সিলেট:: সিলেটের আমদানী-রপ্তানীকারকদের সাথে সিলেটে ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন সিলেটর চেম্বার নেতৃবৃন্দের এক মতবিনিময় সভা গতকাল রোববার চেম্বার কনফারেন্স হলে অনুষ্ঠিত হয়েছে। সিলেট চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রির উদ্যোগে আয়োজিত মতবিনিময় সভায় সভাপতিত্ব করেন চেম্বার সভাপতি আবু তাহের মো. শোয়েব। সভায় আমাদনী-রপ্তানীকারকরা জানান, সিলেটের প্রায় সবকটি স্থল শুল্ক স্টেশন দিয়ে ভারত থেকে কয়লা, পাথর ও চুনাপাথর আমদানী হয়ে থাকে। কিন্তু কেবলমাত্র তামাবিল ব্যতীত অন্য কোন শুল্ক স্টেশনে কাস্টম্স কর্তৃপক্ষের নিজস্ব ভবন ও গুদাম নেই।
এছাড়া, আমদানীকারকদের সুযোগ-সুবিধাও অত্যন্ত সীমিত বলে জানান তারা। তামাবিল স্থলবন্দরের মত সিলেটের সকল শুল্ক স্টেশনে সুযোগ-সুবিধা বৃদ্ধির দাবী জানান আমদানী-রপ্তানীকারকরা। এছাড়াও আমদানীকারকগণ পণ্য আমদানী না হলে আমদানীর পূর্বে প্রদানকৃত অগ্রিম শুল্ক-কর সহজে দ্রুত রিফান্ডের ব্যবস্থা করা, করোনা মহামারীর কারণে ট্রেড লাইসেন্স এর সাথে অগ্রিম আয়কর রহিত করা, গাড়ির চাকার সংখ্যার উপর ভিত্তি করে ওজন নির্ধারণ না করে প্রকৃত ওজন পরিমাপ করে আমদানী শুল্ক আরোপ করা, তামাবিল স্থলবন্দরের ডাম্পিং স্পেসের ভাড়া হ্রাস করাসহ বিভিন্ন প্রস্তাব তুলে ধরেন।
সিলেট চেম্বারের সভাপতি আবু তাহের মোঃ শোয়েব বলেন, সিলেটের ব্যবসায়ীদের একটি বড় অংশ আমদানী-রপ্তানী ব্যবসার সাথে জড়িত। সিলেটের বিভিন্ন শুল্ক স্টেশন দিয়ে পণ্য আমদানী হয়ে সারাদেশে সরবরাহ হয়ে থাকে। তাই, সিলেটের আমদানী-রপ্তানীকারকদের সুবিধা-অসুবিধা দেখা সরকারের নৈতিক দায়িত্ব। তিনি জানান, আগামী কিছুদিনের মধ্যে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের চেয়ারম্যান সিলেট চেম্বার নেতৃবৃন্দের সাথে মতবিনিময় সভায় মিলিত হওয়ার কথা রয়েছে। সভায় সিলেট চেম্বারের পক্ষ থেকে আমদানী-রপ্তানীকারকদের দাবী-দাওয়াগুলো প্রস্তাব আকারে পেশ করা হবে বলে তিনি ব্যবসায়ীদের আশ্বস্থ করেন।
সভায় অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, সিলেট চেম্বারের সিনিয়র সহ সভাপতি চন্দন সাহা, পরিচালক মোঃ মামুন কিবরিয়া সুমন, পিন্টু চক্রবর্তী, মোঃ আতিক হোসেন, ওয়াহিদুজ্জামান চৌধুরী, সাবেক পরিচালক ও ভোলাগঞ্জ চুনাপাথর আমদানীকারক গ্রুপের সাধারণ সম্পাদক মুজিবুর রহমান মিন্টু, গ্রুপের প্রতিনিধি বশির আহমদ, সিলেট কয়লা আমদানীকারক গ্রুপের সহ সাধারণ সম্পাদক জয়দেব চক্রবর্তী, প্রতিনিধি পাপলু দাস, তামাবিল চুনাপাথর, পাথর ও কয়লা আমদানীকারক গ্রুপের সাধারণ সম্পাদক সরোয়ার হোসেন ছেদু, ইলিয়াস উদ্দিন লিপু, মোঃ জালাল উদ্দিন, মোঃ শাহ আলম, মোঃ ফয়জুর রহমান, সুহেল আহমদ, হারুনুর রশীদ, মোঃ জামাল মিয়া, মোঃ জাকির হোসেন, মোঃ মনিরুল হক প্রমুখ।
এদিকে, ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের সিলেটের সাথে এক মতবিনিময় সভা রোববার চেম্বার কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত হয়। বিকেল সাড়ে ৩টায় অনুষ্ঠিত সভায় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের সিলেট বিভাগীয় কার্যালয়ের উপ পরিচালক মো. ফখরুল ইসলাম বলেন, জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর ভোক্তা সাধারণের ন্যায়তঃ অধিকার রক্ষায় কাজ করে। মানহীন ও ভেজাল মিশ্রিত পণ্য বিক্রয়, অধিক মূল্য গ্রহণ ও ভোক্তা সাধারণের অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্তক্রমে জরিমানা আদায়সহ প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়। তিনি জানান, সিলেটে নির্ধারিত জরিমানার হার থেকে অনেক কম জরিমানা আদায় করা হয় এবং এটির একমাত্র উদ্দেশ্য ব্যবসায়ীদেরকে সতর্ক করা। সভাপতির বক্তব্যে সিলেট চেম্বারের সভাপতি আবু তাহের মোঃ শোয়েব বর্তমান করোনাকালীন সময়ে দীর্ঘদিন যাবৎ ব্যবসা-বাণিজ্য বন্ধ থাকায় ব্যবসায়ীরা মারাত্মক আর্থিক ক্ষতির সম্মুখীন বলে জানিয়ে ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে কোন ধরণের জরিমানা আদায় না করার অনুরোধ জানান। বিজ্ঞপ্তি