সিলেট: দি এশিয়া ফাউন্ডেশনের অর্থায়নে উন্নয়ন সংস্থা আইডিয়া কর্তৃক বাস্তবায়নাধীন ‘পিস’ প্রকল্পের আওতায় দক্ষিণ সুরমার এসএমপির মোগলাবাজার থানা এলাকায় ২১ সেপ্টেম্বর সোমবার দুপুরে “আস্ক ইউর লোকাল পুলিশ” শীর্ষক একটি কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
এলাকায় অপরাধ প্রতিরোধ ও আইন প্রয়োগে কমিউনিটি পুলিশিং এর কাজ কী এবং কিভাবে তারা পুলিশকে সহায়তা করবেন এসকল বিষয় নিয়ে কর্মশালাটি অনুষ্ঠিত হয়।
কর্মশালায় উপস্থিত ছিলেন সিলেট মেট্টোপলিটন পুলিশ মোগলাবাজার থানার সহকারী পুলিশ কমিশনার পলাশ রঞ্জন দে ও অফিসার ইনচার্জ ছাহাবুল ইসলাম। মোগলাবাজার থানার অন্তর্গত কমিউনিটি পুলিশিং ফোরাম ও স্থানীয় নাগরিকবৃন্দ ও আয়োজক সহ ৫৬জন এই কর্মশালায় অংশগ্রহণ করেন।
কর্মশালায় উপস্থিত কমিউনিটি পুলিশিং ফোরামের নেতৃবর্গ ও স্থানীয় নাগরিকবৃন্দ তাদের নিজ নিজ এলাকায় শান্তি-শৃঙ্খলা রক্ষায় পুলিশের সহযোগিতার নানাদিক নিয়ে জানতে চান। অপরদিকে, পুলিশ প্রশাসন সহযোগিতার নানাবিধ ক্ষেত্র নিয়ে কথা বলেন। কর্মশালায় অংশগ্রহনকারীগণ মূলত কমিউনিটি পুলিশিং, নারী ও শিশু নির্যাতন, মাদক, জঙ্গীবাদ, কিশোর অপরাধ, থানায় সাধারণ ডাইরির প্রক্রিয়া এবং করোনা ভাইরাসের কারণে সৃষ্ট সমস্যা সমাধানে করণীয়সহ বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়।
উন্নয়ন সংস্থা আইডিয়ার পক্ষে, পিস প্রকল্পের সমন্বয়কারী এবং কর্মশালার সঞ্চালক সুদীপ্ত চৌধুরী আগত অতিথিদের স্বাগত জানান। তিনি অতিথিদের পরস্পরের সাথে পরিচয় করিয়ে দেন এবং উন্নয়ন সংস্থা আইডিয়া সম্পর্ক প্রাথমিক ধারণা দেন। এসময় তিনি বলেন, পুলিশি কার্যক্রমের স্বচ্ছতা, পুলিশ ও কমিউনিটির মধ্যে তথ্য আদান-প্রদান এবং পুলিশ ও জনগণের মধ্যে বিশ্বাস ও আস্থা বাড়ানো এই কর্মশালার মূল উদ্দেশ্য।
কর্মশালায় এশিয়া ফাউন্ডেশনের প্রোগ্রাম অফিসার মোঃ হামিদুল হক বলেন, কার্যকরভাবে নাগরিকদের সচেতনতা বৃদ্ধি করা, পুলিশ ও কমিউনিটির মধ্যে তথ্য বিনিময় এবং নানাবিধ প্রতিরোধমূলক কার্যক্রমের মাধ্যমে উগ্রবাদ বিরোধী প্রচেষ্টা চালিয়ে যাওয়ার জন্য আইন প্রয়োগকারী সংস্থাকে শক্তিশালী করাই পিস প্রকল্পের মূল লক্ষ্য। কর্মশালা সম্পর্ক তিনি বলেন, কর্মশালাটি বাস্তবায়নের মধ্যদিয়ে পুলিশ ও জনগণের মধ্যে দূরত্ব কমে আসবে; নাগরিকদের মধ্যে পুলিশি ভীতি দূর হবে; পরস্পরের মধ্যে বিশ্বাস ও আস্থা বাড়বে এবং একটি বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক তৈরী হবে।