সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যম ব্যবহার বেড়ে যাওয়ার সাথে সাথে মেয়েদের হয়রানি, নিপীড়নও বাড়ছে৷ ২২টি দেশের সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যম ব্যবহারকারী ৬০ ভাগ নারী হয়রানির কারণে এ মাধ্যম ছেড়েছেন৷
প্ল্যান ইন্টারন্যাশনালের এক গবেষণায় এ তথ্য উঠে এসেছে। ২২টি দেশের নারীদের নিয়ে করা একটি সমীক্ষায় দেখা গেছে, প্রায় ৬০ ভাগ অল্প বয়সী নারী সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে কোনো না কোনোভাবে নিপীড়ন বা হয়রানির মুখোমুখি হয়েছে৷ সবচেয়ে বেশি হয়রানির শিকার হয়েছে ফেসবুকে, এর পরে রয়েছে ইনস্টাগ্রাম, হোয়াটসঅ্যাপ এবং স্ন্যাপচ্যাট৷
প্ল্যান ইন্টারন্যাশনাল পরিচালিত এই সমীক্ষায় ২২টি দেশের ১৫ থেকে ২৫ বছর বয়সী মোট ১৪ হাজার নারী অংশ নেয় ৷ গবেষকরা ভুক্তভোগী অনেকের খুঁটিনাটি বিষয়ে সাক্ষাৎকারও নিয়েছেন ৷
জরিপে অংশ নেওয়া দেশগুলোর মধ্যে ব্রাজিল, বেনিন, যুক্তরাষ্ট্র এবং ভারতও রয়েছে৷ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে হয়রানির শিকার যারা হয়েছেন, তাদের মধ্যে শতকরা ৩৯ জন ফেসবুকে এবং বাকিরা ইনস্টাগ্রাম, হোয়াটসঅ্যাপ, স্ন্যাপচ্যাট, টুইটার ও টিকটকের মাধ্যমে৷
আপত্তিকর ভাষা ব্যবহার, বিব্রতকর কথাবার্তার কারণে অনেকে সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমের ব্যবহার বন্ধ করে দিয়েছে বা খুবই কম ব্যবহার করছে৷ অংশগ্রহণকারীদের ২২ শতাংশ জানিয়েছেন, তারা শারীরিক নির্যাতনের ভয়ে সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যম থেকে দূরে সরে গেছেন৷
সংখ্যালঘু, জাতিগত বৈষম্য বা অন্যান্য সম্প্রদায়ের অন্তর্গত নারীদের ক্ষেত্রে হয়রানির ঘটনা অনেক বেশি ঘটে থাকে বলেও গবেষণা প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে৷
প্ল্যান ইন্টারন্যাশনালের সিইও অ্যান-বির্গিট আলব্রেক্টসেন বলেন, অনলাইনে হয়রানি শারীরিকভাবে না হলেও এতে মেয়েরা ভয়ে থাকে, যা তাদের মত প্রকাশের স্বাধীনতাকে বাধাগ্রস্ত করে৷ নারীদের নিজেদেরই আত্মবিশ্বাসের সাথে অনলাইন সহিংসতাকে মোকাবেলা করতে হবে৷
যদিও ফেসবুক এবং ইনস্টাগ্রাম এ ব্যাপারে বিভিন্ন পদক্ষেপ নিয়েছে বলে জানিয়েছে৷ তবে সমীক্ষায় দেখা গেছে, কোনো কিছুই এখনো সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে নারীদের হয়রানি বন্ধ করতে পারেনি৷
সূত্র : ডয়চেভেলে