বাজেটে বাড়ছে বিড়ি-সিগারেটের দাম প্রধানমন্ত্রী পদে মোদীকে সমর্থন নাইডু ও নীতিশের হুয়াওয়ের ‘উইমেন ইন টেক’ প্রতিযোগিতার বিজয়ীদের নাম ঘোষণা সিলেটে অবৈধভাবে আসা ২ কোটি টাকার ভারতীয় চিনি জব্দ সিলেট মহানগর যুবলীগের ৪ নং ওয়ার্ড কমিটি গঠন”সভাপতি পদে শাকিল নির্বাচিত চোরাচালান লাইনম্যান রুবেল আহমদ বেপরোয়া জমির ধান নষ্ট করে দিলো প্রতিপক্ষ: দিশেহারা কৃষক সিলেটে ইট ভাটা নিয়ে নজিরবিহীন কেঙ্ককারী বিশ্ব গাজায় হত্যাকাণ্ড প্রত্যক্ষ করছে, বন্ধে কার্যকর ব্যবস্থা নিচ্ছে না : প্রধানমন্ত্রী সুজানগর ইসলামী সমাজকল্যাণ পরিষদের কমিটি গঠন বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোটের উদ্যোগে উন্মুক্ত সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত মাওলানা লুৎফুর রহমানের মৃত্যু ”গুজব সংবাদ ফেসবুকে” বাংলাদেশ-মিয়ানমার সীমান্ত বিজিবির নিয়ন্ত্রণে পুলিশের সাব-ইন্সপেক্টর (নিরস্ত্র) পদে নিয়োগ দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে জোরালো ভূমিকা নিতে হবে সচিবদের :প্রধানমন্ত্রীর সিলেটে বিজয় দিবসে গানের অনুষ্ঠানে সংঘর্ষ:নিহত-১ বইমেলা বাঙালি জাতিসত্তা দাঁড় করাতে সহায়ক : কবি নুরুল হুদা বন্ধুকে বিদেশ পাঠানোর সহযোগীতায় বন্ধু খুন দুর্নীতি-অনিয়ম র অভিযোগে ডৌবাড়ী প্রবাসী কল্যাণ ট্রাস্টের ৪ সদস্য বহিষ্কারের অভিযোগ ৫০টি মডেল মসজিদ উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী গোয়াইনঘাটের শীর্ষ কুখ্যাত চোরাকারবারী কালা মিয়া
ধর্ষণ মামলার বিচারে দেরি কেন? আদেশ প্রতিপালিত না হওয়ায় হাইকোর্টের ক্ষোভ প্রকাশ

ধর্ষণ মামলার বিচারে দেরি কেন? আদেশ প্রতিপালিত না হওয়ায় হাইকোর্টের ক্ষোভ প্রকাশ

Please Share This Post in Your Social Media

পাঁচ বছর আগে ২০১৫ সালের ২১ মে কুড়িল ফ্লাইওভারে মাইক্রোবাসে ধর্ষণের শিকার হন এক তরুণী। এ ঘটনায় পরদিন থানায় মামলা হয়। তদন্ত শেষে দুই আসামির বিরুদ্ধে একই বছরের ২৩ আগস্ট অভিযোগপত্র দাখিল করা হয়। এরপর ওই বছরই ঢাকার ৪ নম্বর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন বিশেষ ট্রাইব্যুনালে অভিযোগ গঠনের মধ্য দিয়ে বিচার শুরু হয়। পরে মামলাটি স্থানান্তর হয় ৯ নম্বর ট্রাইব্যুনালে। কিন্তু এ মামলার বিচার আজও শেষ হয়নি।

শুধু এই একটি মামলা নয়, গত বছরের ফেব্রুয়ারিতে কাঁলাচাদপুরে একটি বাসায় ধর্ষণের শিকার নারীর মামলার বিচার এখনো শেষ হয়নি। এ রকম শত শত মামলা বছরের পর বছর বিচারের অপেক্ষায় রয়েছে।

অথচ ২০০০ সালে করা নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের ২০(২) নম্বর ধারা অনুযায়ী মামলার বিচার শুরু হওয়ার পর একটানা বিচার চলতে হবে। আর ২০(৩) ধারা অনুযায়ী ১৮০ দিনের মধ্যে মামলার বিচার শেষ করতে হবে। এমনকি গত বছরের ১৮ জুলাই হাইকোর্টের দেওয়া নির্দেশনার আলোকেও ১৮০ দিনের মধ্যে বিচার সম্পন্ন হওয়ার কথা। শুধু এই সময়সীমা নয়, নির্ধারিত সময়ের মধ্যে বিচার সম্পন্ন করতে না পারলে তা এক মাসের মধ্যে লিখিতভাবে সুপ্রিম কোর্টকে জানানোর বিধান ও নির্দেশনা থাকলেও তা মানছেন না কেউই।

এ ছাড়া ধর্ষণ মামলার দ্রুত বিচার সম্পন্ন করতে গত বছর হাইকোর্টের দেওয়া পাঁচ দফা নির্দেশনা কার্যকর না হওয়ায় বিচারপতি ইনায়েতুর রহিমের নেতৃত্বাধীন হাইকোর্ট বেঞ্চ গতকাল বুধবার ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। আদালত বলেছেন, ‘আমরা নির্দেশনা দিই ঠিকই; কিন্তু তা কেউ মানে না।’ আদালত আরো বলেন, ‘ধর্ষণের মামলা মনিটরিংয়ের জন্য নির্দেশনা দেওয়া হয়েছিল, তাও কেউ মানছে না।’

মাইক্রোবাসে তরুণী ধর্ষণ মামলায় ইতিমধ্যে ১৬ জন সাক্ষীর সাক্ষ্য গ্রহণ করা হয়েছে। শুধু মামলার তদন্ত কর্মকর্তা সাক্ষ্য দিতে হাজির না হওয়ায় মামলাটির সাক্ষ্যগ্রহণ আটকে আছে তিন বছর ধরে। তদন্ত কর্মকর্তা যাচ্ছেন না আদালতে। বাদীপক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট নিপারসন আজিম বলেন, ‘আইন ও হাইকোর্টের নির্দেশনা অনুযায়ী মামলার বিচার শুরু হওয়ার পর থেকে ১৮০ দিনের মধ্যে নিষ্পত্তি হওয়ার কথা; কিন্তু তা হচ্ছে না। এটা কাগজেই রয়ে গেছে। বাস্তব চিত্র ভিন্ন।’

তবে ঢাকার ৫ নম্বর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের পাবলিক প্রসিকিউটর আলী আসগর স্বপন কালের কণ্ঠকে বলেন, ‘আমি যে আদালতে দায়িত্বরত সে আদালতে হাইকোর্টের নির্দেশনা প্রতিপালিত হচ্ছে।’ যদিও হাইকোর্টের নির্দেশনার আলোকে মনিটরিং কমিটি গঠিত হলেও সেই কমিটির নিয়মিত বৈঠক হয় না বলে তিনি স্বীকার করেন।

বিচারপতি ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমানের হাইকোর্ট বেঞ্চ গত বছরের ১৮ জুলাই এক রায়ে ধর্ষণ ও ধর্ষণ-পরবর্তী হত্যা মামলার বিচার আইনে নির্ধারিত ছয় মাসের মধ্যে নিষ্পত্তি করতে পাঁচ দফা নির্দেশনা দিয়েছিলেন। এই নির্দেশনার পর সুপ্রিম কোর্ট প্রশাসন সংশ্লিষ্ট বিচারকদের উদ্দেশে হাইকোর্টের নির্দেশনাগুলো জারি করেন।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, এর পরও বেশির ভাগ আদালতে এই নির্দেশনা প্রতিপালিত হচ্ছে না। বিচারাধীন ধর্ষণ মামলার মনিটরিংয়ের জন্য দেশের বিভিন্ন আদালতে মনিটরিং কমিটি গঠিত হলেও এসব কমিটির কোনো বৈঠক হয় না। ফলে কোন মামলায় বিচার বিলম্ব হচ্ছে সে বিষয়ে সুপ্রিম কোর্টেও নিয়মিত প্রতিবেদন দেন না সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা।

হাইকোর্টের পাঁচ দফা নির্দেশনায় যা ছিল : হাইকোর্ট নির্ধারিত সময়সীমার মধ্যে এবং শুনানি শুরু হলে শেষ না হওয়া পর্যন্ত প্রতি কর্মদিবসে একটানা মামলা পরিচালনার নির্দেশনা দেওয়া ছাড়াও আরো তিনটি নির্দেশনা দিয়েছিলেন। এগুলো মধ্যে আছে ধার্য তারিখে সাক্ষী উপস্থিতি ও সাক্ষীদের নিরাপত্তা দিতে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের নিয়ে মনিটরিং কমিটি করতে হবে, প্রতি মাসে সুপ্রিম কোর্ট, স্বরাষ্ট্র এবং আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ে প্রতিবেদন পাঠাতে হবে। ধার্য তারিখে রাষ্ট্রপক্ষ সংগত কারণ ছাড়া সাক্ষীকে আদালতে উপস্থাপন করতে ব্যর্থ হলে মনিটরিং কমিটিকে জবাবদিহি করতে হবে। মনিটরিং কমিটি সাক্ষীদের প্রতি দ্রুততম সময়ে যাতে সমন জারি করা যায় সে বিষয়েও মনিটরিং করবে।





Calendar

November 2024
S S M T W T F
 1
2345678
9101112131415
16171819202122
23242526272829
30  



  1. © সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত © 2017 sylhet71news.com
Design BY Sylhet Hosting
sylhet71newsbd