সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে পোস্ট দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শাবি) শিক্ষার্থী আছিয়া আক্তার। তার বাড়ি বগুড়া সদরের নামুজা ইউনিয়নের ৯ নং ওয়ার্ডের মথুরা গ্রামে।
তিনি ফেসবুকে স্ট্যাটাসে লিখেছেন– ‘আমার ব্যবহারে কেউ কোনো দিন কষ্ট পেলে দয়া করে আমায় মাফ করবেন। কারণ মৃত্যু কার কখন দুয়ারে আসে আমরা কেউ বলতে পারি না; আল্লাহপাক সবাইকে ভালো রাখবেন।’
বৃহস্পতিবার (১ অক্টোবর) সকালে আত্মহত্যার এ বিষয়টি নিশ্চিত করেন বগুড়া সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হুমায়ুন কবির।
এ বিষয়ে তিনি বলেন, আমরা বিষয়টি অবগত হয়েছি। তার বাড়িতে গিয়ে তার লাশ আমরা উদ্ধার করেছি। আমরা ময়নাতদন্ত করার জন্য সিদ্ধান্ত নিয়েছি। তার পরিবারের লোকজনের সাথে আলাপ করছি। আর সেখানকার পরিস্থিতি বুঝে আমরা ব্যবস্থা নেব। তবে কি কারণে আত্মহত্যা করেছে এ বিষয়ে কিছু এখনো জানা যায় নি। তবে সে কিছুদিন থেকে মানসিকভাবে ভারসাম্যহীন ছিল বলে জানা গেছে।
পারিবারিক সুত্রে জানা গেছে, ‘সকালে ফজরের নামাজের পর আছিয়ার মা ঘরের বারান্দাতে তার ঝুলন্ত লাশ পায়। তার এলাকাতে এক ছেলের সাথে সম্পর্ক ছিল । যা নিয়ে বাড়িতে বেশ কিছু দিন থেকে পরিবারের সবাই আছিয়ার সাথে কথাবার্তা বলছিল। এ নিয়ে মানসিকভাবে বেশ চাপে ছিল আছিয়া।’
এ বিষয়ে বাংলা বিভাগের ছাত্র উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. ফারজানা সিদ্দিকা বলেন, আমরা বিষয়টি অবগত হয়ে পরিবারের সদস্যদের সাথে কথা বলেছি। একটা ছেলের সাথে সম্পর্কের জের ধরে আছিয়া আত্মহত্যা করেছে ধারণা করা যাচ্ছে বলে তার বড়ভাই আমাদের জানিয়েছে।
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রক্টর আবু হেনা পহিল বলেন, ‘বিষয়টা অত্যন্ত দুঃখজনক। আমরা খোজখবর নিচ্ছি। বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি স্যার ও বিভাগের শিক্ষকেরাও কথা বলতেছে। আর পুলিশও খোজখবর নিচ্ছে বিষয়টি নিয়ে বিস্তারিত জানার জন্য।’