নিজস্ব প্রতিবেদক::সুনামগঞ্জ জেলার ছাতক উপজেলা থেকে গ্রেফতার হয়েছে এমসি কলেজ হোস্টেলে আলোচিত গৃহবধূ ধর্ষণ ও অস্ত্র মামলার আসামী সাইফুর রহমান।
সুনামগঞ্জের এসপি মিজানুর রহমান জানান, আজ (২৭ সেপ্টেম্বর) সকালবেলা ছাতক থেকে এমসি কলেজ ছাত্রাবাসে তরুণী গণধর্ষণের প্রধান অভিযুক্তকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
তিনি সাংবাদিকদের বলেন, “সকালে ছাতক থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়েছে। আমাদের জানামতে মামলার এজাহার অনুযায়ী আটক করা ব্যক্তিই প্রধান অভিযুক্ত।”
শুক্রবার(২৫ সেপ্টেম্বর)সন্ধ্যার দিকে সিলেটের টিলাগড় এলাকার এমসি কলেজের গেটের সামনে থেকে ঐ তরুণীকে তুলে নিয়ে যায় কয়েকজন। ঐ তরুণী তার স্বামীর সাথে একটি গাড়িতে করে বেড়াতে গিয়েছিলেন কলেজ ক্যাম্পাসে।
তরুণীর স্বামী এজাহারে উল্লেখ করেন, তার স্ত্রীকে যখন জোর করে তুলে নিয়ে যাওয়া হয় তখন দুই ব্যক্তি তাকে গাড়িতে আটক করে রাখে। এর ঘণ্টাখানেক পর এমসি কলেজের ছাত্রাবাসের একটি কক্ষের সামনে থেকে নিজের স্ত্রীকে বিধ্বস্ত অবস্থায় উদ্ধার করেন স্বামী। পরে রাতেই ঐ তরুণীকে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজে নিয়ে যাওয়া হয়।
ঐ ঘটনার পর থেকে সিলেটে প্রতিবাদ ও বিক্ষোভ প্রদর্শন করছে সাধারণ মানুষ।
উল্ল্যেখ্য যে, ২০১৮ সালের ১৫ মে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে ছাত্রাবাসের একজন নিয়মিত ছাত্র ও বড়লেখা ছাত্রকল্যাণ সংঘ সিলেট’র সাধারণ সম্পাদক ছাত্রনেতা মোঃ কামরুল ইসলাম বাবুর উপর অতর্কিত হামলা করে অভিযুক্ত সাইফুর। তবে অভিযোগ ছিলো যে ছাত্রলীগের ধাপটে আওয়ামীলীগ নেতাদের ছত্রছায়ায় এমন ঘঠনা তার জন্য নিত্যনৈমিত্তিক ছিলো। যার কারণে কোনো সুবিচার পাননি হামলার শিকার হওয়া এমসি কলেজ শিক্ষার্থী।
ছাত্রাবাসে অবস্থান করা নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েজন শিক্ষার্থী জানিয়েছেন, নেতাদের ছত্র ছায়ায় তার অস্ত্রের ঝনঝনানির কাছে অনেকেই দিশেহারা হয়েছেন। এমনকি কুখ্যাত সাইফুর ও তার ঘ্যাং এর নির্যাতনের স্বীকার হয়ে ছাত্রদের হোস্টেল ছাড়ার ঘটনাও নিত্যনৈমিত্তিক ব্যাপার। অনেকে ভয়ে সয়ে গেছেন, মুখ খোলার সাহস পান নি। তারা এসব সন্ত্রাসীদের বিচার পাওয়া নিয়ে এখনো শঙ্কায় রয়েছেন বলে জানিয়েছেন।